somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

রস+আলো (২৮ জানুয়ারী, ২০০৮) পর্ব ১

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে দিচ্ছি ২৮ জানুয়ারী, ২০০৮ এর রস+আলো। কনভার্ট করতে ব্যবহার করা হয়েছে এই কনভার্টার

চলো সবাই, ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তুলতে যাই

Click This Link

টেলিগ্রাম
সৈয়দ মুজতবা আলী যেমন রসিক ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও কম যান না। তিনিও ছিলেন এককাঠি সরেস। যখনকার ঘটনা তখন মুজতবা আলী শিক্ষকতা করতেন ভারতবর্ষের বারোদা রাজ্যের রাজার অধীনে। আর কয়েক দিন পরই কলেজ ছুটি হবে, তখন একবারে যাওয়া যাবে−এই ভেবে তিনি দীর্ঘদিন বাড়ি যান না। এর ভেতরই একদিন টেলিগ্রাম এল, ‘বাবা অসুস্থ, দ্রুত চলে এসো।’ মুজতবা আলী তড়িঘড়ি করে বাড়ি এলেন। বাড়িতে ঢোকার মুখে দেখলেন তাঁর বাবা খানবাহাদুর সেকান্দর আলী বাইরের ঘরে তুমুল আড্ডায় মেতে আছেন।
মুজতবা আলী পিতাকে সালাম দিয়ে টেলিগ্রামের ব্যাপারটি স্নরণ করিয়ে দিতেই তিনি জবাব দিলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমাকে সুস্থ দেখে তুমি খুব একটা খুশি হওনি। অসুস্থ দেখলেই বেশি খুশি হতে।’

ঘাস
পরশুরাম
মাননীয় ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোকগণ,
এবং আর সবাই যাঁদের এ পাড়ায় বাস,
মন দিয়ে শুনুন আমার অভিভাষণ,
আজ আমাদের আলোচ্য−Eat more grass।
অর্থাৎ আরো বেশি ঘাস খান প্রতিদিন,
কারণ, ঘাসেই পুষ্টি, স্বাস্থ্য, বলাধান,
দেদার ক্যালরি, প্রোটিন ও ভাইটামিন,
ঘাসেই হবে অন্নসমস্যার সমাধান।
এই দেখুন না, হরিণ গো মহিষ ছাগ
সেরেফ ঘাস খেয়েই কেমন পরিপুষ্ট,
আবার তাদেরই গোস্ত খেয়ে বাঘ
কেমন তাগড়াই কেঁদো আর সন্তুষ্ট।
যখন ঘাস থেকেই ছাগল ভেড়ার পাল
তথা ব্যাঘ্র শৃগালাদি জানোয়ার পয়দা,
তখন বেফায়দা কেন খান ভাত ডাল
মাছ মাংস ডিম দুধ ঘি আটা ময়দা?
দেখুন জন্তুরা কী হিসেবি, এরা কদাপি
খাটের ওপর মশারি টাঙিয়ে শোয় না,
এরা কুইনিন প্যালুড্রিন খায় না, তথাপি
এদের ম্যালেরিয়া কস্িননকালে ছোঁয় না।
এরা কুসংস্কারহীন খাঁটি নিউডিস্ট,
ধুতি শাড়ি ব্লাউজ এমনি পেলেও নেয় না,
এরা আজন্ন অদৃষ্টবাদী ফেটালিস্ট,
মাননীয় মন্ত্রীদের বেহুদো গাল দেয় না।
এদের দেখে শিখুন। যদি আপনারাও চান
এই অতি আরামের আদর্শ জীবনযাত্রা
তবে আজ থেকেই উঠেপড়ে লেগে যান,
সব কমিয়ে দিয়ে বাড়ান ঘাসের মাত্রা।।

