খনির ভেতরে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ অফুরন্ত নয়, তা সীমিত থাকে। সীমিত সম্পদ ব্যাবহার করতে করতে এক সময় খনিতে ব্যাবহারযোগ্য আর কোন সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না। তখন তাকে পরিত্যাক্ত খনি ঘোষণা করা হয়।
মানুষের হৃদয় ও খনির মতন মায়া-মমতা আর আবেগ অনুভূতিতে ভরা থাকে। মানুষ বড় হতে থাকে, আসে পাশের আরও অনেকের সাথে পরিচিত হতে শুরু করে । মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে সবার সাথে। চলে আবেগ অনুভূতি আর বিশ্বাস অবিশ্বাসের মিথস্ক্রিয়া। মানুষ যখন আরেকজন মানুষের কাছে আসা শুরু করে তখন এক জনের জন্য আরেকজনের কিছুটা আবেগ আর অনুভুতি কাজ করে। এভাবে চলার পথে আরো অনেক মানুষ কাছে আসে এবং তাদের জন্য আরো কিছু আবেগ অনুভুতি ব্যায় হয়।
কিন্তু মানুষ এটা জানে না যে তার হৃদয়ে থাকা অনুভুতির পরিমান সীমিত। আস্তে আস্তে মানুষের অনুভুতির পরিমান কমতে থাকে। জীবনের বাস্তবতা, ঘাত প্রতিঘাত প্রতিনিয়ত অনুভুতি কে ভোতা করতে থাকে। একজন মানুষ যখন আরেকজন কে ধোকা দেয়, কস্ট দেয় তখন অনুভুতিগুলো আরো বেশি পরিমানে ক্ষয় হয়। অপাত্রে আবেগ অনুভুতি বিলিয়ে প্রতারিত হতে হতে হৃদয়ে আর কোন মায়া মমতা অথবা আবেগ অনুভুতি অবশিষ্ট থাকে না। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই হৃদয়কে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। পরিত্যাক্ত হৃদয়ের মানুষগুলোর মনের স্রোত থেমে যায়। এক সময় স্রোতহীন সেই মনে শ্যাওলা জমে পচতে শুরু করে। গভীর রাতে চাদের আলোতে যেসব মানুষের কোন ছায়া পড়ে না তাদের থেকে দূরে থাকবেন। বলা যায় না পরিত্যাক্ত হৃদয়ের সংস্পর্শে আপনার মনেও পচা শ্যাওলা জমতে শুরু করতে পারে ...