গত ২৬ মার্চ শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দাবির ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মনে হচ্ছে সরকারের টনক নড়েনি, তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, যা প্রকারান্তরে শাহবাগের দাবিকে উপেক্ষা করার শামিল। এ দাবি উপেক্ষা করে সরকার যে স্পর্ধা দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন।’
ইমরানের এ বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বক্তব্য রাখেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস গণজাগরণ মঞ্চ পায় কোথায়? তাদের বক্তব্য কারা লিখে দেয় খুঁজে বের করেন। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, অনেকে মনে করেন আমি তাদের বক্তব্য লিখে দিই। আসলে তা সত্য নয়। আমিও মনে করি, এখন আর এই মঞ্চ রাখা ঠিক নয়।
মানে ঘটনায প্যাচ ..........
প্যাচ..........
প্যাচ.........
জবাবে আজ ইমরান বলেছে, “কারো পরামর্শ বা নির্দেশে গণজাগরণ মঞ্চ হয়নি। তাই কারো নির্দেশে তা বন্ধ হবে না।”
‘গণজাগরণ মঞ্চ কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না’
মানে ওরা মেনে নিল যে প্রধানমন্ত্রী ওদের রক্তচক্ষু দেখানো শুরু করেছে !!!
কেন দেখালো, এটা নাকি তারও অন্তরের দাবি? গনজাগরনের প্রত্যেকটা দাবির সাথে তারা নাকি একমত!!!
তাহলে এই রক্তচক্ষুর কি দরকার!!!
তবে কি ধরে নিব অতীতের মত আওয়ামী লীগের যতদিন এই গনজাগরনকে দরকার ছিল ততদিন তারা শুধু ব্যবহারই করে গেছে?
জামাতকে যেভাবে তারা ব্যবহার করেছে , একই রকম হ্যান্ডেলিং নাকি এটাও?
আরো একটা মজার বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, দীর্ঘদিন ধরে গনজাগরনের একটি ষ্টিকি পোষ্ট ছিলো আমাদের সামু ব্লগে। পরে যেটি আসলো তাও একই দাবির পোষ্ট। অনশনের খবর।
কিন্তু সরকার যখন বলা শুরু করলো যে মঞ্চ বন্ধ করার সময় এসেছে, ঠিক তখন থেকেই বিস্ময়করভাবে সামুতে গনজাগরনের দাবি নিয়ে ষ্টিকি পোষ্ট সরিয়ে দেয়া হলো। অথচ দাবি কিন্তু এখোনো পুরন হয়নি। জাষ্ট সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
জরুর ডাল মে কুছ কালা হ্যায় !!!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৭