আট কলা
জসীম উদ্দীন
রহিম শেখ বড়ই রাগী মানুষ। কোনো কাজে একটু এদিক-ওদিক হইলেই সে তার বউকে ধরিয়া বেদম মারে। সেদিন বউ সকালে সকালে উঠিয়া ঘর-দোর ঝাঁট দিতেছে, রহিম ঘুম হইতে উঠিয়া বলিল, ‘আমার হুঁকায় পানি ভরিয়াছ?’ বউ বলিল, ‘তুমি তো ঘুমাইতেছিলে, তাই হুঁকায় পানি ভরি নাই। এই এখনই ভরিয়া দিতেছি।’ রহিম চোখ গরম করিয়া বলিল, ‘এত বেলা হইয়াছে, তবু হুঁকায় পানি ভর নাই! দাঁড়াও, দেখাইতেছি তোমায় মজাটা।’ এই বলিয়া সে যখন বউকে মারিতে উঠিয়াছে, বউ বলিল, ‘দেখ, যখন-তখন তুমি আমাকে মার ধর কর, আমি কিছুই বলি না। জান, আমরা মেয়ে জাত? আট কলা হেকমত আমাদের মনে মনে। ফের যদি মার, তবে আট কলা দেখাইয়া দিব।’
এই কথা শুনিয়া রহিম শেখের রাগ আরও বাড়িয়া গেল। সে একটা লাঠি লইয়া বউকে মারিতে মারিতে বলিল, ‘ওরে শয়তানী, দেখা দেখি তোর আট কলা কেমন? তুই কি ভাবিয়াছিস আমি তোর আট কলাকে ডরাই?’
বহুক্ষণ বউকে মারিয়া রহিম মাঠের কাজ করিতে বাহির হইয়া গেল। অনেকক্ষণ কাঁদিয়া কাঁদিয়া বউ মনে মনে একটি মতলব আঁটিল। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া সহজেই মিটিয়া যায়। দুপুরে রহিম ভাত খাইতে আসিলে বউ রহিমের কাছে জানিয়া লইল, কাল সে কোন ক্ষেতে হাল বাহিবে। বিকাল হইলে বউ বাড়ির কাছের এক জেলেকে ডাকিয়া আনিয়া বলিল, ‘জেলে ভাই! কাল ভোর হওয়ার কিছু আগে তুমি আমাকে একটি তাজা শোল মাছ আনিয়া দিবে। আমি তোমাকে এক টাকা আগাম দিলাম। আরও যদি লাগে, তাও দিব। শেষ রাতে আমি জাগিয়া খিড়কির দরজার সামনে দাঁড়াইয়া থাকিব। তখন তুমি গোপনে শোলমাছটি আমাকে দিয়া যাইবে।’
গ্রামদেশে একটি শোল মাছের দাম বড়জোর আট আনা। এক টাকা পাইয়া জেলে মনের খুশিতে বাড়ি ফিরিল। সে এ-পুকুরে জাল ফেলে, ও-পুকুরে জাল ফেলে। কত টেংরা, পুঁটি, পাবদা মাছ জালে আটকায়; কিন্তু শোল মাছ আর আটকায় না। রাত যখন শেষ হইয়া আসিয়াছে, তখন সত্য সত্যই একটি শোলমাছ তাহার জালে ধরা পড়িল। তাড়াতাড়ি মনের খুশিতে সে মাছটি লইয়া রহিম শেখের বাড়ির খিড়কি-দরজায় আসিল। বউ তো আগেই সেখানে আসিয়া দাঁড়াইয়া আছে। মাছটি লইয়া বউ তাড়াতাড়ি যে ক্ষেতে রহিম আজ লাঙল বাহিবে, সেখানে পুঁতিয়া রাখিয়া আসিল।
সকাল হইলে রহিম ক্ষেতে আসিয়া লাঙল জুড়িল। সে এদিক হইতে লাঙলের ফাড়ি দিয়া ওদিকে যায়, ওদিক হইতে এদিকে আসে। হঠাৎ তাহার লাঙলের তলা হইতে একটি শোলমাছ লাফাইয়া উঠিল। রহিম আশ্চর্য হইয়া মাছটি ধরিয়া লইয়া বাড়ি ফিরিয়া আসিল। তারপর বউকে বলিল, ‘লাঙলের তলায় এই তাজা শোল মাছটি পাইলাম। খোদার কি কুদরত! এই মাছের কিছুটা ভাজা করিবে, আর কিছুটা তরকারি করিবে। অনেক দিন মাছ-ভাত খাই না। আজ পেট ভরিয়া মাছ-ভাত খাইব।’
এই বলিয়া রহিম ক্ষেতের কাজে চলিয়া গেল। দুপুর হইতে না হইতেই বাড়ি ফিরিয়া আসিয়া সে বউ-এর কাছে খাইতে চাহিল। বউ একথালা ভাত আর কয়েকটা মরিচ-পোড়া আনিয়া তাহার সামনে ধরিল।
একে তো ক্ষুধায় তাহার শরীর জ্বলিতেছে, তাহার ওপর এই মরিচ-পোড়া আর ভাত দেখিয়া রহিমের মাথায় খুন চাপিয়া গেল। সে চোখ গরম করিয়া বলিল, ‘সেই শোলমাছ কি করিয়াছিস শীগ্গীর বল?’ বউ যেন আকাশ হইতে পড়িল, এমনি ভাব দেখাইয়া বলিল, ‘কই, মাছ কোথায়? তুমি কি আজ বাজার হইতে মাছ কিনিয়াছ?’
