somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাময়িক প্রেক্ষাপট এবং আমার কিছু উপলব্ধি

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাধারনত আমি ব্লগে লিখার চেয়ে পড়ি বেশি। কারন আমি অত সুন্দর করে লিখতে পারিনা।
সেই জন্যে সবার কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আমাদের দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা। দু'পা এগিয়ে গেলে তিন পা পিছিয়ে যাই। এইটার অবশই একটা বড় কারন হল মিডিয়া। মিডিয়া আমাদের যা খাওয়ায় আমরা তাই খাই। কোন বাচবিচার করিনা।চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে আমরা সবাই চিলের পিছনে ছুটি। নিজের কান আছে কি নাই তা একবারও দেখিনা। এই ঘটনার একটা বড় উদাহরন হল আমাদের অনন্ত জলিল ভাই। ফেসবুকে এবং ব্লগে দেখতাম শুধু তারে নিয়ে হাসাহাসি, ঠাট্টা মশকরা। এর কিছুদিন পর মিডিয়া ব্যপারটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিল, যে সে বাংলা চলচিত্রের জন্য ভাল কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। যে ব্যক্তি কিছু দিন আগে উনারে নেয়ে ঠাট্টা করছিল ওই একই ব্যক্তি আবার একটা সিরিয়াস পোস্ট দিল না সে একজন ভাল অভিনেতা। তার ভুল থাকতেই পারে, তাই বলে তারে নিয়ে আমাদের উপহাস করা ঠিক না।

এই যে লোকটার মধ্যে একটা পরিবর্তন আসল সেটা কিন্তু পুরাটাই মিডিয়ার অবদান। এবং বর্তমানে আমাদের দেশে এবং পুরা বিশ্বে মিডিয়া এরকম একটা গুরুত্বপূর্ন প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে।

আর একটা কথা আমি থাকি দেশের বাইরে। স্বাভাবিক ভাবে এখানকার লোকদের সাথে বিশেষ করে অমুসলিমদের সাথে দেশের এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। তাদেরকে যদি ইসলামের কথা বলি তারা ধরেই নেই ইসলাম মানেই হল সন্ত্রাসী। কারন তারা ইসলামকে ভেতর থেকে কখনো দেখেনি বা দেখার চেষ্টা ও করেনি। আর তারা ইসলাম সম্পর্কে যেটা জেনেছে সেটা পুরাটাই মিডিয়ার মাধ্যমে। আর আমরা ভালো করেই জানি আন্তর্জাতিক মিডিয়া কারা চালায় এবং ওরা কিভাবে ইসলামকে আমাদের সামনে তুলে ধরে।

এইবার আসি আমাদের দেশের সাম্প্রতিক বিষয় গুলি নিয়ে। এখন আমাদের দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল জামাত শিবির। এইটার একমাত্র কারন মিডিয়া। মিডিয়া এখন যদি আবার সাগর রুনি হত্যাকান্ডকে বা পদ্মা সেতু বা হলমার্ক অথবা ফ্লাইওভার, গার্মেন্টস নিয়ে ফোকাস করে তাহলে আমাদের মনযোগ সেদিক দিয়ে ঘুরে যাবে। এবং আমাদের সরকার সেদিক দিয়ে সফল। তারা তাদের ব্যর্থতা ওই এক জামাত শিবিরকে দিয়ে ঢেকে দিতে পেরেছে। আর আমরাও মুর্খের মত কোন কিছু যাচাই না করে ওরা আমাদের যা যা গিলাচ্ছে আমরাও গিলছি।

গতকাল হরতালের সময় দেখলাম শিবিরের কিছু ছেলে গাড়ি ভাংচুর করছে। আমার মনে হয় এইটা অবশ্যই একটা খারাপ কাজ। বুঝতেছি শিবিরের ও দেয়ালে পিঠ থেকে গেছে। কিন্তু ভাই আপনারা তো ইসলামের জন্যে কাজ করেন। ইসলামতো ভাই জালাও পোড়াও এ বিশ্বাসী না। হয়তবা আপনাদের এই কর্ম কান্ড দেখে কেউ যদি ইসলামের দিকে আসতে চাই তাহলে সে আর ইসলামের দিকে পা বাড়াবেনা। আপনারা নিশ্চয় জানেন আল্লাহ সবসময় ধৈর্য্য ধারন কারীদের সাথে থাকেন।

অন্য দিকে দেখলাম ছাত্রলীগের কিছু ছেলে শিবিরের কয়েকটি ছেলেকে ধরে মারছে। ভাই ওরা শিবির হলেওতো মানুষ। তারও তো অধিকার আছে তার মত প্রকাশ করার। তাই বলে অমানবিক ভাবে একটা মানুষকে মারা যায়না। ফেসবুকের কিছু পেজে দেখলাম শিবিরদের মার খাওয়া দেখে তারা অনেক খুশি। অথচ তারাই আবার মানবতার কথা বলে। আমরা আসলে আমাদের মনুষ্যত্ব বোধ হারিয়ে ফেলেছি। ভাল খারাপ বিচার করতে পারিনা। অনিয়মটাই আমাদের কাছে নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। আল্লাহ যেন আমাদের ভাল মন্দ বিচার করার তৌফিক দেয়। আমিন ।

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, আসুননা আমরা সব ভিবাজন ভুলে গিয়ে আমাদের এই প্রিয় দেশটিকে কিভাবে আরো সমৃদ্ধশালী করা যায়, কিভাবে কাজ করলে আমাদের দেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে সেই প্রতিযগিতা করি। আর আমরা জেন প্রকৃত ইসলাম জানার চেষ্টা করি।

অনেক বক বক করলাম। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা প্রার্থী
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৫
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×