**নরেন্দ্র মোদির জয়লাভের পর পরই খালেদার দুদু সাব প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমাটাম দিয়েছিল পদত্যাগের জন্য।
**মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে ভারতের নির্বাচনে মোদি জয়লাভ করায় বিএনপিতে স্বস্তি আর আওয়ামী লীগে অস্বস্তি।
**তাছাড়া বিএনপির মহাভাড় মির্জা ফখ্রুলের গতকালকের ব্রিফ সারমর্ম, মোদিকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠি হাস্যকর।
বুঝতাসি না, বিএনপি-জামাত বা তাদের সমর্থকেরা কি আসলেই বাংলাদেশী ? নাকি ভারতীয় ?
দেখেন, ভারতে কোন সরকার এলো বা গেল তাতে বিএনপি-জামাতের লাভ কি ? কারন বিএনপি-জামাত তো জন্ম থেকেই ভারতবিরোধী। লক্ষ করুন বিএনপি-জামাত সেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে গতকাল পর্যন্ত অভিযোগ করে এসেছে আওয়ামীলীগ হচ্ছে ভারতের দালাল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদের আযান বন্ধ হয়ে যাবে, মসজিদে মসজিদে উলু ধনি হবে। আওয়ামীলীগ সেটা কখনোই খন্ডায়নি কারন হচ্ছে ঐতিহাসিক ভাবেই ভারতের সাথে আওয়ামীলীগের একটি সম্পর্ক আছে। তবে আসল কথা হচ্ছে, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কোন মসজিদের আজান বন্ধ হয়নি, মসজিদের উলু ধ্বনি হয়নি। কথা হলো, সেই তো তোরা নিকাহ বসলি, তবে কেন অন্যের উপড়ে অপবাদ দিলি ?
আজকে দেখেন সেই বিএনপি-জামাত বা তাদের সমর্থকেরা মোদির জয়লাভের পর থেকে একেভারেই বাংলাদেশ কে মনে করা শুরু করে দিয়েছে ইহা একটি ভারতীয় অঙ্গরাজ্য। সত্যি কি বিচিত্র তাই না ? বলছি না, এটা খারাপ কিছু, কারন ভারত যেহেতু পাশ্ববর্তী একটি বৃহত দেশ তাদের সাথে সকলের উচিত সু-সম্পর্ক রাখা। তবে বিএনপি-জামাত ও তাদের সমর্থকদের এই হঠ্যাত ভারত প্রেম স্বভাবতই সামনে নিয়ে আসে একটি প্রশ্ন সেটা হচ্ছে
বিএনপি-জামাত কি তাহলে ভারতের দালালির এজেন্সি নিয়েছে ?
এখন থেকে কি তাহলে বিএনপি-জামাতও ভারতের দালালি শুরু করল ?
বিএনপি-জামাতের উৎসাহ উদ্দিপনা ও মুখের ভাষার অবস্থা দেখে যে কারোরই নৈতিক ভাবেই প্রশ্ন গুলো সামনে চলে আসবে। যদিও জানি যে বিএনপি-জামাতের নৈতিকতা মুতের ফেনার মত কিছুক্ষন থাকে তারপরে বিলিন হয়ে যায়। তবুও জানতে ইচ্ছে করছে।
বিএনপি-জামাত ও তাদের সমর্থকেরা কি ভারতের দালাল হয়ে গেল ?