রহিম বলিল, ‘কেন, আমি যে আজ ইটা-ক্ষেত হইতে শোলমাছটা ধরিয়া আনিলাম।’ বউ উত্তর করিল, ‘বল কি? ইটা-ক্ষেতে কেহ কখনো শোল মাছ ধরিতে পারে? কখন তুমি আমাকে শোলমাছ আনিয়া দিলে? তোমার কি মাথা খারাপ হইয়াছে?’
তখন রহিমের মাথায় রাগের আগুন জ্বলিতেছে। সে চিৎকার করিয়া উঠিল, ‘ওরে শয়তানী! এমন মাছটা তুই নিজে রাঁধিয়া খাইয়া আমার জন্য রাখিয়াছিস মরিচ-পোড়া আর ভাত! দেখাই তোর মজাটা!’ এই বলিয়া রহিম বউকে বেদম প্রহার করিতে লাগিল। বউ চিৎকার করিয়া সমস্ত পাড়ার লোক জড়ো করিয়া ফেলিল, ‘ওরে তোমরা দেখরে, আমার সোয়ামী পাগল হইয়াছে, আমাকে মারিয়া ফেলিল।’
বউ-এর চিৎকার শুনিয়া এ-পাড়া ও-পাড়া হইতে বহু লোক আসিয়া জড়ো হইল। তাহারা জিজ্ঞাসা করিল, ‘তোমরা এত চেঁচামেচি করিতেছ কেন? তোমাদের কি হইয়াছে?’ রহিম বলিল, ‘দেখ ভাই সকলরা! আজ আমি একটা তাজা শোলমাছ ধরিয়া আনিয়া বউকে দিলাম পাক করিতে। এই রাক্ষসী সেটা নিজেই খাইয়া ফেলিয়াছে। আর আমার জন্য রাখিয়াছে এই মরিচ-পোড়া আর ভাত। আপনারাই বিচার করেন এমন বউ-এর কি শাস্তি হইতে পারে?’
বউ তখন হাত জোড় করিয়া বলিল, ‘দোহাই আপনাদের সকলের। আপনারা ভালোমতো পরীক্ষা করিয়া দেখেন আমার সোয়ামীর মাথা খারাপ হইয়া সে যা’তা’ বলিতেছে কিনা? ওর কাছে আপনারা জিজ্ঞাসা করেন, ও কোথা হইতে মাছ আনিল, আর কখন আনিল?’
রহিম বলিল, ‘আজ সকালে আমি ঐ ইটা-ক্ষেতে যখন লাঙল দিতেছিলাম, তখন একটি এত বড় শোলমাছ আমার লাঙলের তলে লাফাইয়া উঠিয়াছিল। সেইটি ধরিয়া আনিয়া বউকে রান্না করিতে দিয়াছিলাম।’
বউ পাড়ার সবাইকে বলিল, ‘আপনারা সবাই বলুন, শুকনা মাঠে তাজা শোলমাছ কেমন করিয়া আসিবে? আমার সোয়ামী পাগল না হইলে এমন কথা বলিতে পারে?’
গাঁয়ের লোকেরা সকলেই বলাবলি করিল, ‘রহিম শেখের ইটা-ক্ষেতের ধারে-পাশে কোনো ইঁদারা-পুকুর নাই। সেখানে শোলমাছ আসিবে কোথা হইতে? রহিম নিশ্চয়ই পাগল হইয়াছে।’ তখন তাহারা যুক্তি করিয়া রহিমকে দড়ি দিয়া বাঁধিতে গেল। সে যখন বাধা দিতেছিল, সকলে তখন তাহাকে কিল-থাপ্পর মারিতেছিল। একজন বলিল, ‘পানিতে চুবাইলে পাগলের পাগলামি সারে। চল ভাই, একে পুকুরে লইয়া গিয়া কিছুটা চুবাইয়া আনি।’ যেই কথা সেই কাজ। সকলে ধরিয়া রহিমকে খানিকটা পুকুরে চুবাইয়া আনিল। রহিম বাধা দিতে চাহে, কিন্তু কার বাধা কে মানে।
রহিম রাগে শোষাইতে লাগিল। তখন একজন বলিল, ‘উহাকে আজই পাগলা গারদে লইয়া যাও। নতুবা রাগের মাথায় কাকে খুন করিয়া ফেলে বলা যায় না।’
রহিমের বউ বলিল, ‘আপনারা আজকের মতো ওকে খামের সঙ্গে বাঁধিয়া রাখিয়া যান। কাল যদি না সারে, পাগলা গারদে লইয়া যাইবেন।’
গাঁয়ের লোকেরা তাহাই করিল। রহিমকে ঘরের একটি খামের সঙ্গে কষিয়া বাঁধিয়া যে যার বাড়ি চলিয়া গেল।
সব লোক চলিয়া গেলে বউ রহিমের হাতে-পায়ের বাঁধন খুলিয়া দিয়া হাসিতে হাসিতে মাছ-ভাতের থালা আনিয়া তাহার সামনে ধরিল। সদ্য পাক করা মাছের তরকারির গন্ধ সারা দিনের না খাওয়া রহিমের নাকে আসিয়া লাগিল। সে মাথা নীচু করিয়া ভাত খাইতে আরম্ভ করিল। পাখার বাতাস করিতে করিতে বউ বলিল, ‘দেখ, আমরা মেয়ে-জাত, আট কলা বিদ্যা জানি; তারই এক কলা আজ তোমাকে দেখাইলাম। তাতেই এত কান্ড! আর বাকি সাত কলা দেখাইলে কি যে হইত বুঝিতেই পার।’
রহিম বলিল, ‘দোহাই তোমার, আর সাত কলার ভয় দেখাইও না। এই আমি কছম কাটিলাম। এখন হইতে আর যদি তোমার গায়ে হাত তুলি, তখন যাহা হয় করিও।’

