নিজেকে একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক মনে করে টেলিটক ব্যবহার করে আসছি। যাতে দেশের টাকা দেশে থাক। "টেলিটক ব্যবহার করুন দেশের টাকা দেশে রাখুন " এটি হলো টেলিটকের মূল থিম অথচ পরিতাপের বিষয় হলো টেলিটকের সব একাউন্ট বিদেশি ব্যাংকে!
বহুত কষ্টে সীমটি সংগ্রহ করে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করেছিলাম। কিন্তু সবই বৃথা। কারণ টেলিকটে যারা গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলি করেন তারা সবাই অন্য অপারেটরের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা খান। এটা এখন ওপেনসিক্রেট ব্যাপার। নিন্দুকেরা বলে টেলিটক যাতে মার্কেটে না থাকে তার জন্য সবাই অর্থাৎ অন্য অপারেটরা সবাই মিলে মাসোহারা প্রদান করে টেলিটকের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারীকে।
যদি তাই না হবে তাহলে ল্যান্ড ফোন থেকে ফোন করলে যেখানে অন্য অপারেটরে এক চেষ্টাটেই কল ঢোকে অথচ টেলিটকে কমপক্ষে ৭/৮ বার চেষ্টার পর কল ঢোকেনা। আমার স্ত্রীর কাছেও টেলিটক নাম্বার। সেই নাম্বারে ল্যান্ড ফোন থেকে ফোন করতে গেলে ৭/৮ বার তো দূরে থাক কমপক্ষে ৩০ বার ফোন করেও আমি ঢুকতে পারিনি এটা কোন গল্প নয় সত্যি এবং আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা। এইযে আমি ৩০ বার কল করেছি টেলিটকে তার মাঝে রবি, এয়ারটেল এবং গ্রামীনে আমার পরিচিত জনের নাম্বারে ফোন করেছি পরীক্ষা করার জন্য তাতে একবারেই ঢোকে। অথচ ল্যান্ড ফোন থেকে টেলিটকে একবারে ঢোকার কথা তা না হয়ে হচ্ছে ঠিক উল্টা টা।
মাঝে মাঝে আমার এফএনএফ নাম্বারে ফোন করেলেও ফোন ঢোকেনা মেসেজ আসে আনরিকগনাইজড নাম্বার অথবা ভয়েস আসে আপনি ভুল নাম্বারে ফোন করেছেন। এই হলো আমাদের টেলিটকের টেলিদূর্ভোগ।
এখন আবার থ্রিজির নামে আর এক প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে টেলিটকের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কোন এক কুলাঙ্গারের উর্বর মস্তিস্ক থেকে থ্রিজির নামে যে সব অফার ঘোষণা করা হয়েছে তাতে টেলিটককে ধ্বংস করা উপায় ছাড়া কিছুনা। যেমনটি করা হয়েছিল টেলিটকের সীম ছাড়ার সময়।
যদি এই সব অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিন্দুমাত্র দেশ প্রেম থাকতো তাহলে এই সব উদ্ভট চিন্তা তাদের মাথায় আসতোনা।
এবিষয়ে আপনাদের মতামত একান্ত কাম্য।