বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর তাজউদ্দিন আহমেদ। তাজউদ্দিন আহমেদের সন্তান সোহেল তাজ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হবার পর জনগণ ভেবেছিল তাজউদ্দিন পরিবারের সন্তান দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারবে। সে পথে এগিয়েও যাচ্ছিলেন তিনি। আপোষহীন মন্ত্রী হিসেবে অল্পদিনের মধ্যেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। কিন্তু এক রহস্যজনক কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। দেশের মানুষ সঠিক তথ্য জানেন না বলে তারা দোষ দিয়েছেন সোহেল তাজকেই। মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকরা বলেছেন, সোহেল তাজ পদত্যাগের নামে নাটক করেছেন। কিন্তু আসলেই কি তিনি নাটক করেছেন? কেন একজন মন্ত্রী হয়েও কয়েকমাসের মাথায় তাকে পদত্যাগ করতে হলো তা কি জাতি জেনেছেন? সোহেল তাজ এমন লোক নন যে, অভিমান করে পদত্যাগ করবেন বা নাটক করবেন। তার পদত্যাগের কারণ আছে। সে কারণটি যদি কেউ শোনেন তবে তার সমর্থন সোহেল তাজের দিকেই যাবে। সাংবাদিকরা সে তথ্যগুলো জানার পরও কেন দেশবাসীকে জানালেন না কাদের ভয়ে চুপ থাকলো। জাতি তা জানতে চায়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভায় তার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমকে আশ্রয় দেননি। কারণ এই শেখ সেলিমের কারণেই তাকে জেলের ভাত খেতে হয়েছে। কিন্তু শেখ সেলিমের ক্ষমতা তাতে কমেনি। তিনি আগের মতোই তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার সূত্রপাত বিমানবন্দরে। একটি চোরাচালান আটকে দেয় পুলিশ। সোহেল তাজ পুলিশের ভূমিকা সমর্থন করেন। কিন্তু ফোন আসে শেখ সেলিমের কাছ থেকে। ছেড়ে দিতে হবে চোরাচালানকারীকে। কারণ চোরাচালানকারী তার আত্মীয়। সোহেল তাজ তার আদেশ মানেননি। তখন সেলিম সোহেল তাজের অফিসে যান। সেখানে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শেখ হেলাল সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অফিসে যান। সেখানে সন্ত্রাসী ও শেখ সেলিম শেখ হেলাল সোহেল তাজকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। মারধরের এক পর্যায়ে পুলিশ এসে সোহেল তাজকে বাঁচায়।
এ অবস্থায় সোহেল তাজ বিচার চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু পরিবারের কাছে জিম্মি প্রধানমন্ত্রী কোনো বিচার করতে পারেননি। তাই সোহেল তাজ মানসম্মান রক্ষা করতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এটাই সোহেল তাজের পদত্যাগ নাটক। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, যে দেশে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতার হাতে মার খান সে দেশে অন্যদের অবস্থা কী?
শেখ সেলিম এখন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনাপতি শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সেদিন তো শফিউল্লাহ না, শেখ সেলিমও চুপ ছিলেন। তোফায়েল আহমেদ রক্ষীবাহিনীর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় একটা মানুষ নামাতে পারেননি। তবে কেন শুধু শফিউল্লাহকে দোষ নিতে হবে? শেখ সেলিম সেদিন মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিতে গিয়েছিলেন। ইতিহাস বলে এ মার্কিন দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত। শেখ সেলিম এর কী উত্তর দেবেন?
দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কোনো পরিকল্পনা নেয়া যাচ্ছে না। কারণ শেখ সেলিম। তিনি টেন্ডার করতে দিচ্ছেন না। কোনো কোম্পানিকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। শেখ সেলিম আওয়ামী লীগের ভেতর তারেক রহমান হয়ে উঠেছেন। দেশের স্বার্থে তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক হবে হবে। কারণ তারেক রহমান একজন যথেষ্ট দল ও দেশের সর্বনাশ করার জন্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






