রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত গত এক ঘন্টায় আমার মোবাইলে মোট ৪৫ বার মিস কল এসেছে । আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিলাম কঠিন কিছু খারাপ কথা বলার জন্য । মোবাইলে বেশি টাকাও নেই সুতরাং ওপারের লোকটাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কথা বলে শেষ করতে হবে ।
কিন্তু আবার মনে হলো কিছু বলার আগে কন্ঠটা শুনে নিতে হবে একবার । আগে একবার ফোন করেছিলাম কিন্তু তখন চুপ করে ছিলো । এখন আরেকবার সুজোগ দেওয়া যেতে পারে ।
আমি : হ্যালো ...
ওপার : হ্যালো , কেমন আছেন ? ( আমি ফোনে ওরকম মিষ্টি গলা আমার জীবদ্দশায় শুনিনি )
আমি : কেমন আছি মানে ? আপনি কে ? এত জ্বালাচ্ছেন কেন ? দরকার থাকলে ফোন দেন না কেন ?
ওপার : আমার সাথে রেগে কথা বলবেন না । আমি রেগে কথা পছন্দ করি না ।
আমি : কে আপনি ?
ওপার : আমার নাম টিনা । খুলনার একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পড়ি । বাসা পাইকগাছা ।
আমি : আমার নাম্বার পেলেন কোথা থেকে ?
ওপার : তা তো বলবোনা ।
আমি : আমি কি করতে পারি আপনার জন্য ?
ওপার : আমি আপনাকে ভালোবাসি ।
আমি খটাস করে ফোন রেখে দিলাম । আমার কান গরম হয়ে গেছে । কারেন্ট নেই । হঠাৎ করে ঘামতে শুরু করেছি । দম নিচ্ছি শব্দ করে ।
অসম্ভব একটা ব্যাপার-স্যাপার । খুব মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করা দরকার । কিন্তু তার আগে কাওকে কথাটা বলা দরকার । তনু'কে বলতে হবে । ও যা পারে তাই করুক ।
তনু'কে ফোন করে বললাম ; " ভাইরে আমার একটা সাহায্য কর । এই ফোন নাম্বার টা নে । দেখ তো কি বলে । "
আমি খুব চিন্তা করে দেখলাম : হয়ত পরিচিত কেও অন্য কাওকে ফোন দিয়ে মজা লুটতেছে । হতে পারে । অসম্ভব কিছু না । আমি যে গাধা , সেটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই । আর অব:শেষে এ চিন্তাই ফাইনাল হলো ।
ঘন্টা খানেক পর তনুর কাছে ফোন দিয়ে বললাম : কি রে ? কি বলতে চায় ?
ও যেটা বললো তার সারমর্ম হলো : তোর সাথে প্রেম করতে চায় । কিন্তু ফোন নাম্বার কোথা থেকে পেয়েছে সেটা বললো না । দেখি কি করা যায় !
আমি ফোন কেটে দিয়ে আমার জিপি সিম অফ করে রাখলাম । কয়েকদিন বাংলা লিংক ব্যবহার করব । পরে ঠিক হয়ে যাবে । কারণ প্রেম ট্রেম আমার হবে না ।
বেশ কিছুদিন পর
তনু'কে ফোন করলাম । টীনার সাথে নাকি তনুর প্রতিদিন বেশ কয়েকবার কথা হয় । বেশ অনেক্ষণ ধরেই কথা হয় । কিন্তু মেয়েটা আসলে কে সেটা বের করতে পারেনি এখনো । টীনা নাকি বলেছে : আপনার বন্ধু ফোন অফ করে রাখছে কেন ? ওকে ফোন অন করতে বলেন ।
আমি শুনে তনুকে বললাম : দোস্ত তুই চালায় যা । দেখ তোর সাথে কিছু করে কিনা । আমি আর জিপি অন করবো না ।
এক-দেড় মাস পর [/su
মেয়েটার পরিচয় বের হয়েছে । কিন্তু তনু ফোন করে বললো : পরিচয় বলছে । দোস্ত , সব ভুলে যা । মান সম্মান সব গেছে রে । তোর তো কিছু হয় নাই । হইছে আমার । তুই দিব্বি বেঁচে গেলি এ পর্বে । আমার শরীরের মধ্যে ঘিন ঘিন করতেছে ।
আমি বললাম কি হইছে রে ? কে রে মেয়েটা ?
ও বলে : তোদের পাসের বাসায় আখি'রা থাকে না । ওদের কাজের মেয়ে কৃষ্ঞা ।
আমি শুনে থ মেরে গেলাম । বলে কি !
এক সপ্তাহ মত পর
বাসা থেকে বের হচ্ছি আমি আর তনু । গেটের কাছে কৃষ্ঞা দাড়ানো । দাত বের করা হাসি হাসতেছে । দেশের কি অবস্থা , এদের কাছেো মোবাইল থাকে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




