একটি ছেলে আর একটি মেয়ে, চোখে অনেক সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন, কল্পনায় রঙ্গিন প্রজাপতি হয়ে ঘুরে বেড়ায়...। সুন্দর একটা ঘর বাঁধার স্বপ্ন তৈরী করে। অবস্থাটা আসলে প্রেমে পরলে আর সবার যেমন হয় অনেকটাই সেরকম।
প্রথম দেখা ঢাকাতে একটা বিয়েতে। প্রথম দেখাতেই ছেলেটার চোখে লেগে যায় মেয়েটিকে। যদিও অনেক সময়ই এমন অনেককেই ভাল লাগে, গুরুত্ব দিলনা বেপারটাকে। এই গুরুত্ব না দেওয়ার পরেও প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পরে তাদের ফোনে যোগাযোগ হয়ে গেল। মেয়েটার তখন মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে খুব ভাল রেজাল্ট করে কোচিং চলছে। আস্তে আস্তে ব্যাপারটা যোগাযোগ থেকে ভালবাসায় রূপ নিতে থাকে। যদিও পরে জানা যায় যে; প্রথম দেখায় ভাল লাগাটা একতরফা ছিল না।
যাইহোক, ভালবাসা ভালই চলছিল; একটা ঝামেলা হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। একদিন ছোট একটা ভুল হওয়ার কারনে তাদের প্রেমের ব্যাপারটা জানাজানি হয়া গেল। শুরু হয়ে গেল ঝামেলা। মেয়েটার ফোন নিয়ে নেয়া হল। শুরু হয়ে গেল মেয়েটিকে পাহারা দিয়ে রাখা।
এত কিছুর মধ্যেও খারাপ চলছিল না তাদের প্রেম করা। ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে মাঝে মধ্যে ঘুরতে যেত, যদিও খুব কঠিন ছিল কাজটা। বেশি যেটা করা হত তা হচ্ছে, ছেলেটি তার জান এর মেডিকেল কলেজ এর সামনে যেয়ে থাকত। হয়ত কখন কখন দেখা যেত ৩ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে তার দেখা পাওয়া যেত। কারন ফোন না থাকার কারনে জানাতে পারতনা যে ক্লাস কখন শেষ হবে।
ভালবাসার কোন কমতি ছিল না তাদের মধ্যে; প্রচন্ড ভালবাসত একজন আরেক জনকে। অবশ্য তাদের মধ্যে যে ফোনে একদমই কথা হতনা তা না। মাঝে মধ্যে চুরি করে কথা হত মা'র ফোন দিয়ে। কিন্তু যখন মা চলে যেত আর বোন এসে ছোট বোনকে পাহারা দিত তখন আর কথা বলা মোটেই সম্ভব হত না। আর কথা বা দেখা না হলেই শুরু হয়ে যেত মেয়েটির কান্নাকাটি।
অনেক না বলা কথা জমা হয়ে যেত তাদের। কিন্তু দেখা হলে কিছুই বলা হত না। বলবে কখন? দেখা হলে একজন আরেকজনের চোখে চোখ রেখে হাত ধরে বসে থাকত, আর না হলে মেয়েটি ছেলেটির বুকে মাথা রেখে পরম আশ্রয় খুজতো। মেয়েটি হয়ত শান্তি খুজে পেত।
এটা শেষ দিকের কথা। ততদিনে দেড় বছর পার হয়ে গেছে। তাদের কথা বা দেখা হচ্ছে না ৭ দিন যাবত। যোগাযোগের কোন উপায় পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ কোন এক ক্রিসমাস এর রাত, ছেলেটির ফোনে তার এক বন্ধুর ফোন এল। ছেলেটির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। শুধু একটা কথাই কানে গেল "বন্ধু তোর ভালবাসার তো বিয়ে হয়ে গেল এক ঘন্টা আগে"।
ছেলেটির সব শেষ হয়ে গেল। শেষ হয়ে গেল ভালবাসার কাহিনি।
তারপরেও ছেলেটির কাছে মাঝে মাঝে মেয়েটির খোজ খবর আসত। কিছুদিন পরে ছেলেটি জানতে পারল মেয়েটি মাঝে মধ্যে কান্নাকাটি করে।
না এটা ভাবার কোন কারন নেই যে মেয়েটি ছেলেটির জন্য কাঁদে!!!
মেয়েটি আসলে তার স্বামীর জন্য কাদে; যদি মেয়েটিকে সে একা রেখে দূরে কোথাও যায়।
(লেখতে ইচ্ছা হল তাই লিখলাম। পড়তে ভাল লাগার কোন কারন নাই)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৬