গনতন্ত্র বলতে সহজভাবে আব্রাহাম লিংকনের সেই বিখ্যাত বক্তব্য "by the people,for the people....."
কিন্তু ''জনগণ" বলতে কি বুঝায়।।
সাধারনভাবে বলা হয় রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে যারা অংশগ্রহন করে তারাই জনগন।। কিন্তু আমাদের মতো দেশে প্রতি ৫ বছরে একবার ভোট দিয়েই জনগণ নামক খেতাবটি আমাদের ধরিয়ে দেয়া হয়।।। বাস্তবতা হলো-- আমরা ভোদাই বৈ জনগণ নহে।।। রাষ্ট্রের নিয়োগ প্রক্রিয়া, টেন্ডার, আদালত থেকে শুরু করে সর্বত্র সরকার দলীয় জনগণের দখলে।। তারাই রাষ্ট্রীয় শাসনকার্যে অংশগ্রহন করে।। আমরা ৫ বছরে একবার শুধু জনগণ হই।। ইহাই গণতন্ত্র!!!!
যাহোক গণতন্ত্রের উদীয়মান প্রভু যুক্তরাষ্ট্র যে বুজুর্গপানা দেখাচ্ছে তা কি সহ্য করার মতো।। গণতন্ত্র কায়েম করতে যেয়ে ইরাকের শত শত মানুষ লাশ হচ্ছে,, বিধ্বস্থ হয়ে গেছে দেশটি।।। এই গণতন্ত্রের চেয়ে ইরাকের একনায়ক সাদ্দামকে জনগণ অনেক ভালো জানতো নিশ্চয়ই!! আফগানিস্থানে গণতন্ত্রের নামে যে রক্তের খেলা বইছে তা কারো কাছে অজানা নয়!!! জারদারির গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের চেয়ে মোশাররফের একনায়ক পাকিস্তানকে আমার অনেক সচ্ছল ও সুখি মনে হচ্ছে!!
মূলত গণতন্ত্রের বিশ্বব্যাপী পাশ্চাত্য শক্তি "পোষা কুকুর" নিয়োগ করছে বিশ্বব্যাপী!!!
আধুনিকীকরন, মুক্তবাজার অর্থনীতি, বিশ্বায়ন ইত্যাদি সবকিছুই এই গণতন্ত্রকে জিবন্ত রাখার জন্য।। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশগুলো যাতে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে যেতে না পারে সেজন্য তাদের এই গণতন্ত্রের বিষ খাওয়ানো হয়!!! আর সেই সুধা পান করে আফ্রিকায় আজ দুর্ভিক্ষ, ফিলিস্তিনে হামাসকে গণতন্ত্র বিজয়ী করলেও ফাতাহকে ক্ষমতা দেয়া হলো কারন গণতন্ত্র রুপী পোষা কুকুরের নেতৃত্ব উজ্জ্বল করতে!!! দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্রের নামে চলছে বিভেদের রাজনীতি,,হানাহানি আর অনুন্নয়নের রাজনীতি।।
গনতন্ত্র কাকে উন্নত করেছে??? মালয়েশিয়ায় মাহতির যদি ২৩ বছরের একনায়কতন্ত্র কায়েম না করত তা আজ অনুন্নয়নের সেই তিমিরেই থাকতো!! চীনের পক্ষে মহাশক্তিধর হওয়া সম্ভব হযেছে একনায়ক সরকার ব্যবস্থার কারনে।।।মায়নামারে কোন অশান্তি না থাকলেও সূচি নামক একটি পোষা কুকুরের জন্য বারবার দেশটিতে ঝামেলা বাধে।। সৌদি, কুয়েত এতটা ভালো থাকতোনা যদি রাজতন্ত্রের একনায়কতন্ত্র না বজায় থাকতো।।
ভারতের কথা অনেকে বলতে পারেন।। কিন্তু ভারতের উন্নয়ন শুধু দিল্লী আর বোম্বেকে ঘিরে।। কিন্তু এ উন্নয়নের পিছনেও রয়েছে তাদের তীব্র জাতিয়তাবাদ , যা একনায়কতন্ত্রের সুবাতাসে সৃষ্ট।। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে দীর্ঘ সময় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন গান্ধিজীর শাসনে চলেছিল।। মানুষের মাঝে গণতন্ত্রর তাড়নায় বিভেদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে সবাই একনায়ক গান্ধীর আদর্শ নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্দ হয়।।
এখন একটা কথা বলছি,, যা অনেকের সঙ্গে দ্বিমত লাগতে পারে।।গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় আমাকে একটি ব্যলট পেপার ধরিয়ে দিয়ে সমর্থন আদায় করা হলো।। ভালো কথা,, আমি না হয় কিছুটা বুঝলাম বা অনেক শিক্ষিত ও সচেতন ভেবে চিন্তে তার সিদ্ধান্ত নিলো।। কিন্তু ৮০ বছরের বুড়ি যখন অন্যের কোলে চড়ে এসে ভোট দেয় তখন মনে হয় গণতন্ত্রে মুখে প্রসাব করা হচ্ছে!!!
অশিক্ষিত শত শত নারী-পুরুষকে লাইনে দাড় করিয়ে যে মতামত নেয়া হচ্ছে আর শিক্ষিত ব্যক্তিদের যে সারি তা কি সমান হতে পারে।।।
আমার ভোটের দাম আর একটা অশিক্ষিতের ভোটের দাম এক হতে পারেনা।।। আমাকে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে কুলি-মজুরের কাতারে ফেলে দিলে আমি মেনে নিতে পারিনা।।।
এখন আবার কিছু কথা না বললে আমাকে চরম পুজীবাদী ভাবতে পারেন।। "কুলি-মজুর"কে আমি খারাপ বলছিনা।। সমাজের প্রয়োজনে ধনী-গরিব বৈষম্য অবশ্যই কাম্য।। সবাই ধনী হলেও সমাজ চলবেনা আবার সবাই গরিব হলেও সমাজ চলবে না।। মানুষ হিসেবে সকলে সমান হলেও গণতন্ত্রের মন্ত্র দিয়ে সকলকে এককাজ করানোর পক্ষে আমি না।।।
২০০ টাকা পকেটে ভরে দিয়ে ভোট দিয়ে যে মজুর গণতন্ত্র কায়েম করে ফেলে তাকে খালেদা-হাসিনা-নিজামী-বুশ-ওবামা-মনমোহন সম্মান দেখালেও আমি দেখাইনা!!!
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





