আমরা সবাই জানি আর কিছু ঘন্টা পরই বিশ্বের প্রধান শক্তিশালী দেশে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ, ইউক্রেন ,ইরান ,মেক্সিকো এমন অনেক দেশই চিন্তায় অস্হির
জীবন যাপিত করছে ।
এর কারন কি ?
অনেক পোড় খাওয়া দ্বিতীয় বার এর প্রেসিডেন্ড অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আরোহন করতে যাচ্ছে ।
যদি ও আমি সবসময়ই এই প্রেসিডেন্ড কে পাগলা বলে থাকি, কিন্ত তিনি তার বক্তব্যর সপক্ষে যে কাজ
করতে যাচ্ছেন তা অনেকের আতংকের বিষয় হয়ে দাড়াঁচ্ছে ।
তিনি যেসব প্রতিশ্রুতি ( প্রায় ১০০টি ) দিয়েছেন তার মধ্যে ১০টি অত্যন্ত শ্পর্শকাতর বিষয়ে প্রথম দিনেই
বাস্তবায়নের জন্য স্বাক্ষর করবেন ।
তাহলে দেখা যাক সেই ১০ টি এজেন্ডা কি কি ???
১) বার্থ রাইট সিটিজেনশীপ রহিত করণ বিল ।যা উক্ত দেশে ১৮৬৮ সাল থেকে বাস্তবায়ন হয়ে আসছে ।
৫ বিলিয়ন অবৈধ অধিবাসীর নাগরিকত্ব পথ বন্ধ করা
২) বিগত ৪ বৎসর পূর্বে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় হামলার আসামীদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা ।
৩) ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধবন্ধ করা ও গাজাঁ যুদ্ধ স্হগিত করা ।
৪) ট্যারিফ বসানো < চীনের ক্ষেত্রে ৬০% থে কে ১০০% , মেক্সিকো কানাডার জন্য ২৫%
৫) আভ্যন্তরিন সম্পদ আহরন ও বৃদ্ধি, নিজস্ব তৈল উৎপাদন সক্ষমতা আরও উর্ধগতি আনয়ন ।
৬) বাইডেনের বর্ডার পলিসি বাতিল করে ,কোন মানবিক আচরন না দেখানো ।
৭) অবৈধদের দেশ থেকে বিতারন
৮) মেইড ইন আমেরিকা এই লক্ষ্যে সকল অটোমোবাইল কারখানা পুণ: চালুকরণ ও পৃথীবির বিভিন্ন দেশ থেকে আসা
গাড়ীর উপর ২৫% ট্যাক্স বসায়ে নি জস্ব গাড়ী উৎপাদন অব্যাহত রাখা,
৯) ২০৩৫ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ী সর্বত্র চালুকরণ।
১০) ট্রান্সজেন্ডার ব্যবস্হার অপব্যবহার রহিত করা ।
সকলেই অপেক্ষা করছে কিভাবে তিনি এসবের বাস্তবায়ন করবেন ।
ফলে ইঊরপীয় ইউনিয়নের সাথে তার সর্ম্পক তলানীতে নামবে,
গ্রীনল্যান্ড হামলা করলে ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে,
জার্মানী ন্যায্য দামে গ্যাস না পেলে অর্থনীতি আরও খারাপ হবে, এ সময় প্রতিবাদ , শ্লোগান ও দেখা যেতে পারে ।
দেশে দেশে ডানপন্থীদের দাপট বাড়বে চাই কি নব্য হিটলারের ও জন্ম নিতে পারে,
আর আমাদের দেশে তার প্রভাবে আমাদের অবস্হান কোথায় হবে
কল্পনাতে আনতে চাচ্ছি না ।
পূনশ্চ : দেশে দেশে যে বসন্ত আসে বা রেজিম পরিবর্তন করা হয় তার পেছনে থাকে বিভিন্ন দেশের স্বার্থ,
এক্ষেত্রে আমেরিকার আছে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান যার নাম "ডিপ ষ্টেট "
তাই যে কোন রাষ্ট্র প্রধান বলতে পারে যে, এ বিষয়ে সরকার প্রধান জড়িত নয় ।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে । তাদেরই সদস্য দেখতে পাই পিটার হাসঁ সহ অনেক কে ।
বিগত নির্বাচনে হেরে ট্রাম্প জানতে পারেন তার হেরে যাবার পিছনে" ডিপ ষ্টেট" এর হাত ছিলো,
তাই এবার তিনি তা বিলুপ্ত করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ।
মার্শা বার্নিকেট ২০১৪ সালে বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন । তিনি ২০২১ সালে ডাইরেক্টর জেনারেল ( গ্লোবাল টেলেন্ট নামে খ্যাত ) পদ লাভ করেন এবং "ডিপ ষ্টেট " অত্যন্ত শক্তিশালী কর্মকর্তা হিসাবে বিদেশের বিপ্লব ঘটানোর অপকর্মে জড়িত
ছিলেন । ফলে ট্রাম্প ডিপষ্টেট বিলুপ্তির লক্ষ্যে মার্শা সহ আরও দুই কর্মকর্তাকে ( ডেরিট হোগান ও আ্যালাইনা টেপটিক্স ) বরখাস্ত করেন ।
আর তাদের প্রতিনিধি আমরা দেখতেপাই : বিইটিনেস, পিটার হাঁস প্রমুখ ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১০