একটা মাইক্রোস্কপিক (খুব ছোট) ভুতের গল্প বলি ।
চার তলা বিল্ডিং এর দোতলায় আমরা থাকি । নিচতলায় একলা একটা এক রুমের ফ্লাটে থাকেন ভার্সিটির বড় ভাই । মাঝে মধ্যে দেখা হয় । উনি আবার খুব শান্ত ধরণের বড় ভাই । ছোট ভাইদের সাথে খুব ভদ্র আচরণ করেন ।
সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে যাব এমন সময় ভাইয়ের সাথে দেখা ।
- রবিন , কেমন আছ ?
- জি ভালই । আপনি ? সব ঠিক ঠাক ? সব ভাল তো ?
- হ , দিনের বেলা সব ই ঠিক ঠাক । রাতের বেলা শুরু হয় ।
- চমকিত হয়ে জিগ্যেস করলাম - রাতের বেলা কি শুরু হয় ?
- কিভাবে যে বলি । অন্য কেউ শুনলে পাগল ও ভাবতে পারে ।
- বলেন কি ? কি হইছে ?
- রবিন , বিশ্বাস করবা না । রাতের বেলা ভূতে উপদ্রপ করে । ঘুমাইলে ডর লাগে ।
- হায় ! হায় ! কন কি ? ভূতে জ্বালায় ? এক ই বিল্ডিং এ ত আমরাও থাকি । ভূতের উপদ্রপ হইলে তো সমস্যা । আমি তো ভূত খুব ভয় পাই । ভুত আর সাপ ।
- রাতের বেলা পানির টুপ টাপ আওয়াজ পাই । বাথরুমে সব চেক করি তারপর ও আওয়াজ হয় । আওয়াজ টা আসে সম্ভবত বাইরে থেকে । প্রথমে জোরে সোরে শুরু হয় তারপর টুপ টুপ টুপ ...
- ভূতের উপদ্রপের কমন ফেনোমেনা । তারপর ? আর কিছু হয় না ?
- হয় তো । পানির আওয়াজের পর পর ই একটা হালকা ভোটকা গন্ধ নাকে আসে । তার উপর কে জানি গভীর রাতে দরজার সামনে হাটা চলা করে । ভয়ে দরজা খুলি না । কিন্তু ছায়া দেখা যায় ।
- আসলেই অনেক ভয়ের ব্যাপার । ভাই আপনি মনোবল হারাবেন না । আমার মনে হয় এই ভূত তেমন ক্ষতিকর না । আপনি দোয়া দূরুদ পড়ে ঘুমাবেন । ভূতে ভূতের মত থাকবে , আপনি আপনার মত থাকবেন । আর বেশি ভয় করলে ফোন দিবেন । আমি সারা রাত সজাগ ই থাকি ।
- আচ্ছা , ঠিক আছে । তুমিও সাবধানে থেকো ।
জি আচ্ছা বলে সিড়ির পথে পা বাড়ালাম আর ভাবতে লাগলাম এভাবে আর বারান্দা থেকে "ইয়ে" করার মানে হয় না । বিনা কারণে একজন ভূতের ভয় পাচ্ছে । কষ্ট করে হলেও ছোট কাজটা বাথরুমেই সারতে হবে । আর ছাঁদে উঠতে না পেরে সিড়ির গোঁড়ায় হাটা হাটি টাও বাদ দিতে হবে । সাবধানে থাকাটাও জরুরী । কে জানে - ভূতে ধরলেও ধরতে পারে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩০