somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিক্যবাদ, হেফাজতে ইসলামী, জাশি এবং শাহাবাগ নিয়ে জিলিপির প্যাচ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিকতা আসলে কি জিনিসঃ
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ঈশ্বরের অবিশ্বাস হচ্ছে নাস্তিকতা। কিন্তু নাস্তিকতা কি আসলেই এই সংজ্ঞার মধ্যে সীমাবদ্ধ? অবশ্যই নয়। নাস্তিক হয়েছেন কিন্তু কেন হয়েছেন সেই ব্যাখ্যা যদি না দিতেই পারেন তাহলে আর নাস্তিক হয়ে লাভ কি? হ্যা এখানেই চলে আসে বিবর্তনবাদ এবং মুক্তমনা ও মুক্তবুদ্ধির চেতনা। আপনি কি এসব নিয়ে পড়াশুনা কিছু করেছেন? এখানে উল্লেখযোগ্য এই যে ঈশ্বর বলতে কিছু নাই তাই আপনার গোপন অপকর্ম গুলো কেউ দেখবে না, তার কোনও শাস্তি হবে না, আপনি পার পেয়ে যাবেন। তাহলে বরং বলতে বাধ্য হয় নাস্তিকতা আপনার জন্যে নয়। বরং বিশুদ্ধভাবে যেকোনো একটি ধর্ম মেনে চলুন তাতে করে আপনিও ভালো থাকবেন আমরাও ভালো থাকবো।

নাস্তিক হিসেবে আপনার সামনে যেগুলো প্রথমেই আসবেঃ
[১] আপনাকে অবশ্যই বিবর্তনবাদ সম্পর্কে সম্যক ধারনা নিতে হবে, সুস্পষ্টভাবে আপনাকে জানতেই হবে কেন আপনি নাস্তিক। আপনি যদি নাই জানলেন তাহলে অন্যদের কাছে আপনি কি জবাব দিবেন? অন্যথায় আমরা ধরে নিতে পারি আপনি নাস্তিক হচ্ছেন অপরাধ করার জন্যেই।
[২] নাস্তিকতার সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত মানবতাবোধ। আপনি যদি আপনার আশেপাশের মানুষদের সন্মান না করতে পারেন, তাদের সাথে প্রাণীর মতো আচরন করবেন কিংবা মনের মধ্যে বিভিন্ন রকম কুবুদ্ধি থাকবে কিভাবে অন্যদের ক্ষতিসাধন করা যায়। তাহলে আপনি নাস্তিক বটে তবে এই ক্ষেত্রে আপনি একজন অপরাধীও বটে। আপনার সাথে এক রুমে থাকতে অন্য নাস্তিকরা বিব্রতবোধ করবে নিশ্চিত থাকেন।
[৩] মুক্তমনা শব্দটাও নাস্তিকতার জন্য অপরিহার্য, আপনি যদি উদার চেতনা না ধারন করতে পারেন, আপনার মনের মধ্যে যদি কুসংস্কার বাসা বেধে থাকে, আবার ঈশ্বর মানবেন না কিন্তু হস্তরেখায় প্রবল আসক্তি, অঞ্চল ভিত্তিক কুসংস্কার যেমন BNCC র মানুষ দেখলেই আপনি একটা বাজে ট্যাগ দিয়ে বসে থাকবেন কিংবা খাট লোকে লালাক অতি এবং লম্বুদের হাটুর নিচে বুদ্ধি কিংবা তাও না আপনি মেয়েদের দেখেন স্রেফ পন্য হিসেবে তাহলে আপনি কিসের মুক্তমনা আর কিসের নাস্তিক?
[৪] মুক্তবুদ্ধি শব্দটা সব থেকে জরুরী একজন নাস্তিকের জন্যে। আপনাকে একজন একটা জিনিস বলল আর আপনি ঠাস করে সেইটা বিলিভ করে বসে থাকবেন তাহলে যারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী তাদের সাথে আপনার কি পার্থক্য? আপনাকে সব জায়গায় লজিক, প্রমান খাটিয়ে চলতেই হবে। এবং সেই সাথে যদি সামনে এমন কিছু আসে যা অসার যা মিথ্যে প্রমানিত সাথে সাথে সেটি ছুড়ে দেয়ার মানসিকতা।

