somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমানে একদলীয় শাসন কায়েমের স্বপ্ন দেখা, মই বেয়ে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নের শামিল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যদি প্রশ্ন করি যে, বংগবন্ধু শেখ মজিব ও তারই কন্যা শেখ হাসিনার মধ্যে কে বেশী বুদ্ধিমান,ঞ্জানী ও বিচক্ষন ?

নিশ্চয়ই একশত জনের মধ্যে একশত জনেরই উত্তর হবে- অবশ্যই বংগবন্ধু । কারন-বংগবন্ধুর সাথে তো কারো তুলনা করাই চলে না । আমিও এই ব্যাপারে সম্পূর্ন একমত ।

এখন তাহলে আসি মূল আলোচনায়, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধস্ত এই বাংলাদেশে, যখন বংগবন্ধু দেশের দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন, তখন তাকে শুরু করতে হয়েছিল একদম প্রথম থেকে, একেবারে শূন্যহাতে । কিন্ত তখন সমস্যার কোন অন্ত ছিল না । বংগবন্ধুর মতো অভিজ্ঞ, বিচক্ষন রাজনৈতিক নেতাও তখন সেই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেয়ে গিয়েছিলেন । পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে, তিনি শেষ পর্যন্ত একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে বাধ্য হয়েছিলেন । কিন্ত বংগবন্ধুর নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত, হিতে বিপরীত হয়েছিল । দেশের অধিকাংশ মানুষই, তার এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি । মানুষ প্রকাশ্যে তার জোরালো বিরোধীতা না করলেও মনে মনে অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাংখাই তখন এক হয়ে গিয়েছিল । যার ফলশ্রুতিতে ১৫ই আগষ্টের বংগবন্ধুর সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পরও মানুষের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি ।
স্বাধীনতার ৪৩বছর পরের, বর্তমান এই বাংলাদেশের অবস্থার এখন আমূল পরিবর্তন হয়েছে । মানুষ যেমন এগিয়েছে অর্থনৈতিকভাবে, তেমনি এগিয়ছেে শিক্ষা-দীক্ষায়ও । মানুষের ধ্যান ধারনা ও মন-মানসিকতায়ও এসেছে অনেক পরিবর্তন । প্রযুক্তিতেও দেশ এগিয়েছে অনেক । বর্তমান সরকারই কিন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা । অথচ এই সরকারই কিনা স্বপ্ন দেখছে, আবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের, যা বর্তমান বিশ্বে কেউ কল্পনাও করতে সাহস পাচ্ছে না । গত একযুগে পৃথিবীর বড় বড় একদলীয় শাসন ব্যবস্থার রুপকাররা, যারা কিনা পরিচিত ছিল স্বৈরশাসক হিসাবে নিন্দিত,সমালোচিত ও ঘৃনীত এবং তাদের মসনদ তাসের ঘরের মতো ভেংগে পড়েছে । যেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশে, প্রয়োজনের তাগিদেও বংগবন্ধুর মতো নেতা টিকিয়ে রাখতে পারেননি এবং যার কারনে বংগবন্ধুকে অত্যন্ত নির্মমভাবে নিহত হতে হয়েছিল পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনসহ, সেইখানে আবার তারই কন্যা শেখ হাসিনা আবার কিভাবে সেই একদলীয় অভিশপ্ত শাসন ব্যবস্থার দিকে পা বাড়িয়েছেন ?

একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বংগবন্ধুর নির্মম পরিনতির জন্য একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমই দায়ী-এটাকে বিবেচনায় না নিয়ে, তিনি বরং কি কারনে বংগবন্ধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি-সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে ,তার নিজের চিহ্নিত কারনগুলি মাথায় রেখে, সেগুলির যাতে পূনরাবৃত্তি না ঘটে, সেইদিকেই পুরাপুরি মনোনিবেশ করে এগুচ্ছেন বলেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ।
কিন্ত বংগবন্ধুর আমলের চেয়ে বর্তমানে শেখহাসিনার রয়েছে প্রবল প্রতিপক্ষ, যে কিনা বিগত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে হলে বর্তমানে ক্ষমতাসীন থাকার ছিল সমূহ সম্ভাবনা । এমনই একটি প্রবল প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ন নির্মূল করার যে পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমান সরকার এগুচ্ছে, তা বুমেরাং হয়ে নিজেদের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে ফেলতে পারে শেষ পর্যন্ত । কারন বংগবন্ধুর মৃত্যুর পরে, আওয়ামীলীগকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগেছিল প্রায় ২১বৎসর । বর্তমানে ক্ষয়িষ্ঞু জনসমর্থন নিয়ে, শুধুমাত্র আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্ন দেখা- আমার কাছে তাই সিড়ি বেয়ে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার মতোই মনে হচ্ছে ।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×