somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও যখন ছাত্ররা হীনমন্যতায় ভোগে.

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

............বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া ছেলেটি ভাবে , "ইস ,যদি ইলেক্ট্রিক্যাল পড়তে পারতাম !!! ..."

............অল্পের জন্য বুয়েটে চান্স না পাওয়া ছেলেটি ঢাবির এপ্লাইড ফিজিক্সে ভর্তি হয়ে ভাবে , " বুয়েটে যে কেন একটা সাবজেক্ট পেলাম না !!যেকোন একটা সাবজেক্ট পেলেই বিন্দাস হতো ... " ।

.........ঢাবিতে ওয়েটিং এ থেকে চান্স না পাওয়া ছেলেটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে ভর্তি হয়ে ভাবে " ধ্যত্তুরি , ঢাবি টা মিস হয়ে গেল ...।। আবারো হতাশ হইয়া গেলাম ...।।"

.........ঢাবি , জবি কোথাও চান্স না পেয়ে বাংলা কলেজে ফরম তুলে ছেলেটি মনে মনে ভাবে " ইসস , জগন্নাথেও যদি যেকোন একটা সাবজেক্ট এ ভর্তি হতে পারতাম , কত্ত ভালো হতো...!! "

এগুলো হল আমাদের দেশের স্টুডেন্টসদের হতাশা ।। যে যেখানেই থাকুক সবাই কেমন জানি সবার পজিশান থেকেই হতাশ ।। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ এর উল্টো ।। দুই একটা বিষয়ে একটু বলি ...


বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতেই যথেষ্ট পরিমাণ ফেসিলিটি আছে স্টাডি করার , আছে পর্যাপ্ত স্টাডি ম্যাটারিয়ালস ।। আমার জানামতে এমন একজন স্টুডেন্টস ও নাই যে তার ভার্সিটিতে কোন একটা ইকুইপমেন্ট এর অভাবে গবেষণা করতে পারে নাই , বা তার পড়াশুনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কিছু পাই নাই ।।
কোথাই কি আছে না আছে তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে তো তোমার লাভ নেই , তুমি চিন্তা করো যে তুমি তোমার স্টাডি ম্যাটারিয়ালস গুলো ক্যাম্পাস থেকে ঠিকমত পাচ্ছো কিনা ।। এখন তুমি যদি ভাবো যে , তোমার ক্যাম্পাসে কোথাও ওয়াইফাই নাই আর ঢাবিতে টয়লেটে গেলেও ওয়াইফাই পাওয়া যায় তাহলে সারাজীবন হতাশ ই থেকে যাবা ।।


এবার আসি ভার্সিটি লাইফের পরের অংশে যাকে আমরা বলি লাইফের প্রফেশনাল পিরিয়ড ।। যারা গ্র্যাজুয়েশন শেষে স্কলারশিপ নিয়ে হাইয়ার স্টাডি করতে চাও , তাদের বলি ...

বাইরের ইউনিভার্সিটি গুলোতে যখন তুমি এপ্লাই করবা তারা কিন্তু তোমাকে বুয়েটে কিংবা ঢাবিতে পড়া নিয়ে প্রাওরিটি দিবে না , তারা প্রাইওরিটি দিবে তোমার সিজিপিএ + ওদের ক্যাম্পাসের কিছু রিকুয়ারমেন্টস লাগে ওইগুলো , যেমন ঃ ইউ এস এ কিংবা কানাডাতে যারা পড়তে যাবা তাদের জি আর ই , টুফেল কিংবা IELTS দিতে হবে , সাথে তারা তোমার কোন পাব্লিকেইশন্স থাকলে স্বভাবতই প্রাইওরিটি দিবে ।। তেমনি প্রত্যেক দেশের প্রত্যেক ভার্সিটির জন্যই স্পেসিফিক কিছু রিকুয়ারমেন্টস আছে ।। লক্ষ্য করো , কোন ভার্সিটির কোন প্রফেসর তোমাকে জিজ্ঞেস করবে না যে তুমি বাংলাদেশের কোন ভার্সিটি থেকে পড়ে আসছো ।। ওরা দেখবে তোমার ডিপার্টমেন্ট এবং রেজাল্ট ।।


এবার দেশের কথাই আসি , গত দুই বছর আগে বিসিএস এ ফার্স্ট হয়েছে ইডেনের এক ছাত্রী ।। হাউ ইজ ইট পসিবল ?? পসিবল , কারন ওই মেয়েটি হতাশ হয়নি , সে তার দ্বারা যতটুকু সম্ভব এচিভ করার চেষ্টা করেছে এবং ফাইনালি করেছেও ।। সময়কে ন্যানোসেকেন্ডে ভাগ করে সে চেষ্টা করেছে প্রোপারলি ইউটিলাইজ করার ।।

মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু সেক্টর বাদে বাকি সব সরকারি সেক্টরেই মুটামুটি সবাই পার্টিসিপেট করতে পারে ।। এক্ষেত্রে কোন স্পেসিফিক ভার্সিটির কাউকে প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে আমার জানা নাই ।।
,

একটা ঘটনা বলি , ২০১৩ সালে আমাদের মেকানিক্যাল এর একটা টিম গিয়েসিলাম কুয়েটে একটা রোবোটিক কম্পিটিশিন এ ।। বুয়েট , আই ইউ টি , এম আই এস টি সহ সবগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি এবং কিছু প্রাইভেট ভার্সিটি পার্টিসিপেট করে ।। কিন্তু , ওই কম্পিটিশন এ ফার্স্ট হয়ে যায় বি আই ইউ টি নামের একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস রা ।। বুঝতে পারসো ?? একটা ভাল ভার্সিটিই সব না।।

সবশেষে একটা কথা বলি , একটা ভার্সিটি কখনোই তোমার সাফল্যের প্রধান কারন নয় , হতে পারে একটা অন্যতম কারন ।। তোমার সাফল্যের প্রধান কারন তুমি নিজে ।। যেখানেই পড়ো নিজের পজিশনটাকে কখনোই ছোট করে দেখো না ।। মনে রাখবা , তোমার ভেতরে পটেনশিয়াল থাকলে পৃথিবী সেটা জানবেই ............।।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×