somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ষড়যন্ত্রতত্ত্ব : পিলখানা হত্যাকাান্ডের জন্য দায়ী কে?

১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। ঘটনার পর বিডিআর সেনাদের বক্তব্য মিডিয়ায় প্র্রচারিত হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধভাবে সবার চোখের অন্তরালে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পারেনি। বিডিআরের প্র্রশাসনও জানতে পারেনি। কিন্তু ঘটনা থেকে কেউ কেউ অনুমান করেছেন তাদের দীর্ঘিদিনের প্রস্তুতি ছিল। তারা খুব সুচারুরূপে বড় একটা বাহিনীর ভেতর থেকে এরেকম ধ্বংসাত্বক কাজ করেছে। দীর্ঘ পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটালে জনবহুল একটি বাহিনীতে অনেকেই জেনে যাবার কথা। ধরা যাক তেমনভাবে জানাজানি হয়নি। যদি জানাজানি না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে খুব সামান্য মানুষের মধ্যে এ নিয়ে জানাজানি হয়েছে। তারা উন্নত সামরিক ও রাজনৈতিক প্রশিক্ষণপ্র্রাপ্ত। সৈনিকদের মটিভেশন থেকে শুরু করে সুচারুরূপে পুরো ঘটনা ঘটাবার সাধ্য তাদের আছে। বিডিআরের ভেতর কারা হতে পারে তেমন শক্তিমান?
আবার ধরা যাক, ঘটনার মধ্যে পরিকল্পনা বলে কিছু ছিল না। তাৎক্ষণিক ক্ষোভের ফলশ্রুতিতে ঘটনা ঘটে গেছে। এলোমেলো বিক্ষোভে ব্যাপকপ্রাণহানী ঘটেছে। লুটপাট হয়েছে। ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে কারো মধ্যে কোনো ধারণা নেই। সবাই যার যার মতো করে উশৃংখল আচরণ করে আবার সময় হলে সরে পড়েছে। কোনো নেতৃত্ব ছিল না। কোনো পূর্বপিরিকল্পনা ছিল না। বিক্ষোভ হয়েছে। হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বিডিআর সদস্যদের ক্ষোভ ছিল তা মিটেছে। বিচার হবে। শাস্তি হবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্বতস্ফুর্ত বিক্ষোভ বলে অনেকেই মানতে চাইেছেন না। তারা বলছেন এর পেছনে দেশী বিদেশী শক্তি জড়িত।
ঘটনা অনেক বড়। তাই নানারকম ষড়যন্ত্রতত্ব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
সেগুলো দেখা কেমন?
১. জেএমিবি হামলা :
মাননীয় মন্ত্রী আজ তেমন ইঙ্গিত করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জেএমবি নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। তাদের হামলার শক্তি কিছুটা কমে গিয়েছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিডিআরে জেএমবির লোক থাকা অস্বাভাবিক নয়। কারণ সরকারেই তাদের লোক ছিল। আর সে লোকগুলো ছিলেন ক্ষমতাধর, মন্ত্রী। সেনাবাহিনীর জঙ্গিবিরোধী সাম্প্রতিক অবস্থান তাদের পছন্দ নাও হতে পারে। বিডিআরে অনেক অফিসার জেএমবি িনিধনের সঙ্গে জড়িত। তাদের ওপর জেএমবি হামলা করতে পারে। জেএমবি হামলার মাধ্যমে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তারা গোলাবারুদ সংগ্র্রহ করতে পারে। পলাতক বিডিআর সদস্যদের দলে নিয়ে নতুুন নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে।
সম্ভব? : বিগত সরকার, সেনাবাহিনী র্যাব যেভাবে দাবি করেছে তাতে জেএমবি শেষ। জেএমবি তারপরও নানা অভিযানের ইস্যু হিসেবে থেকেছে। পিরিস্তিতি দেখে মনে হচ্ছিল যেন, যেএমবি তাদের পোশা বাঘ। ডাক িদিলেই গ্রেনেডসহ ধরা দেবে। এরকম একটি পোশা জঙ্গী গোষ্ঠী এতেবড় হামলা চালাতে পারে কি না ভেবে দেখতে হবে। আর যদি পেরে থাকে, তাহলে অন্য বাহিনীগুলোও দ্রুত জেএমবি মুক্ত করতে হবে।

