somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন সপ্ন সারথি

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দিন যায়, মাস আসে; মাস যায়, বছর আসে। এভাবে আমাদের বয়স বাড়তে থাকে। আসলে বয়স কিন্তু বাড়ে না, বয়স কমে যায়। এভাবে আমরা এগিয়ে যাই গন্তব্যের দিকে। আমাদের জীবনটা হলো রেলগাড়ির মতো। রেলগাড়ির একটা গন্তব্য থাকে। তেমনি কালের গহ্বর আমাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। আমরা কেউবা আগামীর পথে চলার উল্লাসে মেতে উঠি। আবার কেউবা গলা ছেড়ে গান গাই। এমনি করে একদিন জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে থামি। শেষ ইস্টিশনে গিয়ে আমরা থমকে দাঁড়াই। জাহাজের মতো নোঙ্গর ফেলি। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে দেখি ফেলে আসা জীবনকে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা পৃথিবীর পথে হাঁটি। বাঁচার জন্য হাঁটি। স্বপ্ন নির্মাণ করতে হাঁটি। সেই হাঁটার কোনো বিরাম নেই। সেই বাঁচার কোনো শেষ নেই। সেই স্বপ্নের কোনো শেষ নেই। মানুষের বয়স যত বেশি হোক না কেন তবুও তার বাঁচার স্বাদ মিটে না। মানুষের যতই সম্পদ হোক না কেন তবুও সম্পদের লোভ তার কমে না। নারীর নেশাও তাই। পানির তৃষ্ণার শেষ আছে ভোগের তৃষ্ণার শেষ নেই। এদিক থেকে চিন্তা করলে আমরা মানুষরা একটা ঘোরের মধ্যে বেঁচে থাকি। মানুষ সব জানে সব বুঝে তবুও সব সময় অবুঝের মতই আচরণ করে। তাই সব সময় সে আপে করে। তারাশঙ্কর কবি উপন্যাসে জীবন সম্পর্কে একটি কথা লিখেছেন। “এই খেদ মোর মনে, ভালবেসে মিটলনা সাধ, কুলল না এই জীবনে, হায় জীবন এত ছোট কেনে? এই ভূবণে?” আমদের মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আদম সন্তানের পেট পিঠ কিছুতেই পূর্ণ হবার নয় কবর ছাড়া”।
মানুষ সপ্ন দেখে। সপ্ন দেখতে সে ভালোবাসে। বেঁচে থাকার জন্য সে স্বপ্ন দেখে। বিভিন্ন কায়দা কানুনে মানুষ স্বপ্ন দেখে। কেউ ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে জেগে উঠে। স্বপ্ন দেখে কেউ চিৎকার করে উঠে। কেউবা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে। জ্ঞানীরা বলেন, ঘুমের ভেতর যে স্বপ্ন দেখা হয় তা আসল স্বপ্ন নয়; আসল স্বপ্ন হলো তা যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। মূলত এর মধ্য দিয়ে ল্য সাধনে মানুষকে নিরন্তর কাজ করে যাওয়ার কথাই বলা হয়েছে। অলসতা কখনো মানুষকে সফল মানুষ করে না। পরিশ্রম আর অধ্যবসাই একজন মানুষকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
কেউবা ঘুমের ঘোরে উড়োজাহাজ চালায়। আবার বন্ধুরা মিলে পরস্পর স্বপ্নের গল্প বলে। কেউ বলে আমি ডাক্তার হব। কেউ বলে না আমি হব ইঞ্জিনিয়ার। আর অন্যজন বলে আমি হব বড় ব্যবসায়ী। আরেকজন বলে না আমি বিদেশে যাব এ দেশেই আর থাকব না। এদের কারো স্বপ্ন পূরণ হয় আর কারো হয় না। দেখা যায় যে বলেছে বিদেশ যাবে সে সারা জীবন দেশেই পড়ে থাকল। আর যে বলেছে আমি বড় ব্যবসায়ী হব সে বিদেশে দিয়ে বসে আসে। এর কিছুটা চেষ্টা, কিছুটা বাস্তবতা, নিয়তির নির্মমতা। আর ভাগ্যের লিখনকে তো কেউ খন্ডাতে পারে না।
ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে নতুন বছর এসে হাজির হয়েছে। প্রত্যেক বছরের শেষে দিকে বিদায়ের একটা সুর ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিতে। মানুষের প্রকৃতিটাই এমন যে সে পুরাতনকে আঁকড়ে থাকতে চায় না। তাইতো নতুনের জন্য তার এতো অপো। নতুনের জন্য তার এত আয়োজন। নতুনের জন্য তার এত ব্যস্ততা। পুরাতন যতই ভালো হোক না কেন তার কাছে আর ভালো লাগে না। সে নতুন বছরকে বিদায় জানাতে উঠেপড়ে লাগে। সারা বিশ্বের মানুষ এ আয়োজনে অংশ নেয়। বাংলাদেশও সে দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই। সারাদেশের মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। নতুন বছর উপলে পণ্যের কোম্পানীগুলো বিশেষ ছাড় ঘোষণা দিয়েছে ।
ছোটবেলায় মানুষ অনেক ধরণের স্বপ্ন দেখে। বড় হলে স্বপ্নগুলো এক এক করে ঝরে পড়ে। কিছুটা আগুন দেখে পতঙ্গের লাফিয়ে পড়ার মতো। কখনো শীতের রাতে শিশির মতো হয়ে ঝরে স্বপ্ন। কখনোবা বৃষ্টির ফোটা হয়ে। আর কখনোবা শুকনো পাতার মতো করে। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে। সে কেবল স্বপ্ন দেখতেই থাকে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সে স্বপ্ন দেখে। কণ্ঠনালিকে মৃত্যু আসা পর্যন্ত সে বেঁচে থাকতে চায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের বেঁচে থাকার অভিলাষও বাড়তে থাকে। একটা স্বপ্ন পূরণ না হলে আরেকটা দেখা শুরু করে। স্বপ্নের ভেলায় চড়ে কাটে তার বেলা। তাইতো নীল আকাশের ধ্র“বতারা হয়ে মানুষের বুকে স্বপ্ন জ্বলে।


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×