somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে........

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কিছু দিন আগের কথা কোন একটি দৈনিকে চোখ বুলাচ্ছিলাম হঠাৎ একটি ছোট্ট শিরোনামের দিকে চোখ পড়ল শিরোনামটি পুরোপুরি মনে নেই কিন্তু কলামের বিষয়বস্তু ছিল এমন যে লেখিকা নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাঙালী, যিনি একজন নতুন অভিবাসী, তো একদিন একটি তিনি একটি শপে ঢুকলেন শপিংয়ের জন্য উনার সামনে এক মহিলা শপিং করছিলেন এক মহিলা দেখতে অনেকটা নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের মত , তিনি একসময় নিজের কৌতুহল নিবারন করতে না পেরে ঔ মহিলাকে জিজ্ঞেস করেই বসলেন আপনাকে দেখতে অনেকটা হেলেন ক্লার্কের মত লাগছে, জবাবে ঐ মহিলা কিছু না বলে একটু হেসেই বিদায় নিলেন। লেখিকার কথাগুলো ঐ শপের ম্যানেজার শুনছিলেন যিনি নিজেও একজন মহিলা, শপিং সেরে বের হওয়ার সময় বললেন আপনার অনুমান ভূল নয় উনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীই তিনি প্রতিদিনই এখান থেকে শপিং করেন। জবাব শুনে লেখিকা তো পুরোপুরি থ'। এটা কিভাবে সম্ভব, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রটোকল ছাড়াই নিজের বাজার নিজেই করছেন এবং তা একজন সাধারন নাগরিকের মতই। একথা শুনেই লেখিকার নিজের দেশের কথা মনে পড়ল, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা একজন এমপি'র ক্ষেত্রেও যা অকল্পনীয়। এমনিতেই নির্বাচনের মৌসুম ছাড়া জনগনের মাঝে খুব কমই দেখা যায়, আর হঠাৎ সঠাৎ দেখাগেলেও সাথে প্রটোকল মেনটেইন করার জন্য একদল চাটুকার বেষ্টিত হয়ে থাকেন, আর জনপ্রতিনিধী নির্বাচিত হলে তো পাশে ঘেষাই অসম্ভব, আর মন্ত্রী যদি কোন রাস্তা দিয়ে যান তাহলে তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার কমপক্ষে একঘন্টা আগেই পুরো রাস্থা আটকিয়ে দেয়া হয়,যার মানে হল লম্বা জ্যাম আর সাধারন মানুষের অবর্ননীয় দূর্ভোগ। লেখিকা তার ঐ কলামে আফসোস করে বলেছিলেন এমন গনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে কিভাবে দেশের উন্নয়ন সম্ভব যারা জনগনের কোন খোঁজই রাখেননা তারা দেশের সমস্যাই বুঝবেনইবা কি করে।

এ লেখার কথা মনে পড়ল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিউটে একটি শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে গিয়ে। ঐ শোক সভায় আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এর স্মরণে যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশিষ্টজন। ঐ সভায় প্রায় আটশ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু সভা এক দিন আগে আয়োজনের কারনে উপস্থিতি এত ছিলনা, যার ফলে খাবারের বিশাল অংশ বাকি রয়ে যায় তাই অনেককেই দুইবার তিন বার দেয়া হয়। এরই মাঝে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিউটের আশেপাশে অবস্থানকারী ভাসমান মানুষেরা খাবারের আশায় ভীড় জমায়। তাদের অনেকই খাবার পায় অনেকর ভাগ্যে তা জোটেনি।
এ ঘটনা গুলো যারা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন বা যারা শেষ পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তারাই শুধু জানতে পেরেছেন অতিথিরা নয়।
একই রকম প্রায় সব ক্ষেত্রেই একই রকম ঘটনা ঘটে থাকে কিন্তু যাদের জানা দরকার তারাই অর্থাৎ যাদের এসব দূর করার কথা তারা জানতে পারননা। যার ফলে অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটে না।

সমস্যা সমাধানের জন্য মূল কাজ হল সমস্যাকে জানার, সমস্যা জানলে তবেই তা সামাধান করা সম্ভব, সাধারনের সমস্যা জানার জন্য সাধারনের সাথে মিশতে হবে। ভিআইপি প্রটোকল নিয়ে চলাফেরা করলে সমস্যা জানা সম্ভব নয়। পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর জনপ্রতিনিধিরা সাধারন মানুষের মতই চলা ফেরা করেন তাই তারা সমস্যা বুঝতে পারেন এজন্য সমস্যা সমাধানও করতে পারেন।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের চলমান অবস্থার পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছি। কারন তার দল পরিবর্তনের শ্লোগান দিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। এবং আশা করা যায় পরিবর্তন উনার নিজে থেকেই শুরু হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৩
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×