![]()
মিছা ইব্রাহীমঃ আমি তো বলেছিই নৌকায় উঠেছিলাম, তো জালিয়াতি কিভাবে?
প্রতিবেদক : আচ্ছা বুঝলাম, তাহলে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া নতুন বির্তকের বিষয়েই আসি। আপনার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়া নিয়ে যে বির্তক শুরু হয়েছে.. এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি ?
মিছা ইব্রাহীম : ২০১১ সালের ৯ মার্চ আমরা যখন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার জন্য নামলাম বদর মোকামে, সেদিন জাপানে সুনামি ছিলো। সুনামির কিছুটা প্রভাব আমাদের এখানেও এসে পড়েছিলো। আমার মনে হয় এই বিষয়ে আপনারা জাপান সরকারের মতামত নিলে বুঝতে পারবেন যারা বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে, সেদিন তারা কত বিপদে ছিল।
প্রতিবেদক : আমরা আপনার বক্তব্য জানতে চাচ্ছি...
মিছা ইব্রাহীম : আমার দিক থেকে বলছি, আপনি পরে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জাপান সরকারের কাছ থেকে জেনে নিয়েন, আমি যখন হাপ-প্যান্ট পরে ৯ মার্চ সাতারে নামলাম যখন তখন টিংকু চৌধুরী নামের একজন ছিলেন যিনি আমাদের টিমের বাহিরে ছিলেন। তিনি নৌকা নিয়ে আমাদের পিছন নিয়েছিলেন, যা নৌকায় করে বাংলা চ্যানেল পাড় হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের খুবই ডিস্টার্ব করছিলেন অতিউৎসাহী হয়ে। সেই ডিস্টার্বের ফলে এক অবস্থায় সুনামির ঢেউয়ের প্রভাবে যার সাক্ষী জাপান সরকার এমন একটা অবস্থা হয়েছিলো যে আমি সাতারের সময় ট্রলারের উপড় থেকে নিচে পড়ে গিয়ে একেবারে নিচ থেকে নিচে মানে পানির তলে চলে গিয়েছিলাম। ট্রলারের লোকজনের কাজই ছিলো যদি ট্রলার থেকে পানিতে পড়ে গিয়ে আমাদের কোন প্রাণ সংশয়ী ঘটনা ঘটে তাহলে তারা যেন আমাদেরকে উদ্ধার করে। তো তারা আসলে নেই কাজটিই করছিলো, যদিও আমি বারবার তাদের মানা করছিলাম যে আমাকে তোলার দরকার নেই, আমি পানির নিচেই রেকর্ড করে মরে যেতে চাই। কিন্তু তাদের কাজ যেহেতু রেসকিউ করা, তো ওরা আমাকে ট্রলারে টেনে তোলে।
প্রতিবেদক : এরপর?
মিছা ইব্রাহীম : টেনে তোলার পর আমি বুঝতে পারলাম, আমি অনেকটুকু লবনাক্ত পানি খেয়ে ফেলেছিলাম তারপরেও আমার যেটুকু শক্তি ও সাহস রয়েছে তা দিয়ে আমি বাকি পথটুকুও সাগরের পানি খেতে খেতে পার হতে পারবো। মাঝখানে ধরেন ট্রলারে করে আমরা সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দশ মিনিট পার হয়েছিলাম। এখন ৭১ টিভি যা বলতে চাচ্ছে যে, আমি ট্রলারে করে বাকি পথ গিয়ে সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি গিয়ে নেমে সাতরে উঠে বলেছি, আমি বাংলা চ্যানেল পাড় হয়েছি। এটা ঠিক নয়।
প্রতিবেদকঃ তাহলে কোনটা ঠিক ?
মিছা ইব্রাহীমঃ এই ঘটনা তো আমি 'মিশন বঙ্গোপ সাগর ও কিলিমানজারো' নামে ইতিহাস লিখেছি, সেখানে উল্লেখ করেছি। আপনি সেটা পড়ে নিয়েন।
প্রতিবেদকঃ আপনার মুখ থেকে শুনতে চাচ্ছিলাম,
মিছা ইব্রাহীমঃ আমরা যখন সেন্টমার্টিন থেকে বদর মোকামে যাচ্ছিলাম ১৪ কিলোমিটার ট্রলারে করে গিয়েছি।
প্রতিবেদকঃ সেন্টমার্টিন থেকে বন্দর মোকামের দুরত্ত কত ?
মিছা ইব্রাহীমঃ ধরেন ২৮-২৯ কিলোমিটার হবে হয়তো।
প্রতিবেদকঃ তার মানে ২৯ কিলোমিটারের মধ্যে আপনি ১৪ কিলোমিটার ট্রলারে করে পার হয়েছেন ?
মিছা ইব্রাহীমঃ জ্বি।
প্রতিবেদক : তাহলে আপনি বলছেন কোনো ধরনের জালিয়াতি হয়নি?
মিছা ইব্রাহীম : এখন বিষয় হলো, ওরা যে বলেছে আমি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছি, আসলে এটা খুবই দুঃখজনক একটি শব্দ আমার জন্য। এবং এর সাথে এটাও বলতে চাই, আমি মাত্রই ফিরলাম নেপাল থেকে। ওরা কিছু কথা বলেছে এভারেস্ট নিয়ে যা ডাহা মিথ্যা কথা। পরে আপনাদের কাছে আমি বিস্তারিত জানাবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


