হালকা কুয়াশা মাখা শীত শীত রাত। কিছু একটা করতে ইচছে করছে। চাইলেই অবশ্য বাইরে গিয়ে একটু ঘুরে আসতে পারি। মোড়ের দোকান থেকে চটপটি বা ফুচকা খেয়ে আসতে পারি। একা যাব? কি হবে, যাই। ভয় নেই। একা বলে দু একজন হয়তো একটু বাঁকা চোখে তাকাবে। আরতো কিছু না।উমম্ রিকসা করে ঘুরে আসা যায়। না থাক,ছিনতাই হবার ভয় আছে।
হঠাৎ করে একটা কথা মনে হলো।আচছা আমি যদি ৩৭ বছর আগের সময়ে থাকতাম তখন কি এভাবে ভাবতে পারতাম!! একা একা রাতে!!!
ঠান্ডা হীম স্রোত বয়ে গেলো।
কে দিয়েছে আমকে এই স্বাধীণতা? কে দিয়েছে এই প্রজাপতি দিন? ওঁরা কি দেখছে আমাকে? আমার এই উচছলতায় ওঁদের চোখে একটুখানি সুখের কুয়াশা জমে উঠল নাকি?
আমি আমার এই অবারিত স্বাধীণতায় ওদেরকে সামিল করতে চাই। এখন আমার কথা শুনে কোন বুট্ পড়া উর্দূভাষী এসে মরণ থাবা ছুরে মারে না। তাই আমি শহরময় ওঁদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাই।
একটু থমকে গেলাম...ওঁরা কি চুপি চুপি এসে সত্যি সব দেখতে পায়?তাহলে কি করে আড়াল করবো স্বার্থের থাবায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া এই দেশের প্রতিচছবি?
উর্দূভাষী হায়েনাদের হাত থেকে ওরা আমাদের বাঁচিয়েছে....আর এখন স্বার্থান্বেষী হায়েনাদের হাত থেকে আমাদের কে বাঁচাবে?
তার মানে কি আমি এবং আমরা এই সময়ের যোদ্ধা..??
আমদের শক্তি দাও প্রভূ.....
যাঁরা আজ আমাদের চুপি চুপি দেখছে ওঁদেরকে সাথে নিয়ে আমি শহরময় বিজয়ের মিছিলে যতে চাই। আমার জীবনের সবটুকু ভালবাসাময় শ্রদ্ধা দিয়ে ওঁদের কাছে মাথা নত করে ক্ষমা চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




