আমরা এমন এক সময় এসে উপনীত হয়েছি যেখানে, কেউ আর কাউকে সম্মান করতে রাজি নয়। শুধু চায় অন্যরা তাদের সম্মান করুক। কী হাস্যকর! আমরা ভুলেই গেছি সম্মান না করে সম্মন পাওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চায় জুনিয়রা তাদের সম্মান করুক। কেউ সম্মান না করলে যেন কুরুক্ষেত্র করে ফেলে। কিন্তু তারা সিনিয়রদের সম্মান করা না, শিক্ষকদের সম্মান করে না। শিক্ষকরা চান যেন ছাত্রাছাত্রীরা তাদের সম্মান করে, পছন্দ করে। কিন্তু তাঁরা ছাত্রাছাত্রীদের সাথে এমন ব্যবহার করে যেন তাঁরা প্রভু আর ছাত্রাছাত্রীরা ক্রীতদাস।
বাংলাদেশে রাস্তাঘাটে হাঁটতে গেলে মনে হবে সবাই খুব রেগে আছে। যেন, যে যত বেশি রেগে থাকবে সে তত বেশি পাওয়ারফুল। রাস্তায় কারো দিকে চোখ পড়লে মুখটা এমন করে রাখে যেন তার আমাশা (ডিসেন্ট্রি) হইছে। কিন্তু তারাই চায় অন্যরা যেন তাদের সাথে ভাল করে, মিষ্টি করে কথা বলে।
আমরা চাই অন্যেরা আমাদের না ঠকাক। কিন্তু সুজোগ পেলেই আমরা অন্যদের ঠকাতে চাই। বাজারে গেলে আমি চাই আমার সন্তানের জন্য ফরমালীন মুক্ত ভাল আমটা কিনি কিন্তু আমি অন্যের বাসায় যে গরুর দুধটা বিক্রি করি সেটাতে পানি মিশিয়ে দেই।
আমরা চাই আমাদের রেজাল্টকে মুল্যায়ন করা হোক কিন্তু সে রেজাল্টা করতে চাই যেকোন অসৎ উপায়ে। মেধা অর্জন না করেই আমরা মেধাবী হিসেবে মুল্যায়ন চাই।
আমরা চাই ভাল একটা সমাজ পেতে কিন্তু ভাল কাজ করি না। সবার একটাই চিন্তা, এই পঁচা সমাজটা ছেড়ে কিভাবে বিদেশ পাড়ি দেওয়া যায়। তারপরই পেয়ে যাবে একটা ভাল সমাজ। এভাবে আর কত অন্যের উপর নির্ভর করে থাকব। কখনো কি ভাববো না ঐ ভাল সমাজটা ঐ সমাজের লোকেদের ভাল কাজের ফসল?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




