somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাদী মুহাম্মদের এই আত্নত্যাগ কেন ?

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত :
তাই আমার এক বন্ধুর লেখা থেকে সবার জানার জন্য কিছূ বিযয় তুলে ধরলাম

যে ঘরে সাদী মহম্মদের মৃতদেহ পাওয়া গেল, সেই ঘরটিতে বসেই গেল বছর মার্চ মাসে তার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের সুযোগ হয়েছিল। আমার ইন্টারভিউর জন্য ১৫ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু তিনি আমাকে আড়াই ঘন্টার ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। (নিউজ লিংক কমেন্টে...)
আমার মোবাইল ফোনটি চুরি হওয়ায় সেই রেকর্ড, ছবি হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু স্মৃতিতে ভাসছে সেই কথাগুলো। স্বাধীন দেশে তার মায়ের মতো শহীদজায়াদের মূল্যায়ন কেন হলো না? সেই আক্ষেপই ঝরেছিল আধা ঘন্টার বেশি সময়।
সেদিন উনার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম, উনি বলেছিলেন- আরেকদিন এসো, মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব। মা আজ একটু অসুস্থ আছেন। সেই শহীদজায়া মা ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন কয়েক মাস আগে।
মাকে হারিয়ে সাদী মহম্মদ হয়তো বিষণ্ণ ছিলেন। কিন্তু তার চেয়েও বড় হৃদয়-বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়ে কাটিয়েছেন অনেক অনেক বছর।
১৯৭১ সালে তার বাবাকে (শহীদ সলিম উল্লাহ) হত্যা করা হয়েছে তারই চোখের সামনে। সেদিনের সেই ভয়াল স্মৃতি কিভাবে ভুলবেন তিনি? মায়ের লড়াই দেখে হয়তো তিনি সাহস পেতেন।
সেই মা যখন মারা গেলেন, হয়তো তিনিও জীবনের উপর থেকে সাহস হারিয়েছেন।
সাদী মহম্মদ কেন আত্মহত্যা করলেন? তা আমরা কেউই জানি না, জানবো না হয়তো কোনোদিন। কিন্তু ৭১ এর সেই ভয়াল স্মৃতি যে তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়াতো, তা বুঝেছিলাম সেই আড়াই ঘণ্টার আলাপে।
সাদী মহম্মদের সঙ্গে সেদিন আলাপের পর থেকে আমি যখনই সলিম উল্লাহ রোড পার হয়ে বাসায় ফিরি, রাস্তার পাশের কবরস্থানটার দিকে তাকায় আর ভাবি এখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গণকবর। তার পাশেই এখন রঙচটা কতশত বাড়ি, রেস্তুরা। অথচ এই কবরে অন্তত ২৫জনকে কুয়োর মতো একটা জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। তাদের প্রায় সবাই সাদী মহম্মদের স্বজন-প্রতিবেশি।
বাসার সামনের ঈদ গাঁর মাঠে তাঁর সামনেই জবাই করা হয়েছে তার খালাতো ভাইকে। সেই ভাইকে মারার আগে গলায় দড়ি দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে ঘুরানো হয়েছে পুরো পাড়া।
চোখের সামনেই বাবাকে ছুড়ি মারা হয়েছে। সেই বাবাকে হাসপাতালে নিতে পারেননি। অনেকটা সময় ছুরির আঘাতের পরও বেঁচে ছিলেন সলিম উল্লাহ। আহত অবস্থায় বাবা তাকে বলেছিলেন, 'আমি হয়তো বাঁচবো না। তোমরা বাঁচো'। বলে ধাক্কা দিয়ে সাদীকে পালাতে বলেছিলেন।
আহত বাবাকে রেখে তিনি সেদিন পালিয়েছিলেন। দূর থেকে দেখেছিলেন, বিহারীরা তার বাবাকে মারতে দলবেঁধে ছুটে আসছেন। এরপর কি হয়েছিল তিনি আর দেখেননি। নিজের জীবন বাঁচাতে পাশের বাড়িতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। ভয়ে অনেকে আশ্রয় দেননি।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ এই বাড়ির ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছিল। ২৬ মার্চ ছিল শুক্রবার।
বাড়ির সামনেই মসজিদ, জুম্মার নামাজ থেকে কেবল ঘরে ফিরেছেন সলিম উল্লাহ। মসজিদে জড়ো হওয়া অবাঙালিরা গুজব ছড়ায়, সলিম উল্লাহর বাড়ি থেকে মসজিদের দিকে গুলি ছোড়া হয়েছে।
জুম্মার নামাজে গিয়েই সলিম উল্লাহ বুঝেছিলেন, খুব খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। নামাজ না পড়েই বাসায় চলে এসেছিলেন সেদিন।
মসজিদে জুম্মার নামাজে কারা যেন উস্কানি দিয়েছে, এর পর থেকেই তাদের বাড়িতে ঢিল ছুঁড়া শুরু হয়। বিকেলের পর নিচতলায় আগুনও দেয়া হয়। রাত পর্যন্ত চলে হামলা। সবই নিজ চোখে দেখেছেন সেদিনের কিশোর সাদী।
সন্তানদের নিয়ে দু'তলা থেকে পাশের বাড়িতে লাফিয়ে পড়েছিলেন শহীদ সলিম উল্লাহর স্ত্রী। মচকে গিয়েছিল পা। সেই মচকানো পা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ছুটে বেড়িয়েছেন বাঁচার আশায়। স্বাধীন দেশে ফিরে এত বড় সংসার নিয়ে সেই মায়ের আরেক লড়াই চলে, যা পাশে থেকে দেখেছেন সাদী মহম্মদ।
জীবন যুদ্ধে এত সাহসের সঙ্গে লড়াই করার পরও জীবনের এই শেষবেলায় তিনি কেন আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিলেন? তার উত্তর হয়তো মিলবে না কোনোদিন। কিন্তু তাজমহল রোড দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই কবরস্থানটা, ঈদ গাঁ মাঠ আর পাশের পুরনো চারতলা বাড়িটা দেখলেই আমার চোখ জলে ভিজবে।
সাদী মহম্মদ সেদিন আড়াই ঘণ্টায় কত আলাপ যে করেছিলেন। বলছিলেন, এই বাড়িটাই মোহাম্মদপুরের প্রথম চারতলা বাড়ি। এক সময় এই বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে বিকেলবেলা তারা দূরবীন দিয়ে ডিআইটির ঘড়িটায় দেখতেন কয়টা বাজে? পরে অনেক উঁচু উঁচু ভবন হওয়ায় আর দেখা যায় না। এ কথা শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম।
শেখ কামাল ছিলেন তার বড় ভাইয়ের বন্ধু, প্রায়ই এসে রাতে থাকতেন। অনেক সময় বাসায় না বলেই চলে আসতেন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী তাদের বাসায় প্রায়ই টেলিফোন করতেন।
সেদিনের সেই আলাপের পর আমি যখনই ওই ঈদগাঁ মাঠের পাশ দিয়ে যায়, কবরস্থানের দিকে তাকাই আর শ্রদ্ধায় নত হই। সলিম উল্লাহ রোডে এখন অনেক খাবারের দোকান হয়েছে। সেখানে গেলেই ভাবি সময় কেমন পালটে যায়?
কিন্তু সাদী মহম্মদ কি এত সহজে ভাবতে পারতেন? এই সলিম উল্লাহ রোড, তাজমহল রোড যে তার জীবনের কী ভয়ংকর অধ্যায়! তাই তো শহরের আধুনিক বিবর্তন হওয়ার পরও হইতো তিনি সেই পুরনো বাড়িটা ছাড়তে পারেননি। নতুন কোনো ফ্ল্যাটে উঠেননি। এই বাড়িটাকেও কোনো ডেভলপারকে দেওয়া হয়নি। আজন্ম তিনি এই বাড়িতেই থেকেছেন। আর এই বাড়িতেই তিনি নিজেই নিজের জীবনের যবনিকাও টেনেছেন।
বিদায় সাদী মহম্মদ;
এই বাংলাদেশ আপনার বাবার রক্তে-ভেজা, আপনার মায়ের জীবনযুদ্ধের উপর গড়ে উঠা বাংলাদেশ।



রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার সাদি মহম্মদ বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্র সংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। অসংখ্য সিনেমা ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন । সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্র সংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা সাদি মহম্মদ একাধারে শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার ছিলেন।
২০০৭ সালে 'আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে' অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
২০০৯ সালে তার 'শ্রাবণ আকাশে' ও ২০১২ সালে তার 'সার্থক জনম আমার' অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালে চ্যানেল আইয়ের 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' এবং ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির 'রবীন্দ্র পুরস্কার'সহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
শহীদ সলিম উল্লাহর ছেলে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ এবং নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ
বাংলাদেশে সংস্কৃতি অঙ্গনে খুবই চেনা মুখ। সলিম উল্লাহ ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তাঁকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাই।
যখন এখানে আসেন, তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি আমরা। আত্মীয়স্বজনের কাছে জানতে পারি,
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তাঁর গলার মধ্যেও ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন পাই।’
এ সময় শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেও জানান চিকিৎসক।
পরিবার-বন্ধু সবাই বলছেন, মা হারানোর পর বিষণ্নতা ঝেঁকে বসেছিল শিল্পীর জীবনে। জীবনভর সংগীতের পেছনে ছুটে চলা মানুষটির নানা অপ্রাপ্তির ডায়েরি তৈরি হয়েছিল মনের মণিকোঠায়।
সবশেষ সাদি মহম্মদের মানসিক অবস্থা নিয়ে শামীম আরা নীপা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছিলেন, শিবলী আমাকে বলেছিল, তুই একটু আয়, আমরা সাদি ভাইকে একটু বোঝাতে চাই, তুই থাকলে সাদি ভাই কথা শোনে।
এসেছিলাম, অনেকক্ষণ কথা হলো, কথা দিয়েছিল আর ডিপ্রেশনে যাবে না।
তখন বলছিলাম, তুমি একজন চিকিৎসকের কাছে যাও, উত্তরে বলেছেন, “না, আমারটা আমি বুঝব।
তোমরা আমাকে নিয়ে ভেবো না”।’
শুধু তা–ই নয়, হতাশা-মনের কষ্টগুলো ভুলে থাকতে শিল্পীকে অনুষ্ঠান করারও পরামর্শ দেন নীপা।
তিনি জানান, ‘বলেছি তুমি অনুষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে যাও। তাহলে এই যে তোমার কষ্ট হচ্ছে, খালাম্মার জন্য বিভিন্ন কারণে, সেটা কেটে যাবে। বলেছেন, করবেন। আমি বললাম, তাহলে পয়লা বৈশাখেই করি, উত্তরে বললেন, “না, আমি চৈত্রসংক্রান্তিতে করব।”
সব যন্ত্রণা ভুলতে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথই বেছে নিলেন গুণী শিল্পী এবং সংগীতের গুরু সাদি মহম্মদ।
তাঁর মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।
রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ।


১৯৮৯ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঢাকায় সাদি মহম্মদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×