ভোটার হতে গিয়ে একদিন

Click This Link

চলো, সবাই ভোটার হই
দেশজুড়ে চলছে ভোটার পরিচয়পত্র তৈরির কাজ। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সবাই যাচ্ছেন ভোটার হতে। অনেকেই সেখানে গিয়ে ঘটাচ্ছেন মজার মজার ঘটনা। রস+আলোর প্রদায়ক রুকাইয়া সাওম লীনা সেসবের কিছু তুলে এনেছেন আপনাদের জন্য।

নাম নিয়ে কী না হয়!
"" এক ভোটারের ফরমে স্ত্রীর নামের জায়গায় লেখা আছে ‘রবিনের মা’। তা দেখে অপারেটর ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন−
ভাই, আপনার ওয়াইফের নামটা একটু বলেন।
ভোটার: রবিনের মা।
অপারেটর: রবিনের মায়ের নাম কী?
ভোটার: রবিনের মা।
অপারেটর: আরে ভাই, আপনার সঙ্গে বিয়ের আগে রবিনের মায়ের নাম কী ছিল?
ভোটার: রবিনের মা।
অপারেটর: তা কী করে হয়!
ভোটার: রবিনকে কোলে নিয়েই ও আমার ঘরে এসেছে।

"" অপারেটর: আপনি কি বিবাহিত?
ভোটার: (লাজুক হেসে) জি না, আপা, আমি সামনের মাসে বিয়া করব।
অপারেটর: ফরমে তো আপনার বউয়ের নামও দেওয়া আছে। তাহলে এটা কার নাম?
ভোটার: আপা, ওইটা আমার ভাইয়ের বউয়ের নাম।
অপারেটর: মানে? আপনার ভাবির নাম আপনার স্ত্রীর নামের জায়গায় দিয়েছেন কেন?
ভোটার: ভাইজান বললেন, দুই মাস পরেই তো বিয়া করবি। তো, অবিবাহিত দিবি ক্যান; বিবাহিত দে। আর ওইখানে তোর ভাবির নাম দিয়া দে। হে...হে...হে...

""nভোটার: ম্যাডাম, কাইন্ডলি ‘বৈবাহিক অবস্থা’তে আমাকে অবিবাহিত দিয়ে দেন।
অপারেটর: আপনার ফরমে তো দেওয়া আছে বিবাহবিচ্ছেদ।
ভোটার: প্লিজ আপা, চেঞ্জ করে দেন।
অপারেটর: কেন?
ভোটার: ম্যাডাম, ওখানে অবিবাহিত না দিলে আমার প্রেমিকা আমাকে বিয়ে করবে না। আর ওর মা-বাবা অনেক ধনী। তাঁরা যদি জানতে পারেন আমার আগে একটা বিয়ে হয়েছিল, তাহলে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।

যত দোষ ওই ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ঘোষ
"" অপারেটর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্নার্ট সুদর্শন ছাত্রকে বললেন, ‘ভাই, আপনার হাতটা একটু দেখি।’
ছেলেটা একরকম সন্দেহ নিয়ে ওই মেয়ে অপারেটরের দিকে তাকিয়ে রইল। অপারেটর আবার বললেন, ‘ভাই, আপনার বাঁ হাতটা একটু দেন তো।’
ভোটার ছেলেটা: আপু, ছেলেদের তো ডান হাত দেখতে হয়; আপনি বাঁ হাত চাইছেন যে!
অপারেটর: আগে বাঁ হাত দেন, তারপর ডান হাত দেখব।
ভোটার ছেলেটা: ও, আপনি বুঝি হাত দেখে মানুষের ভবিষ্যৎ বলতে পারেন?
অপারেটর: অবশ্যই পারি। তবে আমি যা বলব, তা এখনই ঘটবে। যেমন−এখন আমি আপনার হাত দেখে বলে দিলাম, আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুব দ্রুত আসবে। হা...হা...হা...

