১.
সুমন হকের পেপারে চোখ বইয়ের বিজ্ঞাপনে
মন কাড়া সব কভার দেখে ভাবে মনে মনে
নতুন লেখক নিজের টাকায় চালায় বিজ্ঞাপন
পাঠক যাতে একটু করে দৃষ্টি আকর্ষণ
কিন্তু বইয়ে পড়ার মতো বিষয়টা না থাকলে
কাঁঠাল কি আর কিলিয়ে পাকে নিজে না ভাই পাকলে?
বইকে এখন পন্য ভেবে এরা লেখক সাজে
টাকার জোরে লেখক হওয়ার ধান্দাটা খুব বাজে
স্টলে বসে আশায় থাকে দেবে অটোগ্রাফ
পাঠক এমন লেখকদেরকে করে দিয়েন মাফ।
২.
সুমন হকের ইচ্ছা ছিল বইমেলাতে যাবে
খুব সহজে এক স্টলে প্রিয় বইটা পাবে
কিন্তু বিধিবাম
নেই মনে তার প্রকাশনীর নাম
বাধ্য হয়েই ঘুরতে হলো সব স্টলে স্টলে
কেউ কারও বই বেচবে না তা কোন নিয়মে বলে?
বইয়ের খবর নিতে গেলে যায় রেগে দোকানি
এটা হলো একাডেমীর পাঠককে হয়রানি।
৩.
সুমন হকের সামনে হঠাৎ হলদে পোষাক পরা
কিছু তরুন মিছিল করে, কেউ খেল কি ধরা!
ভাবতে থাকে এটা কেমন বইয়ের প্রচার ভাইরে
হিমু নাকি রিমান্ডে তাই খুশির সীমা নাইরে
জনপ্রিয় লেখক বলেই পাগলামি সব মাফ!
প্রকাশকের কৌশলটা বোঝা খুবই টাফ।
৪.
সুমন হকের হঠাৎ আবার প্রশ্ন মনে জাগে
একটা জিনিস দেখিনি তো আগে
এনজিওদের বেশ কটা স্টল
এখন ওদের অনেক শক্তি বল
মাসিক কাগজ স্টল পেয়েছে এটা কেমন কথা?
স্টলের শর্ত মাফ হয়ে যায় রয় যদি মতা?
৫.
নেই কর্ণার শিশুবইয়ের ভাবছে সুমন হক
পছন্দের বই কিনতে এসে মিশু খাবে ঠক
ভিড়ের মাঝে কেমন করে খুঁজবে প্রিয় বই
আলাদা স্টল দিতে ভাই সমস্যাটা কই?
৬.
ফেরার পথে একাডেমীর উল্টোদিকে তাকায়
সুমন হকের অবাক দুচোখ খাবার দোকান থাকায়
পায়ের চাপায় ছোট ছোট বৃ মরে যাবে
বৃক্ষপ্রেমী দ্বিজেন শর্মা কষ্ট মনে পাবে।
টীকা : সুমন হকের হাতে ছিল একটা নতুন গ্রন্থ
ওটার বিষয় কী হবে তা কন তো, পাঠক, কন তো?
পারার কথা নয়, `বইটা হলো কেমন করে খুঁত ধরতে হয়'
যে বই পড়ে সবকিছুতে খুঁত ধরা যায়, পাঠক
সুমন হককে কালকে নাকি র্যাব করেছে আটক।
বিবেক : ওরে পাগল মন...,
সবকিছুতে খুঁত ধরা তোর কিসের প্রয়োজন?