somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাশ

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ঘরে কিন্তু শুকনা মরিচ নাই, খাবার সময় ঝাল কম বলে চেঁচাতে পারবা না বলে দিলাম, সুফিয়া বেগমের কটকটা গলায় বুজে আসা চোখ টা খুলে গেলো জামাল সাহেবের। গাল থেকে লালা বেয়ে বালিশের এক কোন ভেজে আছে। হাত দিয়ে লালা মুছে চোখ কুঁচকে চেয়ে থাকেন জামাল সাহেব। কি আমার কথা কি কেউ শোনে, না কি সারাদিন মরার মতো পরে থাকবে। গলার শব্দের ডেসিবল আরো বাড়িয়ে দেয় সুফিয়া বেগম। কনুইয়ের ধাক্কায় নিজেকে ঠেলে ওঠায় জামাল সাহেব। যতক্ষণ সারা না দেবেন ততক্ষণ এই চিৎকারের মাত্রা বাড়তেই থাকবে। মাঝে মাঝে তার ইচ্ছা হয় তার নিজের কানের পর্দা পার্মানেন্ট ফুটো করে দিতে যাতে এই বিচ্ছিরি আওয়াজ তার শুনতে না হয়। পাড়ার মোড়ে একজন ইএনটি স্পেশালিষ্ট আছেন। বেশ ভালই নাকি করছেন। অল্পবয়সী এক মেয়ে। আজকলা মেয়েরা বেশ ভালোই করছে। ভাবছেন একবার যাবেন। পাশের বিল্ডিংয়ের কিবরিয়া সাহেব যেয়ে তার গলা দেখিয়ে এসেছেন। হুরের মতো দেখতে নাকি মেয়েটা। জামাল সাহেবের বেশ হিংসে হয়। কিবরিয়া সাহেব সবসময় ভালো জিনিস গুলাই আগেই দেখে ফেলেন। বিছানায় বসে ঘাড়ে হাত বুলাতে বুলাতে ভাবেন আজ বিকেলে যেতে হবে। কি যেন নাম মেয়েটার। কিবরিয়া বলেছিলো। ও হ্যা মনে পরেছে দীপ্তি। বাহ, আজকাল মেয়েদের নাম গুলা কতো মিস্টি সুন্দর। সুফিয়া তার স্ত্রীর নাম। কোন নাম হলো, শুনেই মনে হয় কামের বেডির নাম। মুখ খানা বেকিয়ে ফেলেন। যেনো বিরিয়ানি খেতে বসে মুখে আস্ত একটা তীত করল্লা এসে পরেছে।

বলি কেউ কি যাবে শুকনা মরিচ আনতে নাকি আজ মরিচ ছাড়া রান্না করবো, কতো বার বলি গুড়া মরিচের রান্না খাওয়া অভ্যাস করো। তা না তার বাটা মরিচের রান্না ছাড়া হয় না। নবাবজাদা, এখন কখন আনবে মরিচ কখন আমি গ্রাইন্ডারে পিসবো। রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে উঠলো সুফিয়া বেগম। আরে যাচ্ছি যাচ্ছি। অতো চেচিয়ো না। করো তো ওই ছাতার মাথা রান্না তার আবার এতো ঢং কিসের। বিছানা থেকে উঠে শার্ট পরতে পরতে চশমা ছাড়াই বেড়িয়ে গেলেন জামাল সাহেব। আবার পাড়ার মোড়ের নাকের ডাক্তারের চেম্বারে চলে যেও না, আজকালকার ছুড়ি গুলার কোন ঠিক নাই জোয়ান বুড় কিচ্ছু মানে না, দোতলা সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে পেছন থেকে স্ত্রীর গলা শুনতে পেলেন। ভাড়ি নিশ্বাস বুক চিড়ে বেড়িয়ে এলো। বিকেলের প্রোগ্রামটা ক্যান্সেল করে দিতে হলো। কিবরিয়া ছাগলটার পেটে যদি কোন কথা থাকে। শালা বউ পাগল। নিশ্চয়ই বউয়ের কাছে গপ্প করেছে আর তার বউ সুফিয়ার কাছে এসে রসিয়ে রসিয়ে বলেছে। নাকের ডাক্তারের চেম্বারে যেও না ঠোঁট বেকিয়ে ভেংগাতে ভেংগাতে সুফিয়া বেগম কে খানিক অনুকরণ করলেন। সিড়ি দিয়ে গটগটিয়ে নেম আশে পাশে ভালো করে দেখে বাম পাশের দেয়ালে স্থানীয় বাড়ির মালিক সমিতির নির্বাচনের পোস্টারে সুফিয়া বেগমের ছবিতে থুক করে এক দলা থুথু ফেললেন। চেহারা তো ওই তিমি মাছের মতো তার আবার এত্ত ঢং।