"" এক অপারেটর ভোটারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার জন্য তাঁর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যানারের ওপর রাখলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভোটার চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে উঠলেন। তা দেখে অপারেটরও চমকে দাঁড়িয়ে গেলেন।
অপারেটর: আপু, কী হয়েছে?
ভোটার: আল্লা গো, মা গো, এইডায় দি আগুন জ্বলে। আপনি নি জাইনা-শুইনা আমারে ওই আগুনের মইধ্যে হাত দিতে দিছিলেন। আল্লা গো, আইজ আমার হাতটা পুইড়াই যাইব।
অপারেটর: আগুন কোথায় দেখলেন; ওটা তো বাল্ব জ্বলে। কই দেখি, আপনার হাত তো পোড়েনি।
ভোটার: জে না। আমি চালাক দেইহাই আইজ আমার হাত পোড়ে নাই। আর যদি আপনার লাহান বোকা হইতাম, তয় আইজ নিশ্চিত আমার হাত পুইড়া যাইত।

শনাক্তকারী চিহ্নের শনাক্তকরণ
ভোটার পরিচয়পত্রের ফরমে একটি পয়েন্ট আছে ‘শনাক্তকরণ চিহ্ন’। এই শনাক্তকরণ চিহ্ন যে কত মজার শনাক্ত করে, তার কিছু দৃষ্টান্ত দেখুন:

"" অপারেটর ভোটারকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার বাঁ হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলির নখের কাছে যে কাটা দাগ, তা দেখান।’ ভোটার অনেকক্ষণ খোঁজার পর বললেন, ‘আপা, খুঁইজা তো পাই না।’
অপারেটর: দেখি, আপনার বাঁ হাতটা।
ভোটার: পাইছি আপা! এক মাস আগের কাটা তো, হালকা হইয়া গেছে।

"" লেখা আছে ‘শনাক্তকরণ চিহ্ন: কালো গোঁফ’।
অপারেটর: ভাই, আপনার গোঁফ কই?
ভোটার: হে...হে...হে...আপা, কাইল কাইট্টা ফেলছি।

"" অপারেটর: ভাই, আপনার পায়ার কাটা দাগটা একটু দেখান।
ভোটার তাঁর প্যান্টের পায়ের কাপড় ওঠাতে ওঠাতে যখন হাঁটুর আরও ওপরে তুলে ফেলার চেষ্টায় রত, তখন অপারেটর লজ্জা পেয়ে তাঁকে তাড়াতাড়ি বললেন, ‘অনেক ধন্যবাদ, দেখাতে হবে না।’

ছবি! সে তো শুধু ছবি নয়
"" অপারেটর ছবি তোলার সময় এক ভোটারকে বললেন, ‘ভাই, একটু পেছনের দিকে যান।’
ভোটার চট করে দাঁড়িয়ে ক্যামেরার দিকে পিঠ দিয়ে বসে পড়লেন।

"" অপারেটর অনেক চেষ্টার পর এক ভোটারকে ছবি তোলার উপযোগী করে বসিয়ে বললেন, ‘এবার ঠিক আছে। আচ্ছা, এবার ক্যামেরার দিকে তাকান।’
ভোটার চট করে তাঁর মাথাটা সামনে এনে ক্যামেরার দিকে ঝুঁকে ক্যামেরার ফুটো দিয়ে এমনভাবে তাকালেন, যেন ওখান দিয়ে না তাকালে তাঁর ছবি তোলা যাবে না।
অগত্যা অপারেটর আবার চেয়ার থেকে উঠে তাঁকে ছবি তোলার উপযোগী করতে শুরু করলেন।

"" অনেক ভোটারই তাঁদের ছবি বাসা থেকে নিয়ে আসেন। কেউ আনেন পেনড্রাইভে, কেউ আনেন ডিস্কে; আবার কেউবা নিয়ে আসেন তাঁর স্টিল ফটো।
তেমনই একদিন এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে এলেন তাঁর স্কুলজীবনের সাদা-কালো ফটোগ্রাফ। তাঁর একটাই দাবি, এ ছবিই ভোটার পরিচয়পত্রে দিতে হবে।

"" ভোটার পরিচয়পত্রে ছবি তোলার নিয়ম হচ্ছে, টুপি বা হ্যাট-জাতীয় জিনিস খুলে ছবি তুলতে হবে। এক ভোটারকে বলা হলো, ‘ভাইয়া, আপনার ক্যাপটা একটু হাতে নেন।’
সেই ভোটার ক্যাপটা তাঁর হাতে তুলে উঁচু করে মাথার ওপর ধরে রাখলেন।
অপারেটর তাঁকে যতই বোঝান, তিনি কিছুতেই বোঝেন না। শেষ পর্যন্ত একজন এসে তাঁর টুপিটা ক্যামেরার আওতার বাইরে ধরে ছবি তুললেন।

