এরশাদ আমলের স্বর্ন যুগ তখন, এক শুক্রবার প্রেসিডেন্ট এরশাদ হঠাৎ করে উদয় হলেন আজিমপুর জামে মসজিদে। মহামান্য প্রেসিডেন্টকে দেখে সবাই আবেগাপ্লুত। আজকের জুমার খুৎবা দেবেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। বক্তব্যের শুরুতেই প্রেসিডেন্টের আবগাক্রান্ত কন্ঠস্বর, প্রিয় ভাইয়েরা গতরাতে হঠাৎ স্বপ্নে দেখলাম আমি আপনাদের সাথে জুমার নামাজ আদায় করছি, তাই আজকে এখানে চলে আসলাম-আপনাদের সাথে নামাজ আদায় করব বলে। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনে সবার হৃদয় বিগলিত, কি বুর্জগ মানুষ! আর ইমামের চক্ষু চড়ক গাছ।কি শুনছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট সবার সাথে হাত মিলিয়ে বিদায় নিলে সবাই মুগ্ধ হয়ে বলতে লাগল, এমন মানুষ হয় না। কালকে স্বপ্নে দেখলেন এখানে নামাজ পড়ছেন, আর আজকে এখানে চলে আসলেন!! ইমামকে একজন এ কথা বলতেই ইমাম সাহেব মুখ ঝামটা দিযে বললেন ‘হ উনি কালকে স্বপ্নে দেখলেন আর আজকে চলে আসলেন। আর এদিকে উনার গোয়েন্দারা গত তিন/চারদিন থেকে আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে!!! কি মাটির মানুষ।এমন মানুষ প্রেসিডেন্ট থাকলে আল্লাহর রহমত থেকে আমাদের বঞ্চিত করে কে?’
এই গল্পটি বলছিলেন আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, যিনি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আর ইমামের সাথে কথা বলেছিলেন। তাঁর কথার প্রেক্ষাপটে ইমামের প্রতিক্রিয়া ছিল সেদিন এমন।
আজকে অনলাইনে শফি সাহেবের সাথে আংকেলের ছবি দেখে আবার সেই গল্পটি মনে পড়ে গেল ।হায় ধর্ম!!! তোমারে এদেশের কে না ব্যবহার করল। জামা’ত তো সরাসরি করলই, সংগে হাসিনাআপা, খালেদাআপা কেউ বাদ দেয় নাই-এমনকি কমিউনিস্ট ইনু মেননও নির্বাচনের আগে পাঞ্জাবী-পা’জামা-টুপি পড়ে বকধার্মিক হয়ে মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হয়। হাসিনাপার মাথায় ইলেকশানের আগে পট্টি উঠে যায়, আর খালেদাপা উমরা করতে যান, দুইজন আবার দোয়া করা অবস্থায় ছবি তোলে পোস্টার ছেপে দেশে ছেয়ে ফেলেন। আর আমরা বাঙলী মুসলমান তাদের দেখে আপ্লুত হৈয়া তাদেরকে ফেরেশতা ভাবতে শুরু করি। হায় বলদ বলদ বাঙালী!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