বাংলাদেশের নাস্তিকরা যা করছেনঃ
[১] প্রথমেই আসি একটি নির্দিষ্ট ব্লগ মুক্তমনা সম্পর্কে, এখানেই আলোচনা হয় বিবর্তনবাদ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়াদি নিয়ে। কিন্তু এই ব্লগে সাধারন পিপল সহজে ঢুকতে পারে না, তাদের নীতিমালা ভয়াবহ রকমের কঠোর, এর ফলে যা হয় নতুন যারা নাস্তিক হচ্ছে কিংবা যেসব ছেলে মেয়ে বিবর্তনবাদ এবং নাস্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে তারা কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
[২] বাংলাদেশের নাস্তিকরা সাধারনভাবে তাদের সব কাজ নিজেদের ব্যক্তিগত জিবনেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন, এবং উপরেউল্লেখিত ঐ ব্লগে পোস্ট দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ মনে করেন। তাদের কোনও সুস্পষ্ট নীতিমালা আমার চোখে পরে নাই, তারা আদৌ বিবর্তনবাদ সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কোনও কাজ করেছে বলে আমি মনে করি না। এবং বিভিন্ন পাঠ চক্র শুধু তাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

ফলাফলঃ
[১] নাস্তিক নবীর মতো কিছু নাস্তিক যারা পাবলিক কমিউনিটি গুলোতে ক্রমাগত ধর্ম সম্পর্কে আজেবাজে কটুক্তি করছে যেগুলো আদৌ কোনও সমালোচনা কিংবা যুক্তি নির্ভর অসারতা প্রমানের প্রচেষ্টা নয়। উদাহরনঃ নাস্তিক নবী, থাবা বাবা।
[২] মগাচীপ, সবাক এর মতো কিছু নাস্তিক ধর্ম কে যেভাবে গালাগাল দিয়েছে সেটা সাধারন মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে, এখানে ভুলে চলবে না, এই দেশের মানুষ এখনো প্রচণ্ড ধর্মপরায়ণ। আর এইসব নোংরা গালিবাজি আমি সমর্থন করি না। এদের কাছে নাস্তিকতা হচ্ছে ফ্যাশন অথবা এরা নাস্তিকতার বিজনেস করে চলছে, উদাহরনঃ মগা চীপ।
[৩] উপরের দুটির মতোই সিমিলার কেস দাড়িপাল্লার। সে খুব ভালো করেই জানে যে নবী কে নিয়ে কার্টুন দিলে সেটি সমালোচিত হবে এবং সে প্রচারের আলোতে আসবে। এখানেও লক্ষণীয় সে নাস্তিকতা ইউজ করেছে নিজেকে হাইলাইট করার জন্যে। নিজেকে ইচ্ছে করে হুমকির সন্মুখিন করে তুলেছে, আমি জানি না কিসের আশায় সে এটি করেছে তবে আমার লজিক বলছে এর পিছনে তার স্বার্থ ছিলো এবং সেটি অবশ্যই নাস্তিক্যবাদের কোনও উপকারে আসে নাই।
[৪] অনেকে নাস্তিক আছে যারা কেবল স্কুল কিংবা কলেজের গন্ডি পেরিয়েছে অথবা পেরোয়নি, তারা এক্ষণ অন্ধকারে আছে তারা জানে না কেন তারা নাস্তিক তবে তারা উপলব্ধি করে ঈশ্বর বলে কিছু নাই। এটি তারা করে তাদের স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ থেকেই।

