অবরোধ শুরু হলো একমাস হয়েছে। এরমধ্যে হরতালও ছিল। কিন্তু কোন পক্ষই ফলাফল ঘরে তুলতে পারেনি। এত দীর্ঘ সময় আন্দোলন চালিয়ে নেয়া এবং এত দীর্ঘ সময় এটাকে ট্যাকল করার কোনো নজির নেই। এরপরও বলছি- কতটুকু ট্যাকল করা সম্ভব হয়েছে সরকারের পক্ষে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের জান-মালের নিশ্চয়তা দেওয়া। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক গতি প্রবাহ ঠিকঠাকমত পরিচালিত করা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা হলো- পেট্রোল বোমার বিভীষিকা। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ প্রধান যখন প্রতিহতের ঘোষণা দিলেন - তাতে ২০ দলের নেতারা বেআইনি বলে বিশাল হুঙ্কার ছাড়লেন। তাতেই মনে হলো- দমে গেলেন তারা। দ্বিতীয়ত- উল্লেখিত তিন প্রধানের বিরুদ্ধে ২০ দলের পক্ষ থেকে যতটা শাসানো হলো, ততটাই তাদের আশ্বস্থ করতে পারলেন না সরকার কিংবা সরকারি দলের পক্ষ থেকে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের কর্মসূচীতে পুলিশের সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে- যা-ই করণীয়- তার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। এত দীর্ঘ সময় ধরে এমন নাশকতা চালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের করণীয় নির্ধারণ করতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে কিনা? কারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। জনগণের এত বেশি আস্থা সরকারের উপর থাকার পরও, জনগণ সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার পরও সরকার তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে কিনা? কারণ পেট্রোল বোমার এমন বিভীষিকার মধ্যে তাদের জীবন যাপন, কর্মকা- সচল রাখার জন্য সব ধরনের আতঙ্ক, আশঙ্কা এমনকি পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি হাতে নিয়ে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে। আর কত মানুষ এভাবে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত হলে সরকার তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে পরিপূর্ণ বুঝে উঠতে সক্ষম হবে। কারণ জনগণের জানমালের নিশ্চয়তা দেওয়াই সরকারের প্রথম প্রায়োরিটি। দুষ্কৃতিকারিদের কিভাবে প্রতিহত করা হয়েছে - সেই হিসাব নেয়ার সময় এদেশের জনগণের আর নেই।