ভাতের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো
ভাত তাহার হয়নি কো খাওয়া
ক্ষুদার্ত হাত ফিরিয়ে দিয়েছিলো ভাত ঠাকুর
রাস্তার ধারে ভাতের হোটেলের মস্ত পাতিলে
টগবগিয়ে ফোটে ধবধবে সাদা ভাত
সদ্য সিদ্ধ হওয়া ভাতের গন্ধে ম ম করে
আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে যায় দামি কোন ব্রান্ডের পারফিউমের মতো।
পেটের ভেতর ক্ষুধা নামের রাক্ষসটা ।
হা হা করে জেগে ওঠে, নাড়ি ভুড়ি মুচড়িয়ে ধরে
হেচকা টানে চিতকার করে বলে দাও দাও।
টলানো যায় না ভোলানো যায় না, নানান ছুতায় ফেরানো যায় না
হিংস্র রাক্ষসের একি জেদ কেবলি দাও দাও।
নানান কাজের ছুতায় সদ্য সিদ্ধ চালের গন্ধ মাখা
ভাতের হাড়ির আশে পাশে গন্ধ শুকে বেড়ায়
শুকিয়ে যাওয়া নাসিকা গ্রন্থি যেন জীবন ফিরে পায়।
ফুটন্ত ভাতের হাড়ি তাকে উতালা করে।
টগবগিয়ে ফোটা ভাতের দানা ছিটকে এলে
নিপুন দক্ষতায় কব্জা করে নেয় ক্ষুদ্রাংশ ।
ছোট্ট হাতে পরম আনন্দে চেটে আস্বাদন করে।
আহা! কি অপুর্ব তার গন্ধ, কি আসীম তার স্বাদ।
এক মুঠ ভাত, আহারে ভাত।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৮