টিপসইয়ের যত জ্বালা
এক বৃদ্ধাকে ফরম হাতে দিয়ে অপারেটর বললেন, ‘বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে কালি লাগিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দেবেন এই ঘরে। আর তর্জনীর ছাপ দেবেন ওই পাশের ঘরে। এই বলে অপারেটর তাঁর কাজে মন দিলেন। হঠাৎ তাকিয়ে দেখেন, ওই মহিলা নেই। মহিলাকে খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেল পাশের রুমে। তিনি পাশের রুমে গিয়ে সেখানকার অপারেটরদের জিজ্ঞেস করছেন, ‘বাবা, কালি কই দিমু?’
আপনি ভোটার হয়েছেন তো? জনস্বার্থে রস+আলো

কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন
আর উৎপলের নাম শুভ্র
উৎপল শুভ্র
আমার এক বন্ধু একদিন খুব গম্ভীর ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা, তোর শুভ্র নামটা কে রেখেছিল রে? এতক্ষণ যে আলোচনা হচ্ছিল, তার সঙ্গে আমার নামকরণের একদমই কোনো সম্পর্ক খুঁজে না পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে আমি বললাম, ‘কেন, হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?’ বন্ধুর মুখ খুব সিরিয়াস, ‘বল না, এমনিতেই জানতে ইচ্ছে করল।’ আমি অবাক হওয়ার রেশ ধরে রেখে বললাম, ‘আমার ছোট্ট মাসি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কলকাতায় গিয়ে আর ফেরেননি। ওখানেই থাকেন।’
বন্ধু মুখে আফসোসসুচক একটা ধ্বনি তুলে বলল, ‘ভদ্রমহিলার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে।’ আমি তো রীতিমতো বিস্িনত। কখনো না-দেখা আমার মাসির জন্য ওর খারাপ লাগবে কেন? কবে থেকে ওর মনে ‘সর্বে সন্তু নিরাময়া, সর্বে ভবন্তু সুখিনু’ ভাবের উদয় হলো! ওকে আর যা-ই হোক, অজানা-অচেনা কারও প্রতি এমন ভালোবাসা উথলে পড়ার মতো হূদয়বান বলে ভুল করার কখনোই কোনো কারণ ঘটেনি। আমার কৌতুহলের জবাবে ও একটু রাগই করল, ‘তুই কি আমাকে অমানুষ ভাবিস নাকি? এই রঙিন পৃথিবী যাদের কাছে সাদা-কালো হয়ে আছে, তাদের জন্য খারাপ লাগবে না! তোর মাসির জন্য খারাপ লাগছে উনি কালার ব্লাইন্ড বলে।’
আমার মাসি কালার ব্লাইন্ড! আমার এই মাসিকে ও কোনো দিন দেখেনি। কলকাতায় যে আমার এক মাসি থাকেন, এটাও ওকে আগে কখনো বলেছি বলে মনে পড়ে না। ওর কথাবার্তা আরও বেশি পাগলামি বলে মনে হচ্ছিল আমার মাসি কালার ব্লাইন্ড নন, এটা নিশ্চিত জানি বলে। দু-একবার বাধ্য হয়ে মাসির শাড়ি কেনার সঙ্গী হওয়ার বিড়ম্বনার মধ্যেও নীল রঙের মধ্যেই কত রকম শেড হতে পারে, এ ব্যাপারে তাঁর ব্যুৎপত্তি দেখে রীতিমতো চমৎকৃত হয়েছি। আর আমার এই মাসি বর্ণ-অন্ধ? ও ফিচকে হাসি দিয়ে বলল, ‘তোর মাসি কালার ব্লাইন্ড−এটা বুঝতে তোর মাসির সঙ্গে পরিচয় থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তোকে দেখলেই যে কেউ তা বুঝতে পারবে।’
আমাকে দেখে আমার মাসির বর্ণ-অন্ধত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার সম্পর্কটা বুঝতে একটু সময় লাগল। বোঝার পর আমি লজ্জা পেয়ে বেগুনি হয়ে গেলাম। লজ্জা পেয়ে লাল হওয়াটাই নিয়ম। কিন্তু বিষম লজ্জা পেলেও আমার যে লাল হওয়ার সাধ্য নেই, এটিতেই লুকিয়ে রাখি ওর দাবির মর্মার্থ। আমার নাম শুভ্র, অথচ গাত্রবর্ণ এমনই উজ্জ্বল কৃষ্ণবর্ণ (উজ্জ্বল না লিখে ‘ঘোর’ লেখাটা ব্যাকরণসম্মত হতো, কিন্তু মনটা হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠল−উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ হতে পারলে উজ্জ্বল কৃষ্ণবর্ণ হতে পারবে না কেন?) যে, মা পর্যন্ত আমাকে ‘শ্যামলা’ দাবি করার সাহস পান না। যতটা সম্ভব সত্যির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা থেকে বলেন, ‘কালোর মধ্যে মিষ্টি চেহারা’ (আমার দাবি নয়, মায়েরা যেমন বলেন আরকি!)। বন্ধুর দাবি খুব পরিষ্ককার, যে মাসি এমন ছেলের নাম শুভ্র রাখেন, সেই মাসি কালার ব্লাইন্ড ছাড়া আর কী?