সাধারন মুসলমানরা যেখানে বাগাড়ম্বর করে ফেলেঃ
[১] নাস্তিক আপনার শত্রু নয়, কিন্তু তারা নাস্তিকদের শত্রু ভাবতে শুরু করে দেয়।
[২] নাস্তিক কোনও গালি নয়, নাস্তিকতা একটি চেতনার নাম। কিন্তু তারা নাস্তিকতাকে গালি হিসেবে ইউজ করে।
[৩] নাস্তিকদের মুরগীর মতো অবলা মনে করে, যেন তারা অহিংস এবং এই কারনে কোনও অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারবে না এমন কি নিজেদের উপর আঘাত আসলেও, এইটা একটা ভুল ধারনা, আপনারা একজন নাস্তিককে হত্যা করতে গেলে কিংবা আক্রমন করলে সে বসে থাকবে না, এইখানে অহিংস নীতির গুস্টি কিলাই আমি। একজন নাস্তিক একজন মানুষ তার বেচে থাকার পরিপূর্ণ অধিকার রয়েছে। সেটা আপনার দেয়া নয়।
[৪] সাধারন মুসলমান বিশেষ করে এই বাংলাদেশে কয়জন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে? জানেন কি? আপনি পড়েন? অনেক কম এই সংখ্যা। আপনি কি জানেন এই দেশে প্রতিদিন কি পরিমান অপরাধী ধরা হয়? এবং তারা সবাই ধর্ম মেনেই চলে বাস্তব জীবনে। এরা কিন্তু নাস্তিক নয়।
[৫] কোন ধর্মে আছে প্রতিবেশীর জমি ঠকিয়ে নেয়া?, কোন ধর্মে আছে ভিন্ন মতের মানুষ পেলেই তাকে খুন করা কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খুন করা? কিংবা রাস্তা দিয়ে একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে তাকে উত্যক্ত করা এবং ধরে নিয়ে গিয়ে রেপ করা? আরে ভাই ধর্মের সব থেকে বড় অপমান করছেন আপনারা, নাস্তিকরা নয়। আপনারা নাস্তিকদের থেকে অনেক বেশি খারাপ এবং নোংরা মেন্টালিটি ধারন করছেন। পৃথিবীতে ধর্মটা আসলেই আপনাদের জন্যে খুব প্রয়োজন, আপনাদের এইসব পাশবিক কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে আমি ধর্মের বিকল্প দেখি না। কিন্তু সেই ধর্ম আপনাকে পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। নইলে আপনি সুবিধাবাদী আস্তিক।

জাশিঃ
[১] জামাত শিবির কোনও ইসলামী দল নয়। এরা একটি রাজনৈতিক দল। এরা ধর্মের পতাকা উড়ায় না, এরা রাস্ট্রজন্ত্রের ক্ষমতা চায়।
[২] এদের প্রতিষ্ঠাতা তাফহিমুল কুরআন নামের একটি বই লিখেছে, সেখানে আছে দেশপ্রেম বলে কিছুই নাই, সব দেশ আমার মামা বাড়ির সম্পত্তি। কিন্তু হাদীসে স্পষ্ট করেই আছে দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। যারা কুরআন বিকৃতি করে নতুন হাদীস আকাশ থেকে ডাউনলোড করে তারা তো ভন্ড।
[৩] এতদিন এদের নীতিমালায় ছিলো সকল ক্ষমতার উৎস সর্ব শক্তিমান আল্লাহ। কিন্তু এখন গিয়ে চেক করেন, তাদের নীতিমালায় সেটি আর নেই, তাহলে এই দল কিভাবে ইসলামী দল হয়?
[৪] আপনারা বলুন ইসলাম কি গনহত্যা এবং অন্য ধর্ম কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিরোধী মতের মানুষকে গুম, ধর্ষণ সমর্থন করে? হ্যা এই সেই দল জাশি যারা একাত্তরে এই দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো এবং হানাদারদের দোসর ছিলো। তারপরেও বলবেন এরা ইসলামী দল? এরা ভণ্ড।

হেফাজতে ইসলামীঃ
এদের সম্পর্কে আমি স্পষ্টভাবে জানতে ব্যর্থ হয়েছি, তবে পেপার পত্রিকা মারফত যা জেনেছি, এরা ঘোষণা দিয়েছে নাস্তিকদের হত্যা করার, কতল করার। এই যেন মামা বাড়ির আবদার। নাস্তিক হয়েছে তো কি হয়েছে? নাস্তিকরা তো আপনাদের বাসায় বাসায় গিয়ে গুম হত্যা চালায় নাই। তাহলে কেন এই নাস্তিকবিদ্দেশি মনোভাব? এর কারন হতে পারে দুইটি প্রথমত অজ্ঞতা এবং দ্বিতীয়ত জাশির সাথে আপনাদের গোপন আঁতাত।

