আমি জন্মেছি তব কোলে মাটির মমতায়
মিশে রব ঘোলাজল নদী-বিল মোহনায়।
হেমন্তের কাঁশফুল ঝরা ধু ধু বালুচরে
ফিরে ফিরে তোর কোলে হাজার বছর ধরে।
এমনি করেই ফিরে আমি মেখে সোঁদা মাটি
পদচিহ্ন রেখে ঘাস-গালিচার পথে হাটি।
ক্ষেত ভরা যুবতি ফসল ধান শীষ দেখে
শিউলী ফুলের সুরভিত রেণু গায়ে মেখে।
চেনাসুরে হেটে যাই গ্রাম্য মেঠো পথ ধরে
গোধূলীকে পিছু ফেলে মোর চির সুখী নীড়ে।
বাঁশের ঝাড়ে চাঁদ গলে পড়া পূর্ণিমা রাতে
কত শোভা এ রূপ! প্রকৃতির মায়াবী হাতে।
লক্ষ্মী পেঁচার ক্ষুদার্ত কান্না, ডাহুকের ডাকে
ভরা ক্ষেত ঘেরা- মরা নদী, তিতাসের বাঁকে।
রাখালী করুণ বাঁশি আর ভাটিয়ালী গান
মিলে-মিশে প্রতি শিরায়, নাচে মন ও প্রাণ।
যতবার জন্ম, আমি যেন আসি ফিরে ফিরে
আমারি গ্রামে, মাটির পরশ ছোয়া কুটিরে।