কিছুদুর হেটে গেলে বড় দোকান টা পরে। ওখানে জামাল সাহেবের বাকির খাতা করা আছে। মাসের শেষে এক গুচ্ছ টাকার জলাঞ্জলি দিতে হয়। কিছুদিন হলো বা পায়ে তেমন জোড় পাচ্ছেন না। চশমা ফেলে এসেছেন তারপরও বেশ পরিষ্কার দেখাচ্ছে চারিদিক। কি ব্যাপার চোখের পাওয়ার কি বেড়ে গেলো নাকি, মনে মনে খুশি হন জামাল সাহেব । কিছু সামনে কয়েক জন কিছু একটা দেখছে মাটির দিকে চেয়ে। জামাল সাহেব খোড়াতে খোড়াতে এগিয়ে গেলেন জটলার দিকে। ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতেই চমকে গেলেন। একজন মানুষ পরে আছে। সম্ভাবত মৃত। ছেড়া খোড়া জামা কাপড়, গায়ের জামা পেট অব্দি উঠে এসেছে। নাভির কাছে লম্বা চেড়া। সম্ভাবত খুড় জাতীয় কিছু দিয়ে পেট চিড়ে দিয়েছে কেউ। কপালের কাছে মাথার হাড়ের দুই পাশের দুইটা চলটা উঠানো। থকথকে মগজ দেখা যাচ্ছে। জামাল সাহেবের গা গুলিয়ে উঠলো দেখে। মুখের উপর বেশ মোটা একটা ডাশ মাছি উড়ে উড়ে বসছে আবার উড়ে যাচ্ছে। গলাটা কেমন শুকিয়ে এল জামাল সাহেবের। এতোক্ষণ তিনি ভালোই দেখছিলেন কিন্তু এখন যেনো ঝাপসা দেখছেন। ভিড়ের ভেতর থেকে ছিটকে বেড়িয়ে এলেন। কে যেন পাশ থেকে বলে উঠলো বেওয়ারিশ লাশ কেউ ছুয়ো না। কোথারকার কোন জঞ্জাল আমাদের এলাকায় ফেলে গেছে। এখন সামলাও পুলিশের গুতানি।

পুলিশের কথা শুনে জামাল সাহেবের পেটের মধ্যে গুড় গুড় করতে লাগলো। ছোটবেলা থেকেই পুলিশে দারুন ভয়। তিনি হন্তদন্ত হয়ে বাসায় ফিরে গেলেন। মরিচ কেনার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন। ভালো করে চোখ মুখ হাত পা ধুয়ে রুমে ঢুকে গেলেন। আজ আর তিনি বাড়ি থেকে বেরুবেন না। তার ভয় পেতে লাগলো, যদি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে তো দেখেছে লোকটার পেট কাটা। তার অর্থ সেও সাস্পেক্ট হতে পারে মার্ডার কেসে। ইস কেনো যে সে দেখতে গেলো। নিজেকে নিজে গালাগাল করতে লাগলো। আচ্ছা লোকটা কে কি তিনি চেনেন। চেহাড়াটা কি তার চেনা লাগছে। গতো পরশু এই লোকের সাথে না তার মাছের বাজারে কথা-কাটাকাটি হলো। আয় হায়, পুলিশ তো এখন তাকেই ধরবে। আচ্ছা ঝগড়া করার সময় তোকে দেখে নেবো বা খুন করে ফেলবো এমন কথা কি তিনি বলেছিলেন, মাথা চুলকিয়েও মনে করতে পারছেন না। শরীর থেকে ঠন্ডা ঘাম ছেড়ে দিলো। তাইতো বলি লাশটা চেনা চেনা লাগে কেনো, কিন্তু সেই লোকের তো গোফ ছিলো এই ব্যাটার তো গোফ নাই। আরে গোফ কামাতে কতক্ষন। নিরঞ্জন নাপিত তো ধ্যাড়া ধ্যাড় কতো লোকের গোফ দাড়ি কামাচ্ছে। নিশ্চয়ই ওই ব্যাটার গোফও কামিয়ে দিয়েছে। নিরঞ্জন গাধাটার উপর বেজায় রাগ হচ্ছে এখন। কি দরকার ছিলো ওমন মোলায়ম খানদানি গোফ খানা কাটার। কেউ বললেই কামাতে হবে। একটু দেখেশুনে কামাতে পারলো না। ওরে নিরঞ্জন তুই আমাকে কি ঝামেলায় ফেললি। ওই গোফ নিয়েই তো যন্ত্রনা বেধেছিল। শিং মাছের গোফ থাকা নিয়ে কি একটা হালকা রসিকতা করেছিলেন আর ওমনি ওই গোফয়ালা এসে কি হম্বিতম্বি। গোফ ছাড়া নাকি মাছ মাছই না। গোফের অপমান মানে উচ্চ বংশের অপমান। তা ব্যাটা এতোই যদি গোফ গোফ করবি ওটা কামাতেই বা কেনো গেলি আর মরতে মরতে আমার বাড়ির সামনে এসে কেনো মরলি। এলাকায় বেশ হইচই লেগে গেছে। স্বাভাবিক, খুন টা যখন তার হাতেই হয়েছে হইচই তো পরবেই। কিবরিয়া এসে দাত ক্যালাবে যখন পুলিশ এসে কোমরে দড়ি বেধে নিয়ে যাবে। উহ! আর সহ্য হচ্ছে না। আচ্ছা খুনটা তিনি করলেন কখন, ঠিক মেলাতে পারছেন না।

