ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। ঘটনার পর বিডিআর সেনাদের বক্তব্য মিডিয়ায় প্র্রচারিত হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধভাবে সবার চোখের অন্তরালে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পারেনি। বিডিআরের প্র্রশাসনও জানতে পারেনি। কিন্তু ঘটনা থেকে কেউ কেউ অনুমান করেছেন তাদের দীর্ঘিদিনের প্রস্তুতি ছিল। তারা খুব সুচারুরূপে বড় একটা বাহিনীর ভেতর থেকে এরেকম ধ্বংসাত্বক কাজ করেছে। দীর্ঘ পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটালে জনবহুল একটি বাহিনীতে অনেকেই জেনে যাবার কথা। ধরা যাক তেমনভাবে জানাজানি হয়নি। যদি জানাজানি না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে খুব সামান্য মানুষের মধ্যে এ নিয়ে জানাজানি হয়েছে। তারা উন্নত সামরিক ও রাজনৈতিক প্রশিক্ষণপ্র্রাপ্ত। সৈনিকদের মটিভেশন থেকে শুরু করে সুচারুরূপে পুরো ঘটনা ঘটাবার সাধ্য তাদের আছে। বিডিআরের ভেতর কারা হতে পারে তেমন শক্তিমান?
আবার ধরা যাক, ঘটনার মধ্যে পরিকল্পনা বলে কিছু ছিল না। তাৎক্ষণিক ক্ষোভের ফলশ্রুতিতে ঘটনা ঘটে গেছে। এলোমেলো বিক্ষোভে ব্যাপকপ্রাণহানী ঘটেছে। লুটপাট হয়েছে। ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে কারো মধ্যে কোনো ধারণা নেই। সবাই যার যার মতো করে উশৃংখল আচরণ করে আবার সময় হলে সরে পড়েছে। কোনো নেতৃত্ব ছিল না। কোনো পূর্বপিরিকল্পনা ছিল না। বিক্ষোভ হয়েছে। হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বিডিআর সদস্যদের ক্ষোভ ছিল তা মিটেছে। বিচার হবে। শাস্তি হবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্বতস্ফুর্ত বিক্ষোভ বলে অনেকেই মানতে চাইেছেন না। তারা বলছেন এর পেছনে দেশী বিদেশী শক্তি জড়িত।
ঘটনা অনেক বড়। তাই নানারকম ষড়যন্ত্রতত্ব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
সেগুলো দেখা কেমন?
১. জেএমিবি হামলা :
মাননীয় মন্ত্রী আজ তেমন ইঙ্গিত করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জেএমবি নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। তাদের হামলার শক্তি কিছুটা কমে গিয়েছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিডিআরে জেএমবির লোক থাকা অস্বাভাবিক নয়। কারণ সরকারেই তাদের লোক ছিল। আর সে লোকগুলো ছিলেন ক্ষমতাধর, মন্ত্রী। সেনাবাহিনীর জঙ্গিবিরোধী সাম্প্রতিক অবস্থান তাদের পছন্দ নাও হতে পারে। বিডিআরে অনেক অফিসার জেএমবি িনিধনের সঙ্গে জড়িত। তাদের ওপর জেএমবি হামলা করতে পারে। জেএমবি হামলার মাধ্যমে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তারা গোলাবারুদ সংগ্র্রহ করতে পারে। পলাতক বিডিআর সদস্যদের দলে নিয়ে নতুুন নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে।