যুক্তিটা এমন জোরালো যে, ‘আমার মাসি তো আর তোর মতো বহিরঙ্গ দেখেন না, উনি অন্তর্দর্শী, ভেতরটা দেখেই নাম রেখেছেন।’ রেগেমেগে দেওয়া এই পাল্টা যুক্তি কোনো পাত্তাই পেল না। উল্টো গা জ্বালানো হাসি দিয়ে বন্ধুটি বলল, “আমাদের পাঠ্যবইগুলোও যুগোপযোগী করার সময় এসেছে। ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’ বাগধারাটার কথাই ধর। এই যুগে কি কেউ চোখকে লোচন বলে নাকি? ‘উৎপলের নাম শুভ্র’−এটা বললে অর্থটাও ঠিক থাকে, অনেক সহজবোধ্যও হয়।” আমি রেগে যাচ্ছি বুঝতে পেরে ও সন্ধি স্থাপনের হাসি দিয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, তোর মাসি তুই-ই ভালো জানবি। তোর মাসি কালার ব্লাইন্ড নন। তবে এটা তো মানবি, ভদ্রমহিলা খুব রসিক। তোর নাম রেখেছে শুভ্র! হা-হা-হা। ভদ্রমহিলার সঙ্গে কোনো দিন দেখা হলে পা ছুঁয়ে সালাম করব। মানুষের সেন্স অব হিউমারটাই তো আসল!’
নিজেকে নিয়ে রসিকতা করাটা নাকি সবচেয়ে কঠিন। আমি তা করছি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন না যেন। আমি কি রসিকতা করছি নাকি? সত্যি কথা আর রসিকতার মধ্যে সুক্ষ্ম পার্থক্যটা বুঝবেন না! সেই সত্যি কথাটা বলতে পারছি গাত্রবর্ণে আসলে কিছু আসে-যায় না এই আত্মবিশ্বাসটা (ঠুনকো আত্মবিশ্বাস?) জন্নানোয়। নইলে কৈশোরে-তারুণ্যে (এই রে বুড়ো হয়ে গেলাম নাকি!) এই গাত্রবর্ণ নিয়ে আমার মনঃকষ্টের শেষ ছিল না। কাজিনদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে ওরা ছুড়ে দিত এই মোক্ষম তীরটা। শুধু ‘কালো’ বললেও একটা কথা ছিল, ওরা বলত−‘কাইল্যা পাডা’। একবার জন্নদিনে ওদেরই একজনের কাছ থেকে উপহার পেয়ে খুশি হয়ে প্যাকেটটা খুলে দেখি, একটা ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি। সঙ্গে ছোট্ট একটা চিরকুট, ‘ভাবলাম, ফুল-টুল না দিয়ে তোর কাজে আসবে এমন একটা উপহারই দিই।’
এর সবই খুনসুটি। তবে গাত্রবর্ণের কারণে সত্যিকার কিছু বিব্রতকর অভিজ্ঞতাও অনেকবারই হয়েছে। তার মধ্যে একটা বলি। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে নৈশভোজে গেছি। সেবার ব্রাদার্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে দু-তিনজন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের বড় ভুমিকা ছিল। নৈশভোজে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে বড় আকর্ষণও ছিলেন তাঁরাই। আমি আর আমার সে সময়ের সতীর্থ ফরহাদ টিটো শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে গল্প করছি, লোকজন এসে শ্রীলঙ্কানদের রেখে আমাকে ও টিটো ভাইয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে ‘কনগ্রাচুলেশনস’, ‘ওয়েল প্লেড’−এসব বলতে শুরু করল! আমাকে কেন, সেটা নিশ্চয়ই বুঝেছেন। টিটো ভাইকেও কেন? টিটো ভাই এখন কানাডা প্রবাসী, তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে (রস+আলোতে খুব চালু স্টাইল) বলি, টিটো ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালে আমাকে ফরসা মনে না হলেও অবশ্যই কিঞ্চিৎ শ্যামলা বলে মনে হতো!
বাংলাদেশেই যখন লোকজন শ্রীলঙ্কান বলে ভুল করে, শ্রীলঙ্কায় যে করবে সেটা তো বলাই বাহুল্য (বাহুল্য যখন তাহলে বলিস কেন?)। পাঁচবারের শ্রীলঙ্কা সফরেই তাই আমার একটা অভিন্ন অভিজ্ঞতা−হোটেলের লবিতে বা রাস্তায় কোনো শ্রীলঙ্কানের এসে আমার সঙ্গে সিংহলিজ বা তামিল ভাষায় অনর্গল কথা বলে যাওয়া। প্রথম যেবার গেছি, শুরুতেই থামিয়ে দিতাম। এর পর থেকে কিছুক্ষণ চুপ করে শুনি। তারপর যখন বলি, ‘স্যরি, ইংলিশে বলো। আমি শ্রীলঙ্কান নই।’ ওদের দেখার মতো চেহারা হয়। তাতে বিস্নয়ের চেয়ে বেশি ছড়িয়ে থাকে অবিশ্বাস। ব্যাটা নরাধম কোথাকার, কদিন দেশের বাইরে কাটিয়েই নিজের জাতিসত্তাকে অস্বীকার করিস! তোকে শত ধিক!

