somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপকক্সবাজারের মহেশখালী

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা এ জায়গাটিতে রয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের চমৎকার চমৎকার মন্দির। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে চারিদিকে বিস্তীর্ণ সমুদ্রের দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়া জলরাশি দেখা যায় কেবল মহেশখালী থেকেই। পাহাড়, দ্বীপ আর সাগরের এই মিলনস্হলে প্রতিদিন বহু লোক ঘুরতে যায়।

যেভাবে যাবেন
মহেশখালী যেতে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে পারেন স্হলপথ, রেল পথ কিংবা আকাশ পথে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের পথে যে সব এসি বাস চলাচল করে তা হলো-গ্রীন লাইন, নেপচুন, সোহাগ পরিবহন। ভাড়া ৪৮০ থেকে ৫১০ টাকা এবং নন এসি বাসে ভাড়া ৩০০ টাকা। সৌদিয়া, এস আলম, ইউনিক, চ্যালেঞ্জার প্রভৃতি নন এসি বাস চলে কক্সবাজারের পথে। কক্সবাজার নেমে কস্তরী ঘাট যেতে হবে রিকশায়। মহেশখালী ঘাট বললেও সবাই চেনে। কস্তরী ঘাট থেকে মহেশখালী স্পীড বোট কিংবা লঞ্চেও যাওয়া যায়। স্পীড বোটে মহেশখালীর ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা আর পথ মাত্র ১৫ মিনিটের। লঞ্চে ভাড়া ১৫ টাকা, সময় এক ঘন্টার মতো।

প্যাকেজ
ঝামেলাহীন ভ্রমণ করতে যে-কোনো ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে যেতে পারেন মহেশখালী। মহেশখালীতে প্যাকেজ ট্যুর পরিচালনা করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো-

১. জার্নিপ্লাস
ঠিকানা : রুম # ৫০/এ, ২য় তলা, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা।
ফোন : ৯৬৬০২৩৪, ০১৮১৯২২৪৫৯৩।

২. রিভার এন্ড গ্রীন ট্যুরিজম
এম আর সেন্টার, বাড়ি # ৪৯ (৭ম তলা), সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা।
ফোন : ৮৮২৬৭৫৯।

৩. সেন্টমার্টিন ট্যুরিজম লিমিটেড
৩৭, বি পুরানা পল্টন, ঢাকা। ফোন : ৯৩৩৮৪৩১।
চ্যানভয়েজ ট্যুরিজম
বাড়ি # ২৮, সড়ক # ৩, সেক্টর # ৪, উত্তরা, ঢাকা। ফোন : ৮৯২১৫৬৪।

যেখানে থাকবেন
মহেশখালীতেই রাত্রি যাপনের ব্যবস্হা আছে। মহেশখালীতে মোটামুটি ভাল থাকার হোটেল হলো ‘হোটেল সি গার্ডেন’। কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে থাকতে পারেন। এখানে বেশকিছু ভালোমানের হোটেল আছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল শৈবাল, লাবনী, প্রবাল ছাড়াও বেসরকারি হোটেলগুলো হলো হোটেল সী গাল, হোটেল সী প্যালেস, মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল, জিয়া গেস্ট হাউজ, সোহাগ গেস্ট হাউজ, গ্রীন অবকাশ রিজোর্ট, নিটল বে রেস্ট হাউজ প্রভৃতি। এসব হোটেলে ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায় রাত্রি কাটানোর ব্যবস্হা আছে।

যা যা দেখবেন
ব্রোঞ্জ নির্মিত বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি: মহেশখালী স্টেশনে নেমে একটি রিকশা ঠিক করতে পারেন সারা দিনের জন্য। রিকশাওয়ালাই গাইড করবে আপনাকে। স্টেশন থেকে প্রথমেই চলে যান বৌদ্ধ মন্দিরে। এখানে সোনালী রঙের দু’টি বৌদ্ধ মন্দির দেখতে খুবই সুন্দর। এছাড়া এখানেই রয়েছে ব্রোঞ্জ নির্মিত বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি। মন্দির এলাকায় প্রবেশের আগেই জুতা খুলে রেখে যেতে হবে। এখান থেকে বেরিয়ে সামনেই পড়বে উপজাতীয়দের তৈরি তাঁতবস্ত্রের দোকান।

আদিনাথ মন্দির:
বৌদ্ধ মন্দির থেকে বেরিয়ে চলুন মহেশখালীর আকর্ষণ-আদিনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে। রিকশা আধাঘন্টা চললেই পৌঁছে যাবেন আদিনাথ মন্দিরের পাদদেশে। এই আদিনাথ মন্দিরটি কয়েকশ’ বছরের পুরনো। মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্হিত আদিনাথ মন্দিরে অবশ্যই উঠবেন। ভূমি থেকে ৬৯টি সিঁড়ি অতিক্রম করে উঠে পড়ুন আদিনাথ মন্দিরে। এই মন্দিরের ভেতরেই রয়েছে অষ্টভুজা দুর্গা মন্দির। আদিনাথ মন্দির থেকে আরেকটু সামনেই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে আরেকটি মন্দির। এটি দেখতেও ভুলবেন না। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মন ভরে দেখে নিন চারপাশের সমুদ্রকে।

জেলে পাড়া:
আদিনাথ মন্দির থেকে নেমে চলে আসুন জেলে পাড়ায়। এখানকার জেলেদের জীবনযাপনের সাথে পরিচিত হতে পারেন। এছাড়া সমুদ্রের পাড়ে দেখতে পারবেন বিচিত্র শামুক আর ঝিনুক। মহেশখালীর যে-কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিতে পারেন মজার মজার সামুদ্রিক মাছ। কম দামে এখানে খেতে পারেন মজাদার রূপচাঁদা মাছ। যারা শুঁটকি পছন্দ করেন তারা এখান থেকে কিনতে পারেন নানান ধরনের শুঁটকি।

আরো কিছু জায়গা:
মহেশখালীর আদিনাথ বাজার, জয়ের খাতা, হরিয়ার চরা, জেমঘাট, পাকুয়া, মাতার বাড়ি, পশ্চিমপাড়া প্রভৃতি জায়গাগুলোও চমৎকার। এসব জায়গায়গুলোতে যেতে ভুল করবেন না কিন্তু।
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×