জামাত :
যুদ্ধাপরাধ, একাত্তরে নারী ধর্ষণ, লুটপাটের হোতা জামাতের বিচার দাবি উঠেছে। এবার তাদের বিচার হবেই। এ বিচার থেকে বাঁচতে জামাত এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। এক্ষেত্রে বিদেশী ও দেশী সমসমনা সামরিক সংস্থার সাহায্য নিয়ে নিজেদের লোকদের দিয়ে তারা ঘটনা ঘটাতে পারে। এমনকি সৈিনিকদের মধ্যে তাদের রাজনৈতিক প্রচারণা চলতে পারে। তারা খুব সংঘটিতভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
সম্ভব? :
বিডিআর ও সেনাবাহিনীতে বিশাল একটি অংশ ভারতবিরোধী। তারা জামাত ও বিএনপি মনোভাবাপন্ন। জামাতের মতো দল বিপ্লব করে ক্ষমতা দখল করবে এটি ভাবা যায় না। যে প্রক্রিয়ায় তারা এ প্রভাব তৈরি করেছে সেই একই প্রক্রিয়ায় তারা প্রভাব বাড়াতে পারবে। অফিসারদের হত্যা করে তাদের কোনো ফায়দা হবে বলে মনে হয় না। তবে এ ঘটনায় ভয় পেয়ে সরকার পিছয়ে গেলে যুদ্দাপরাধীদের বিচার পিচিয়ে যাবে।

ভারত ভিত্তিক কোনো শক্তি :
বাংলাদেশে বিডিআর আর সেনাবাহিনী দুর্বল হলে ভারতের লাভ। তারা সেনাবাহিনী ও বিডিআরের শক্তিক্ষয় করার জন্য ঘটনা ঘটাতে পারে। কিন্তু বর্তমান সরকার ও সেনানেতৃত্বের সঙ্গে তাদের িবিরোধ নেই। তাই সরকার ও সেনাবাহিনীকে অস্থিতিশীল করার িচিন্তা তারা করেবে কেন? বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হলে তা ভারতের জন্য সুখরে হবে না। বরং ভারত িবিপদে পড়বে।
বাস্তবে ভারতীয় কোনো শক্তির পক্ষে বিডিআরের মতো বাহিনীর ভেতর বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ ঘটানো অসম্ভব।

উলফা :
ভারতের বিদ্রোহী শক্তিগুলো ঘটাতে পারে। কিন্তু তাদের পক্ষে কতটা সম্ভব?


বিএনপি : ক্ষমতা নেই। নাজুক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীীর সঙেঙ্গ সম্পর্ক তৈরি চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ : নিজের ঘরে আগুন দেয়ার কথা নয়। দেশ শান্ত রাখাই তাদের কাজ।
সেনাবাহিনীর ভেতরের কোনো শক্তি : এত অমানবিকভাবে িনিজের ভাইয়ের হত্যা পরিকল্পনা সম্ভব নয়।
আমেরিকা : শুধু এফবিআইয়ের প্র্রতিনিধিদল পাঠানোর উদ্দেশ্যে এত বড় ঘটনা ঘটাবে না। তারা চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারে।

ওপরের কেউই হয়তো দায়ী নয়। দায়ী কে?
সে প্র্রশ্নরে উুত্তর হয়তো কখনো মিলবে না।
কিন্তু শাস্তি পাবে যে কোনো একদল।
যারা সবচেয়ে দুর্বল তারাই শাস্তি পাবে।
তাদের শাস্তির িবিনিময়ে বড় কোনো শক্তি হয়তো বেঁচে যাবে।


৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×