জামাল সাহেব ইতিউতি খুজতে লগলেন। খুনটা যে করলাম তো কি দিয়ে করলাম। বটি ছুড়ি না কাটা চামচ দিয়ে। আরে ধুর কাটা চামচ দিয়ে কি আর খুন করা যায়। খুর, হু! খুর দিয়ে খুন করেছেন কিন্তু খুর কই পেলেন সেটাই তো তিনি জানেন না। তিনি দরদর করে ঘামতে লাগলেন। ভয়ে ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিলেন। জলহস্তী মহিলা কি এখনো শুকনা মরিচ বলে চ্যাচাচ্ছে। উহ!! পুলিশ এসে একে নিয়ে যেতো পারে না? আচ্ছা পালিয়ে যাবো, জামাল সাহেব ভাবতে লাগলেন। কিন্তু কোথায় পালাবো সুন্দরবন, না, বান্দরবান, একদম না। নাহ পালানো যাবে না। ধরা দিতে হবে। সে ধরা দিয়ে বলবে তার স্ত্রী জলহস্তীর প্ররোচনায় সে খুনটা করে ফেলেছে। দুইজনকেই তখন ধরে নিয়ে যাবে। জেলখানায় দুইজনের সংসার। দূরে পুলিশ ভ্যানের সাইরেন শুনতে পেলেন। বারান্দার দরজায় কান পাতলেন। কিছু কথা বার্তা শোনা যায় কি না। নাহ কিছুই শোনা যাচ্ছে না। দেবেন নাকি একটু উঁকি বারান্দা থেকে। দেয়া যেতে পারে। দরজাটা হালকা খুলে হামাগুড়ি দিয়ে বারান্দায় গিয়ে খানিকটা মাথা উঁচু করে দেখার চেষ্টা করলেন। পুলিশের ভ্যান থেকে একজন পুলিশ নেমে এদিক ওদিক দেখছেন। ও আল্লাহ নিরঞ্জন ব্যাটাও আছে দেখছি। আচ্ছা মরার আগে কি ওই লোক নিরঞ্জনের কাছে কিছু বলে গেছে নতুবা নিরঞ্জন এই ভড় দুপুরে কাজবাজ ফেলে এখানে কি করছে। ভালো করে চোখ সরু কেরে দেখার চেষ্টা করলেন জামাল সাহেব। ও মা, বদের হাড্ডী নিরঞ্জন কি আমার বাসাই দেখাচ্ছে পুলিশকে। ও বাবা নিরঞ্জন! কি দোষ আমি করেছিলাম। সামান্য গোফ নিয়ে ঠাট্টার প্রতিফল কি এই? তুই খাটাস প্রত্যেকদিন হাজারটা গোফ ফেলিস, তারবেলায় কিছু না। আমি সামান্য ঠাট্টা-তামাশা করলাম তাতেই আমি খুনের আসামী। হায় হায় পুলিশ লোকটা এই বাসার দিকেই আসছে। টুপ করে মাথাটা নামিয়ে গেরিলা কায়দায় ক্রল করে বারান্দা থেকে শোবার ঘড়ে এলেন। বাম পাটা বেশ ব্যাথা করছে। শুনেছি রিমান্ডে পায়ের উপর পেটায়। এইবার মনে হয় বাম পা টা গেলো। শীতকালে লাঠির বারী সহ্য করাও কঠিন। অস্থির ভাবে পায়চারি করতে লাগলেন জামাল সাহেব। পা টা যদি একটু বেশি টেনে টেনে হাঁটেন তাহলে কি পুলিশ দয়া মায়া করে কম পেটাবে। পা টানার প্র্যাকটিস করতে লাগলেন। নতুবা আসল সময় সব গড়বড় হয়ে যাবে।