যে কথা মনে পড়লে একা একা হাসি...
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
বাসায় আমার স্ত্রীর বড় বোন বেড়াতে এসেছেন। ঘুমের বেলায় তিনি খুব খুঁতখুঁতে, খুটখাট শব্দ হলে ঘুমাতে পারেন না। মজা করার জন্য আমি ট্যাপ থেকে পানির ফোঁটা পড়ছে সেই শব্দ রেকর্ড করে রেখেছি। তিনি যখন শুতে গিয়েছেন, আমি সেই ট্যাপ সাউন্ড সিস্টেমে ছেড়ে দিয়েছি। ঠিক যখন তাঁর চোখে ঘুম নেমে এসেছে; তিনি শুনলেন, কয়েক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে ‘টিপ’ ‘টিপ’ করে পানির ফোঁটা পড়ছে! বিছানা থেকে উঠে তিনি বাথরুমের ট্যাপ শক্ত করে বন্ধ করলেন। শোয়ার পর শুনলেন তখনো পানির ফোঁটা পড়ছে−এবারে কিচেনের ট্যাপ বন্ধ করলেন। তার পরও কয়েক সেকেন্ড পরপর পানির ফোঁটা পড়ছে। আবার বিছানা থেকে উঠে আরও শক্ত করে সব ট্যাপ বন্ধ করলেন। তার পরও পানির ফোঁটা পড়ছে। আবার উঠলেন, আবার সবকিছু পরীক্ষা করলেন; আরও শক্ত করে বন্ধ করলেন। শোয়ার পর আবার পানির ফোঁটার শব্দ! এভাবে সারা রাত চালানোর পরিকল্পনা ছিল কিন্তু ষড়যন্ত্রে সহকারী আমার স্ত্রী হাসি চেপে রাখতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে যায়।
(আমার স্ত্রীর বড় বোন এই ষড়যন্ত্রের কথা মনে রাখেননি−বিদেশ থেকে যখন আসেন আমার জন্য এই বড় বড় চকোলেটের বাক্স নিয়ে আসেন!)

প্রশ্নপত্র ফাঁস, অতঃপর...

Click This Link

চলবে.....


আজকের পর্বটা এখান থেকে কনভার্ট করা‍!!!


রস+আলো (১৪ জানুয়ারী, ২০০৮)



রসিক গ্রুপেও পোস্ট করা হল।।।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওরা আমাদের ঐতিহ্যের পোশাককে নোংরা পোশাক হিসেবে পরিচিত করতে চায়। ওরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে চায়।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০


"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।"

এক মৌলভী পোস্ট দিয়েছেন
"শাড়িকে একটি নোংরা পোশাক বানিয়ে দিয়েন না।
শরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমূদ্র-সৈকতে - ১৬

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯



ছবি তোলার স্থান : মেরিনড্রাইভ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : পহেলা অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।

বেড়াবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় যায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমূদ্র সৈকত। কখনো কখনো আমারও সুযোগ হয় বেড়াতে যাবার।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাঁআআআচ্চুউউউ! :) :D ;)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৩



হাঁচতে নাকি জানে না কেউ,
কে বলেছে বোন
এই দেখোনা কত্ত হাঁচির
ওজন শত টন।

কিম হাঁচে বাড়া ভাতে,
বাইডেন হাঁচে তার সাথে সাথে,
লালচে চীনের জোরসে হাঁচি,
কাঁদে সবুজ ঘাস।
মাদার রুশের হাঁচি দেখে
হয় যে বনবাস!!

বনবিবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেইন্ট মার্টিন ও কোক ইস্যু

লিখেছেন নিবারণ, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়, কোকের বয়কট ও গত দুই দিন ধরে সেইন্ট মার্টিন মায়ানমার দখল করে নেয়ার খবর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্রিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, মায়ানমার সেইন্ট মার্টিন দখল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গান গাইলাম (সাময়িক)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আমি আদর করে 'আই' ডাকি। আইকে দিয়ে অনেক কাজই করাতে হয়। এবারে, আমাদের ৫ ভাইদের নিয়ে একটি গান বুনেছি। আমরা ৫ ভাই অনেক দিন একসাথে হই না। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×