ঠিকই দেখছেন !!
উপরের উক্তিটি সিনিয়র এক আওয়ামী লীগ নেতার। প্রধানমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ট এক নেতা গতকাল নিরীহ এক হিন্দু উকিলকে এই হুমকী দেন।
গতকাল আওয়ামী অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছিলেন , দেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার এতই বেড়ে গেছে যে আগামী বিশ বছরে আর কোনো হিন্দু এদেশে থাকবে না।
তিনি জামাতকে ইঙ্গিত করে একথা বলেছিলেন।
কিন্তু এখন দেখতাছি আওয়ামী নেতাদের ২০ বছরও তর সইছে না.....
পুরো খবরটি এ রকম,
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু ও কমিউনিস্ট পার্টির জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, 'অনেক বাইড়া গেছস, অনেক গভীরে হাত দিয়া ফালাইছস, সামাল দিতে পারবি না। বউ পোলাপান নিয়া শহরে থাকতে পারবি না। আজ থেইকা নারায়ণগঞ্জের অবস্থা কি হয় দেখবি।' তিনি প্রদীপ ঘোষ বাবুকে 'মালাউনের বাচ্চা' বলে সন্মোধন করেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টায় চাষাঢ়াস্থ নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ হুমকি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে তারা দুজন জিডি করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গেলেও সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত জিডি নেয়নি পুলিশ।
প্রদীপ ঘোষ বাবু ও হাফিজুল ইসলাম জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে আসছে। গত ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতা রফিউর রাবি্বর জ্যেষ্ঠ পুত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকি নিখোঁজ হয়। ৮ মার্চ তার লাশ পাওয়া যায়। তখন থেকে আমরা ত্বকির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন করে আসছি। গতকাল ২৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বনির্ধারিত শহীদ তাজুল স্মরণসভার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় শহীদ মিনারে হাফিজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু, বাসদ নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, গণসংহতি নেতা অঞ্জন দাস আলোচনা করছিলেন। এ সময় শামীম ওসমান একটি কালো গাড়িতে এসে শহীদ মিনারের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে যুবলীগ নেতা বাদল রায়ের মাধ্যমে আমাদের ডাকান। প্রদীপ ঘোষ বাবু ছাড়া বাকিরা এগিয়ে গেলে শামীম ওসমান বলেন, 'ওই মালাউনের বাচ্চাটাকেও ডাক।' বাবু এগিয়ে গেলে শামীম ওসমান অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, 'অনেক বাইড়া গেছস, অনেক গভীরে হাত দিয়া ফালাইছস, সামাল দিতে পারবি না। বউ পোলাপান নিয়া শহরে থাকতে পারবি না। আজ থেইকা নারায়ণগঞ্জের অবস্থা কি হয় দেখবি।' এই বলে তিনি ড্রাইভারকে বলেন 'চল।'
বাবু ও হাফিজ বলেন, শামীম ওসমানের হুমকির কারণে আমি আমার পরিবারপরিজন, সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মী, আমার সহযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছি। যে কোন সময় শামীম ওসমান বা তার লোকজন আমার অথবা আমাদের যে কোন ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় জিডি করতে গেলেও সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত জিডি নেয়া হয়নি। তারা জিডি করার জন্য থানায় বসেছিলেন।
অনেক হাম্বা এটা লিংক চাইতে পারেন, তাই দিলাম, Click This Link
এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম না, দুই দিন আগেও দেখেন এ ধরনের আর একটি ঘটনা,
মিছিলে না যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে আওয়ামী লীগের হামলা
স্বাধীনতা দিবসের মিছিলে যোগ না দেয়ায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন ও পুলিশ জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান গ্র“পের সমর্থকরা দয়রামপুর ঘোষপাড়ার সংখ্যালঘুদের মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের মিছিলে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তারা মিছিলে যেতে অস্বীকার করেন। পরে রাতে আব্দুল মান্নানের সমর্থক ইসার নেতৃত্বে কার্তিক ঘোষ, মদন ঘোষ ও রবি ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এ সময় তারা ওই বাড়িগুলোতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
Click This Link
হাম্বারা হয়তো বলতে চাইবেন, এগুরো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আসলে তা না। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এই দলটির ধারনা সংখ্যালঘুরা জন্মগতভাবেই তাদের দল করবে ও ভোট দিবে। তাদের মিছিলে আসতে ও তাদেরকে হুজুর হুজুর করতে তারা বাধ্য। না করলেই গদাম।
এই পর্যায়ে হিসেব করা কি খুব কঠিন যে কেন সরকার এই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করছে না?
কেন সুশিল মিডিয়া নামের প্রতারকগুলো এই খবরগুলো দেয় না?
সুশিল মিডিয়াগুলো মার্চ মাস জুড়ে ১৩৪ টি গাড়ি ভাংচুর নিযে স্পেশার নিউজ করে, কিন্তু ১৮০ জন মানুষের মৃত্যু নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
আমার তো মনে হয় সব পানির মত পরিস্কার..........