ক্রাং ক্রাং করে দরজায় কলিং বেল বেজে উঠলো। বসা অবস্থা থেকে তিড়িং করে লাফিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন জামাল সাহেব। এই রে এস গেছে। এখন নিশ্চয় দরজা ভেংগে ফেলবে। দুই একটা গুলিও করে বসতে পারে। গুলি লাগলে কি সুফিয়া বেগমের তরমুজের মতো মাথাটা ফটাস করে ফেটে যাবে? এতো টেনশনের মধ্যেও ব্যাপারটা ভেবে বেশ আরাম লাগছে। পয়ত্রিশ বছরের বিবাহিত জীবন তাদের, এই এক মহিলা শুকনা ধনিয়াপাতা করে দিয়েছে। না আছে সুবাস না আছে কোন গুন। তিনি ডাস্টবিনের জীবন যাপন করছেন।

এইবার বেশ জোরে দড়জায় কলিং বেল বাজলো। জামাল সাহেব ন্যাংচাতে ন্যাংচাতে ছুটে গেলেন দরজার কাছে। দুই হাত দুই দিকে বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে পরলেন। কোন ভাবেই পুলিশ কে ঢুকতে দেয়া যাবে না। ক্রাং ক্রাং করে কলিং বেল বেজেই যাচ্ছে। সুফিয়া বেগম রান্নাঘর থেকে হাত মুছতে মুছতে বেড়িয়ে এলেন। দরজার সামনে জামাল সাহেব কে চার হাত পা চার দিকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভুড়ু কুচকে চেয়ে রইলেন। কি ব্যাপার কখন আসছো। মরিচ কই? আর অমন করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেন। কে এসেছে অসভ্যের মতো বেল বাজাচ্ছে। দরজা খুলছো না কেনো? এতো গুল প্রশ্নের জবাব দেবার মতো অবস্থায় জামাল সাহেব নাই তিনি হাত পা নেড়ে ফ্যাস ফ্যাস করে বললেন পুলিশ, পুলিশ এসেছে। কি পাঁতি হাঁসের মতো ফ্যাস ফ্যাস করছো। সড়ে দাড়াও।দেখি কে এলো। নিশ্চই কোন কান্ড করেছো। কানের ডাক্তার মেয়েটা কে আবার ইভ টিজিং করো নাই তো। লুচ্চামি টা তোমার গেলো না। সড়ে দাড়াও। জামাল সাহেব হাত নেড়ে বাধা দিতে লাগলেন। আবার, আবার তুমি জোকারি করছো। সড়ো, সড়ে দাড়াও। এক ধাক্কা দিয়ে দরজার সামনে থেকে জামাল সাহেব কে সড়িয়ে দিয়ে দরজা খুলে দিলেন সুফিয়া বেগম। আচমকা সামনে জ্বলজ্যান্ত পুলিশ দেখে চমকে গেলেন। পেছন থেকে বিড়বিড়িয়ে বললেন জামাল সাহেব আমি লুচ্চামি করি, এই বার বোঝ ঠ্যালা পুলিশ ছুইলে আঠারো ঘা।