সম্ভব? : বিগত সরকার, সেনাবাহিনী র্যাব যেভাবে দাবি করেছে তাতে জেএমবি শেষ। জেএমবি তারপরও নানা অভিযানের ইস্যু হিসেবে থেকেছে। পিরিস্তিতি দেখে মনে হচ্ছিল যেন, যেএমবি তাদের পোশা বাঘ। ডাক িদিলেই গ্রেনেডসহ ধরা দেবে। এরকম একটি পোশা জঙ্গী গোষ্ঠী এতেবড় হামলা চালাতে পারে কি না ভেবে দেখতে হবে। আর যদি পেরে থাকে, তাহলে অন্য বাহিনীগুলোও দ্রুত জেএমবি মুক্ত করতে হবে।
জামাত :
যুদ্ধাপরাধ, একাত্তরে নারী ধর্ষণ, লুটপাটের হোতা জামাতের বিচার দাবি উঠেছে। এবার তাদের বিচার হবেই। এ বিচার থেকে বাঁচতে জামাত এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। এক্ষেত্রে বিদেশী ও দেশী সমসমনা সামরিক সংস্থার সাহায্য নিয়ে নিজেদের লোকদের দিয়ে তারা ঘটনা ঘটাতে পারে। এমনকি সৈিনিকদের মধ্যে তাদের রাজনৈতিক প্রচারণা চলতে পারে। তারা খুব সংঘটিতভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
সম্ভব? :
বিডিআর ও সেনাবাহিনীতে বিশাল একটি অংশ ভারতবিরোধী। তারা জামাত ও বিএনপি মনোভাবাপন্ন। জামাতের মতো দল বিপ্লব করে ক্ষমতা দখল করবে এটি ভাবা যায় না। যে প্রক্রিয়ায় তারা এ প্রভাব তৈরি করেছে সেই একই প্রক্রিয়ায় তারা প্রভাব বাড়াতে পারবে। অফিসারদের হত্যা করে তাদের কোনো ফায়দা হবে বলে মনে হয় না। তবে এ ঘটনায় ভয় পেয়ে সরকার পিছয়ে গেলে যুদ্দাপরাধীদের বিচার পিচিয়ে যাবে।
ভারত ভিত্তিক কোনো শক্তি :
বাংলাদেশে বিডিআর আর সেনাবাহিনী দুর্বল হলে ভারতের লাভ। তারা সেনাবাহিনী ও বিডিআরের শক্তিক্ষয় করার জন্য ঘটনা ঘটাতে পারে। কিন্তু বর্তমান সরকার ও সেনানেতৃত্বের সঙ্গে তাদের িবিরোধ নেই। তাই সরকার ও সেনাবাহিনীকে অস্থিতিশীল করার িচিন্তা তারা করেবে কেন? বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হলে তা ভারতের জন্য সুখরে হবে না। বরং ভারত িবিপদে পড়বে।
বাস্তবে ভারতীয় কোনো শক্তির পক্ষে বিডিআরের মতো বাহিনীর ভেতর বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ ঘটানো অসম্ভব।
উলফা :
ভারতের বিদ্রোহী শক্তিগুলো ঘটাতে পারে। কিন্তু তাদের পক্ষে কতটা সম্ভব?
বিএনপি : ক্ষমতা নেই। নাজুক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীীর সঙেঙ্গ সম্পর্ক তৈরি চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ : নিজের ঘরে আগুন দেয়ার কথা নয়। দেশ শান্ত রাখাই তাদের কাজ।
সেনাবাহিনীর ভেতরের কোনো শক্তি : এত অমানবিকভাবে িনিজের ভাইয়ের হত্যা পরিকল্পনা সম্ভব নয়।
আমেরিকা : শুধু এফবিআইয়ের প্র্রতিনিধিদল পাঠানোর উদ্দেশ্যে এত বড় ঘটনা ঘটাবে না। তারা চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারে।
ওপরের কেউই হয়তো দায়ী নয়। দায়ী কে?
সে প্র্রশ্নরে উুত্তর হয়তো কখনো মিলবে না।
কিন্তু শাস্তি পাবে যে কোনো একদল।
যারা সবচেয়ে দুর্বল তারাই শাস্তি পাবে।
তাদের শাস্তির িবিনিময়ে বড় কোনো শক্তি হয়তো বেঁচে যাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






