২১শে ফেব্রুয়ারী ছুটির দিন মেনে পাত্রী দেখার ব্যবস্থা সকাল সকাল করা উচিত বলে মুরুব্বিরা রায় দিলেন । সন্ধে বেলায় বিয়ের একটা সুযোগ বের করা যাবে । সকালের পাত্রী বিকেলের মধ্যে পছন্দ করে ফেললে মধ্যান্ন ভোজন রাতের খাবার , এই দুবেলা খেয়ে মিঞার ফ্যামিলি রাজি থাকেলই পাত্রীকে বধু বানিয়ে বাড়ি ফিরবেন । ভেবে দেখুন কত খরচা কমে গ্যালো !
মুরুব্বিদের পরিকল্পনা সফল হয়নি । ২২ তারিখে জানলাম বিফলতার কাহিনী । ঘটক নাকি অনেক কিছু বানিয়ে বানিয়ে বলেছে । মুরুব্বিরা মেনে নিতে পারেননি যে কারণগুলো ....
প্রথমত , মেয়েকে দেখে মনেই হয়না তিনি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন । বয়স। তার পড়াশুনা অনুযায়ী তার চেহারায় ছাপ নেই । অর্থ বুঝতে মুরুব্বিকে প্রশ্ন করাটাও অযৈক্তিক !
দ্বিতীয়ত , পরিবার সেনাবাহিনী পরিবার । বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন । মুরুব্বিদের ডিফেন্সের কোনো পরিবারই পছন্দের নয় ।
তৃতীয়ত , পাত্রী শুকনা পাতলা ছোট খাটো বুদ্ধিমতি নয় ।
এমনও শুনতে পাওয়া গেল গ্রামের এই পরিবারের সহায় সম্পদ কম । আর্মি পরিবারের পাত্রীর বাবা মা বেশ অসুস্থ অনেকদিন , তাদের পিছনে বেশ খরচাপাতি হয়েছে , হচ্ছেও । আমি এই কারণটিকে চতুর্থ কারণ বলতেও দ্বিধায় পড়েছি !
পাত্রের করণীয় কি ? কনেকে সে ১৩ ই ফেব্রুয়ারী দেখেছে প্রথম। উনার বড়বোন পাত্রের বান্ধবী হওয়াতে পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। কথোপকথনে ভালো লেগেও গিয়েছিল । বিয়েটা করে ফেলা যায় এবার ভেবে নিয়ে পাত্রীর বড় বোনকে দিয়েছিলো প্রস্তাব। বুদ্ধি করে নিজের অন্য বন্ধুকে ঘটক বানিয়ে মুরুব্বিদের সামনে উপস্থিত করেছিল ।
বন্ধু ঘটককে নিয়ে মুরুব্বিদের গুষ্টি , মানে নিজের চাচা আর মামাদের উদ্ধার করতে করতে পাত্র বুঝতে পারছে মুরুব্বিরা পাত্রী দেখেই যায় ,পছন্দ হয়না , বিয়েটা করে ফেলাও যায় না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