জামাল স্যার আছেন। পুলিশ লোকটা ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞাসা করলো। সামনে জামাল সাহেব কে দেখে লোকটা নিচু হয়ে পায়ে সালাম করলো। স্যার আমি তারেক। আপনার ছাত্র। জানতাম আপনি এই এলাকায় থাকেন একটা কেসের কলে এসেছিলাম । লোকজনার কাছে আপনার নাম বলতে বাসাটা দেখিয়ে দিলো। আপনি ভালো আছেন স্যার? জামাল সাহেবের গলা শুকিয়ে কাট হয়ে ছিলো। তার ছাত্র শুনে কিছুটা যেনো খানিক হালকা হলেন। এক সাথে অনেকগুলা প্রশ্ন শুনে বুঝে উঠতে পারলেন না কোন প্রশ্নের উত্তর কি দেবেন। স্যার মাথা দুলিয়ে বললো জামাল সাহেব, আমি ভালো আপনি কেমন? স্যার আমি তারেক আমাকে চিনতে পারছেন না? আমাকে আপনি বলছেন কেনো? আপনাকে দেখতে এলাম। নিচে একটা পুরানা দাগী আসামীর লাশ পাওয়া গেছে ওটার জন্যই এলাম। আপনারা সাবধানে থাকবেন। আমি স্যার আজ চলি। জ্বি না সে কি? যাবেন মানে যাবে কেনো বসে যাও ইতস্তত করে বলে উঠলেন জামাল সাহেব। না স্যার , আজ যাই পরে আসবো । কোন সমস্যা হলে জানাবেন আমি আপনাদের থানাতেই আছি। সালাম দিয়ে তারেক চলে যেতে জামাল সাহেব হাফ ছেড়ে বসে পরলেন।

সুফিয়া বেগম দরজা আটকিয়ে জামাল সাহেবের দিকে কড়া চোখে চেয়ে বললেন শুকনা মরিচ কই। কিসের শুকনা মরিচ, প্রশ্ন করলেন জামাল সাহেব। সে কি ! চোখ কপালে তুলে ফেললেন সুফিয়া বেগম । তোমাকে সেই সকাল থেকে শুকনা মরিচ আনতে বললাম আর তুমি তো গেলেই আনতে কই শুকনা মরিচ কই। আরে রাখো তোমার শুকনা মরিচ, জামাল সাহেব উঠে তার শোয়ার ঘরে ছুটে গেলেন। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে দিতে শুনলেন সুফিয়া বেগম চিৎকার করে যাচ্ছেন। ধুর কে শোনে এই হস্তিনীর চিৎকার, বড্ড বাঁচা বেঁচে গেছি। এহে রে আর একটু হলেই তো ফাশী হয়ে যাচ্ছিলো। এক বেলা মরীচ দিয়ে ঝাল তরকারী না খেলে কেউ মরে যায় না কিন্তু ফাঁশির দড়িতে ঝুলে গেলে !! ওঁরে বাবা !! ভাবা যাচ্ছে না । বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে তিনি নিশ্চিন্তে কাথা মুরি দিলেন।

* বানান ভুল আছে এর জন্য দুঃখিত। মোবাইল দিয়ে লেখা।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০



বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হেনরি কিসিঞ্জার ১০০ বছর বয়েসে মারা গেছেন।
একাত্তরে পাকিস্তানের গণহত্যার মদদদাতা,
১৫ই আগষ্ট হত্যাকান্ড সহ ওই সময়ে ভিয়েতনাম, চিলি, আর্জেন্টিনা, পূর্ব তিমুরে রক্তপাতে সরাসরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

লাবন্য

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

লাবন্য
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এখনই দেখতে পাচ্ছি বিদ্যমান তারুণ্য
যুবকের প্রথম পছন্দ যুবতির লাবন্য!
বৃথা যথা সময় ছেড়ে ক্ষতিগ্রস্ত
নষ্ট করোনা নয়তো হারাবে সমস্ত!
সজীব হৃদয়, প্রাণবন্ত, দুরন্ত, উচ্ছ্বাস
সম্প্রতি ছাড়ি শুধু অতি দীর্ঘশ্বাস!
আমরা জয়ী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিমান ক্যারে ?

লিখেছেন স্প্যানকড, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

ছবি নেট।


প্রায় প্রায়ই শুনি ব্লগ ঝিমিয়ে গেছে। পিছিয়ে গেছে। আগের মতন কিস্যু নেই।আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম! ইত্যাদি হ্যানত্যান আগডুম বাগডুম। আসলে ব্লগ ঠিকই আছে আমরা সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে, বুঝে ট্রল করুন….

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪



১. এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে যখন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেয়া হল, তখন দেখা গেল বেশি সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি সেটা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিটি বাস, ট্রাক বা অন্য পরিবহন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসলেই কি সরকার এবার পারবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৫




সরকারী দলের কোন প্রার্থী হারতে চাইবে না। অত:পর যারা হারবে তাদের সবাই যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। যারা নির্বাচনে আসে নাই তারা তো বলবেই নির্বাচন সুষ্ঠ হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×