গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনারকে দোষারোপ করে পোস্ট দিয়েছিলেন মাহি। এজন্য তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ আনতে পারে, জিএমপি কমিশনারের মানক্ষুন্ন করেছে মাহি। যুক্তির কথা। কিন্তু পুলিশ যখন সন্দেহজনক কোন ব্যক্তিতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়, তাদের নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দেয়।
এরপরে যখন তদন্তে বেড়িয়ে আসে সেই ব্যক্তি নির্দোষ তখন কি ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেফতার হন? জজ মিয়া, জাহলামকে যেসব পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাদের কি গ্রেফতার করা হয়েছিল? তাহলে মাহি হবেন কেন?
বরংছ হওয়ার কথা ছিল, জিএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে মাহি যে অভিযোগ এনেছেন সেটার তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। সেখানে যদি জিএমপি কমিশনার নির্দোষ প্রমাণিত হতেন তখন মাহির বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার হতে পারতো।
কিন্তু আমলাতান্ত্রিক দেশে দেখছি পুলিশের বিরুদ্ধে কথাই বলা যাচ্ছে না। আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? জাতির জনক বলেছিলেন, আমলা না গড়ে দেশ প্রেমিক গড়ার। আপনপ্রেডিক্টেবলভাবে দেশটি আজ আমলাদের দখলে।
মাহি যে অভিযোগ তুলেছেন সেটি যে মিথ্যা তা কি প্রমাণ হয়েছে? তার আগেই ৯ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক নারীকে ও তার অনাগত গর্ভের সন্তানকে গ্রেফতার করা হলো। ধিক্কার জানাই এই কথিত আইন প্রয়োগের নামে নিস্পেষণকে।
মোদ্দা কথা হলো, ক্ষমতায় থাকতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরী করেছেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে। ইতোমধ্যে সাংবাদিক অঙ্গন সেই মামলার আঘাতে চুপচাপ। এবার পুলিশও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
এটি সুস্থ রাষ্ট্রের কোন আচরণ হতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১