এই দুইটির যেটাই হন আপনারাই কাঠমোল্লা। আপনাদের সুকীর্তি সমূহ এখানে আলাদাভাবে তুলে ধরার কারন নাই, আমরা ইতিমধ্যে জানি আপনাদের ফতোয়ার শিকার হয়ে ধর্ষিতাকে দোররা মারা হয়, আমরা জানি আপনাদের ফতোয়ার শিকার হয়ে স্বামী থাকতেও তার বউকে অন্য জায়গায় হিল্লা বিয়ে দেয়া হয়, আমরা জানি আপনাদের একাত্তরের কার্যকলাপ, তখন আপনারা কাঁদের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং আপনাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি।

আপনাদের শুধু একটি কথাই বলতে চাই এই দেশ স্বাধীন করা হয়েছে কাঠমোল্লাদের থেকে বাচাবার জন্যে, কাঠমোল্লাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্যে নয়। এবার আপনারা মঞ্চ থেকে প্রস্থান করুন তার কারন আপনারা এই জাতির এক ঝাঁক তরুণকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে তাদের মেধার অপচয় করছেন, তারা মাদ্রাসা পাশ করে ব্যক্তিজীবনে বলতে গেলে ভিক্ষা করে চলেছে, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছে মতো ফতোয়া দিবেন আবার তাদের দেয়া ভিক্ষা মাথায় পেতে নিবেন এর থেকে আব্লামী আর কিছুই হতে পারে না।

শাহাবাগের আন্দোলনঃ
[১] শাহাবাগে আমাদের ব্লগারদের এই আন্দলন শুরু হয়েছিলো কেন? আজ কি সবাই ভুলে গেছেন? প্রসিকিউশন এতো বড় একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে এরকম হালকা প্রমান কেন পেশ করেছে? সরকার কোনও গোপন আঁতাত করেছে কিনা সেটার বিরুদ্ধে ছিলো আমাদের আন্দোলন আর আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিলো সাধারন মানুষ, পাশে এসেছিলো সব মতাদর্শের মানুষ এবং অনলাইনে যারা সবসময় থাকেন তাদের সবাই। সবার উদ্দেশ্য সরকারের গোপন আঁতাতের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার আন্দোলন।
[২] তারপর সেই আন্দোলন থেকে সাধারন ব্লগার এবং ভিন্ন মতের ব্লগারগন চাইলাম জাশির নিষিদ্ধকরন, এর সাথে বাংলাদেশের সাধারন জনগনের সমর্থন ছিলো।

যা কিছু দিতে পারতো শাহাবাগঃ

[১] রাজাকারদের এই ভন্ড ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করে যেত।
[২] এই ইস্যুতে উভয়দলকে সেইম প্ল্যাটফর্মে আনার একটা প্রচেষ্টা।
[৩] সুশাসনের দাবী।
[৪] তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু ফিরিয়ে আনার জন্যে সরকারী দলকে চাপ প্রয়োগ।
[৫] বিনিময়ে বি এন পি কে চারদলীয় জোট থেকে জাশিকে বাদ দেয়ার একটা সুযোগ প্রদান।

