somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেসকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

২২ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা অনেক শব্দ ব্যবহার করি যেগুলো ইহুদি-নাসারা-নাস্তিক-মালাউন-মুশরিক-বিধর্মীদের ব্যবহৃত খাছ শব্দ। যেমনঃ জল শব্দটি যবন,ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের খাছ শব্দ। আবার অনেক শব্দ রয়েছে যে শব্দগুলো ব্যবহার মুলত ইসলামকে ইহানত করার শামিল। যেমনঃ আদিম শব্দটি দ্বারা প্রাচীন বর্বর ইত্যাদি বুঝানো হয়। অথচ আদিম শব্দটি মুলত হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক থেকে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আদিম শব্দটি মুলত হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে ইহানত করার শামিল। তাই এ সকল শব্দ পরিহার করে বিকল্প শব্দ ব্যবহার করা উচিত। নিচে কিছু শব্দ বা শব্দগুচ্ছ তুলে ধরা হলো যেগুলো মুসলমানদের পরিহার করা উচিতঃ



১. Holy: আমরা সাধারণ পবিত্র বুঝাতে ইংরেজীতে “Holy” শব্দটি ব্যবহার করি। যেমনঃ Holy Qur’an। কিন্তু এই শব্দটি ইহুদী-নাছারাদের খাছ শব্দ। তারা পবিত্র বুঝাতে “Holy” শব্দটি ব্যবহার করে। যেমনঃ Holy bible, Holy cross ইত্যাদি। তাই মুসলমানদের জন্য “Holy” শব্দটি পরিহার করে “Sacred” শব্দটি ব্যবহার করা উচিত।



২. লাল গোলাপ শুভেচ্ছাঃ লাল গোলাপ মুলত সমাজতন্ত্রের একটি প্রতীক যারা মুলত নাস্তিকতায় বিশ্বাসী। অথচ মুসলমানরা কাউকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় “লাল গোলাপ শুভেচ্ছা” শব্দটি ব্যবহার করে।। এর দ্বারা মুলত নাস্তিকদের অনুসরণ করা হয়। তাই “লাল গোলাপ শুভেচ্ছা” শব্দটি পরিহার করা উচিত।



৩. লাল গালিচা শুভেচ্ছাঃ লাল রঙ , লাল পতাকা, লাল গোলাপ ইত্যাদি মুলত নাস্তিক সমাজতান্ত্রিকদের প্রতীক। তারা কাউকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় লাল গালিচা ব্যবহার করে থাকে এবং শুভেচ্ছা জানানোর সময় “লাল গালিচা শুভেচ্ছা” শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। তাই মুসলমানদের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে লাল গালিচা ব্যবহার করা এবং “লাল গালিচা শভেচ্ছা” শব্দটি ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।



৪. প্রাক ইসলামিক যুগঃ “প্রাক” শব্দের অর্থ হচ্ছে “পূর্বে বা আগে”। সুতরাং “প্রাক ইসলামিক যুগ” অর্থ হলো “ইসলাম পূর্ব যুগ”। হযরত আদম আলাইহিস সালাম পৃথিবীর প্রথম মানুষ যিনি ইসলামের বাণী নিয়ে এসেছেন। তাহলে ইসলাম পূর্ব যুগের কোনো অস্তিত্ব আসে কোথা থেকে? তাই “প্রাক ইসলামিক যুগ” শব্দটি সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য।



৫. ইসলামী রেনেসাঁ : “রেনেসাঁ” শব্দের অর্থ হলো চৌদ্দ থেকে ষোল শতকের প্রাচীন গ্রীসের সাহিত্য ও চিত্রকলার পুনরুজ্জীবন, নবজাগরণ, পূর্ণজম্ম ইত্যাদি। অর্থাৎ “রেনেসাঁ” শব্দটি মুলত বিধর্মীদের হারাম কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট । তাই ইসলামের সাথে “রেনেসাঁ” শব্দের ব্যবহার মোটেও গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এর পরিবর্তে “ইসলামী জাগরণ” শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে।



৬. আদিম যুগঃ প্রায় সকল সমাজ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বই-পত্রে “আদিম যুগ” শব্দটি ব্যবহার করা হয় যা মুলত “আদম” শব্দ মুবারক থেকে নেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আদিম মানুষ গাছের ছাল-বাকল পরিধান করত, গুহায় বাস করত, বর্বর ছিল, ভাষা ছিল ইত্যাদি। অথচ পৃথিবীর প্রথম মানব হচ্ছে হযরত আদম আলাইহিস সালাম যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার একজন নবী ছিলেন। তিনি সুন্নতী লেবাছ পরিধান করতেন, ঘর-বাড়িতে বসবাস করতেন, অনেক ভাষা জানতেন। সুতরাং “আদিম” শব্দটি সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য এবং আদিম যুগ বলে কোনো যুগ নেই। বরং তাবৎ বিধর্মীরা আগেও বর্বর ছিল, এখনো আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত বর্বরই থাকবে।



৭. দর্জি অর্থে খলীফাঃ অনেকে যারা কাপড়-চোপড় সেলাই করেন তাদেরকে দর্জি না বলে খলীফা বলে থাকে। অথচ খলীফা শব্দের ব্যপকতা অনেক। খলীফা হচ্ছেন যিনি খিলাফত পরিচালনা করেন। একজন ব্যক্তিকে খলীফা হতে হলে যে সকল যোগ্যতা হাছিল করতে হয় তার বিন্দু থেকে বিন্দুতম যোগ্যতা একজন দর্জির নেই। মুলতঃ খলীফা তথা খিলাফতকে ইহানত করার জন্যই এই শব্দটি দর্জির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই দর্জিকে খলীফা বলা সম্পূর্ণ পরিহার করা উচিত।



৮.বলির পাঠাঃ যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুরা তাদের পুজাতে পাঠা বলি দেয় , সেখান থেকে মুলতঃ “বলির পাঠা” শব্দটি এসেছে। অথচ প্রায়ই মুসলমানদের ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহার করতে দেখা। যেমনঃ অমুকের জন্য অমুক বলির পাঠা হলেন। তাই এই খাছ হিন্দুয়ানী শব্দটি ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে।



৯. ইফতার পার্টিঃ “পার্টি” শব্দটি মুলতঃ বিধর্মীদের নানা ধরণের হারাম অনুষ্ঠান বুঝাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আফসুস সাথে বলতে হয়, মুসলমান অতি মর্যাদাবান ইবাদতের সাথে “পার্টি” শব্দটি যোগ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমনঃ ইফতার পার্টি। তাই এই শব্দটি পরিহার করে “ইফতার মাহফিল” শব্দটি ব্যবহার করা উচিত।
৩৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×