somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একাত্তরের যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার কাজ শুরু করতে সরকার কতটুকু প্রস্তুত ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একাত্তরের যুদ্ধাপোরাধীদের বিচারে আওয়ামী লিগ সরকারের আন্তরিকতা আছে কি না সেইটা নিয়া প্রশ্ন না তুলেই মনে প্রশ্ন জাগছে, "সরকার আসলে কতটুকু প্রস্তুত বিচার কাজ শুরু করতে"।

ব্লগে রুবেলের এক পোস্টে দেখলাম গোল টেবিল বৈঠকে সবাইকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবারো নজাগরন ও সচেতনতা স্মৃস্টি করতে আহবান জানিয়েছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা ঠিকই আছে, আছে বিচার চাইবার আখুতি, আছে ঐকান্তিক জাগরন। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কতটুকু জাগরন স্মৃস্টি হলে হলে সরকারের বাস্তব কিছু করার প্রেরণা জাগবে?

রুবেল - অরন্যরা সব কিছু ফেলে ফুলে পাগলের মতো মানুষের স্বাক্ষর জোগার করবে আর সেই স্বাক্ষরগুলো গুদামঘরে পঁচে মরবে সেটাতো হতে পারে না। সাধারন মানুষের মাঝে জাগরন ঠিকই আছে , সবই ঠিক ; আছে । এখন দরকার সরকারের কাজ শুরু করবার পালা, বিচার কাজ শুরু করবার পালা। এটা না করে হাজারো সুশীল গোল টেবিল করলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছে করে।

১) বিচারে কাজে কারা কারা অভিযুক্ত হবে ?
হাতে গোনা - মুখ পরিচিত কিছু গোআ- নিজামী জাতীয় জামাতি নেতা না একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপোরাধী সকল রাজনৈতিক নেতা- কর্মী ?
মুখ চেনা কিছু পরিচিত পশুর বিচার হলে সেটা মুলত আই ওয়াশই হবে, পরিপূর্ন বিচার হবে না।
২) রাজনৈতিক অভিযুক্ত ছাড়াও যারা শান্তি কমিটিতে ছিলো বা কোলাবেরটর হিসেবে কাজ করেছিলো তারাও কি বিচারের সম্মুখিন হবে ?
৩) পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপোরাধীদেরও কি বিচারের সম্মুখিন করা হবে ?
৪) রাজাকার বাহিনীতে কাজ করা রাজাকার ও ইপকাফ এর সদস্য অবাঙালীরাও কি বিচারের সম্মুখিন হবে ?
এ ব্যাপরে সরকারের কোনো সুনির্দিস্ট ঘোষনা আছে কি ?

যাই হোক, ধরা যাক জাগরন স্মৃস্টি হলো। তার পর সরকারকে কিন্তু অনেক কাজ করতে হবে। আনুস্ঠানিক ভাবে অভিযোগ আনতে হবে, সেটার তদন্ত করতে হবে। তদন্ত শেষে পুলিশের অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পরই বিচার কাজ শুরু হবে। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ন মামলা বলে এটায় এমনভাবে তদন্ত করতে হবে ও অভিযোগপত্র দিতে হয় যাতে আদালতে গিয়ে কোনো ফাঁক ফোকরেই যুদ্ধাপোরাধীরা ছাড় না পায়। অনেকে হয়তো বলবেন, তথ্য- উপাত্ত- প্রমান অনেক আছে। মানছি আছে; কিন্তু আবেগের কাছে যা প্রমান সেটা আদালতের কাছে অনেক সময়ই প্রমান হিসেবে গন্য না। আবেগ ও আদালত দু ভাবে চলে।

এসময় আরেকটি আরেকটি প্রশ্ন জাগছে মনে।

৫) বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইবুনাল করা হবে নাকি সাধারন আদালতেই বিচার কাজ শুরু হবে?

যে আদালতেই করা হোক না কেনো আদালতের বিচারে অনেক সময় লেগে যায়। আদালতে যে রায়ই হোক না কেনো সেটায় উচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। সব কিছু মিলে অনেক সময় লেগে যায় বাংলাদেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থায়। এটা একটা বড় আশংকার বিষয় আমার কাছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া এসময় উদাহরন হিসবে আসতে পারে ।

এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ন কাজে সরকারের বলার মতো কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়ছে না। গোল টেবিল বৈঠকে বা সেমিনারে সাদা কালো বাল ফেলানো ছাড়া কোনো কাজের কাজ হয় না।

আরেকটি কথা হলো,
তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের জন্য এমনটি কি কোনো সেল গঠন করা হয়েছে যারা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে?
আইনজীবিদের নিয়ে কি কোনো বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে যারা আইনগত বিষয় নিয়ে কাজ করছেন ?

বর্তমান আওয়ামী সরকারের মেয়াদ থেকে ১ বছর চলে গেলো প্রায়। হাতে আছে ৪ বছর। এই ৪ বছরের শেষ ১ বছর যাবে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতিতে। থাকলো মোটে ৩ বছর। ৩ বছর কিন্তু খুব অল্প সময় এরকম একটি বিশাল কাজের জন্য।

কথা অনেক হয়েছে, অনেক প্রতিশ্রুতিও অনেক শোনা হয়েছে। এখন কিছু করবার পালা। এবার না হলে এই জীবনে আর হবে না যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার কাজ।

পোস্ট মাহবুব সুমন.কম একই সাথে প্রকাশিত।
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×