যা হয়েছে আন্দোলনের নামেঃ
[১] আশির দশকের ছাত্রদলের নেতাদের ওখানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, অনেকেই দাবী করবেন যার যেমন গ্রহণযোগ্যতা, এই মানদণ্ডে এক্ষণ পর্যন্ত যে কয়জন রাজনীতিবিদ সেখানে গিয়েছেন তাদের কারো যোগ্যতা নেই ওখানে যাওয়ার। কিন্তু আমাদের তো এই উভয় দলের রাজনীতিবিদদের সাথে ডিল করতে হবে, যাতে করে আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়, একটি দলকে বাদ দিয়ে এটি সম্ভব নয় সেটি আপনারা বুঝেন নাই?
[২] ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধকরণের দাবী। বলাই বাহুল্য বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলো একটা সুযোগ নিয়েছে যা কাঠমোল্লাদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই সব মোটা মাথা বাম গুলো কোনও দিন এই দেশের বাস্তব পরিস্থিতির দিকে তাকায় নাই।
[৩] ইমরানকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়া, ইতিমধ্যে এই ব্যক্তি সাধারন ব্লগারদেরও চক্ষুশূল হয়েছে, সে ব্লগার সার্টিফিকেট দিবেন এই মর্মে ঘোষণা দিচ্ছেন[ ইমরান সাহেব কোনও রক্ষা নাই, আপনারে নিয়াই আমি আলাদা পোস্ট দিবো]। যিনি নিজেই ব্লগার নন।
[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদে দেয়া বক্তব্য ছিলো আন্দোলনকে সময়সূচী বেধে দেয়ার কথা, তাৎক্ষনিক ভাবে লীগ পন্থী ব্লগারদের সেই কথা শিরোধার্য মেনে আন্দোলনের সময়সূচী প্রদান, যা আসলেই এই আন্দোলনের নিরপেক্ষ ইমেজ একেবারেই গিলে খেয়েছে।
[৫] টিভিতে দেখা যাচ্ছিলো ইমরানের পিছনে সোহাগ দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাকে শিখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে কি বলতে হবে, যা একজন নেতার জন্যে লজ্জাজনক এবং সোহাগ ছাত্রলীগের সদস্য হওয়ায় এই ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট আন্দোলন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
[৬] বাংলাদেশ প্রতিদিনে এসেছে কারা শাহাবাগের আন্দোলন ডোমিনেট করছে, আওয়ামী ঘরানার এই পত্রিকায় লেখা ছিলো এই আন্দোলন নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের একজন নেতা। হোলি শিট
[৭] সাধারন মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করলো সকাল বিকাল নিয়ম করে এই বিরিয়ানী কোথা থেকে আসে? এই ব্যপারে শোনা যায় এটি ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে আনা হচ্ছে, এই বিরিয়ানি না দিতে চাওয়া পানসী নামক রেস্টুরেন্ট পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যায়। তবে পানসি পোড়ানো হয়েছে এইটা সত্য।
[৮] আন্দোলনের নিরপেক্ষতা সব থেকে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিলো যখন এই মঞ্চ থেকে এবং ওখানে এখনো যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের বি এন পি এর প্রতি নগ্ন সমালোচনায়।
[৯] আন্দোলনের নগ্ন আওয়ামীকরন কোন পর্যায়ে গিয়েছে সেটি প্রমানিত হয় কাঁদের সিদ্দিকি মখা আলমগীর কে রাজাকার বলায়, কাঁদের সিদ্দিকিকেও নব্য রাজাকার বলে গালি দেয়ায়। এইখানে বলে নিচ্ছি মখা আলমগির রাজাকার নাকি রাজাকার নয় সেটি প্রমান হবে আদালতে তার আগেই কিভাবে এবং কোন ভিত্তিতে কাঁদের সিদ্দিকির উপাধি কেড়ে নেয়ার মতো সাহস দেখায় এই সব দুই দিনের বৈরাগী?
[১০] এইখানে এই পয়েন্টটা উল্লেখ করলাম, এইটা আপনাকে কাঁদের সিদ্দিকির ব্যপারে হেল্প করবে।
১৯৭৩ সালেই ডাকসুর সহসভাপতি আওয়ামী লীগের তনানিন্তন প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপাধি কেড়ে নিয়েছিলেন এবং ডাকসুতে তার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন তার তখনকার এক্টিভিটির জন্যে। কিন্তু আমরা আজো তাকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কাজ দিয়ে নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার ভূমিকা এবং ত্যাগের জন্যেই তাকে আমরা বঙ্গবন্ধু আজো মনে করি, আজো সন্মান করি, আজো ভালোবাসি। সুতরাং কাঁদের সিদ্দিকি সত্য হোক আর মিথ্যেই হোক তার প্রতি এমন অবিচার বন্ধ করুন, তাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলে শাহাবাগকে আর কৌতুকে রুপান্তর করবেন না। মখা আলমগিরকে বাচাবার এই নগ্ন প্রয়াস দলীয় আনুগত্য ছাড়া আর কি হতে পারে?



আমি অনেক কিছুই আমার নিজের ভাষায় সংজ্ঞায়িত করেছি,সেগুলির সংজ্ঞা উইকি থেকে নামিয়ে আমাকে দেখাবার দরকার নাই।পোষ্টে কেউ গালাগালি করবেন না। আর আমি নাস্তিক নই। আমি আস্তিকও নই। আমি এখনো একটা পিং পং বলের মতো গোলকধাদায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দোলাচলে। ধন্যবাদ সবাইকেই, সকলের সুস্থ সুন্দর মন্তব্য প্রত্যাশা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
৩৫টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×