somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিক

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরিবর্তন কি মানুষের মতোই কোনো জিনিস যাকে অবয়বে দেখা যায়, ধরা যায়? নাকি এমনকিছু, যাকে শুধু অনুভবে রাঙানো যায়, ফোটানো যায়? এমনকিছু, যার নিজের কোনো আকার তো নেই (অথবা কেবল গতি, অথবা একটা অস্পষ্ট রূপ), কিন্তু শুধুমাত্র মানুষের ধারণের মধ্য দিয়েই আস্তে আস্তে স্পষ্ট রূপে নিজের আকার এঁকে নেয়?

জীবনপ্রাপ্তি বা ভূমিকাপ্রাপ্তি থেকেই কোনোকিছুর যাত্রা শুরু হয় পরিবর্তনে অথবা পরিবর্তনের দিকে। কোথায় কার পরিবর্তনের শেষ তা কেউ জানে না। হয়তো শেষ না হয়েও পরিবর্তনের মাঝেই ত্যাগ দিতে হয় সে-সবকিছু, যা-কিছু প্রাপ্ত হয়েছিলো। কিন্তু কিছুই ব্যর্থ নয়। অপ্রয়োজনীয় নয়, আধা নয়। সবই কিছু মাত্রা পর্যন্ত সফল, এবং অপেক্ষায়...মূল উদ্দেশ্য সাধনের।
অতীতে যা সত্য ছিলো, যা ছিলো অনুভবতায়, তা সত্য, চির। আবার আজ যা সত্য না, যা নেই অনুভবতায়, নেই চৈতন্যে, তাও সত্য, চির। সময় সবার জন্যই জায়গা তৈরি করে দেয় (অথবা বরাদ্দ)। বলা যায় সময় উদার। সময়কে সায় দেওয়াটা মূল নয়, বরং যে সায় দিচ্ছে প্রকৃত সে-ই মূল, ফোকাসে।

যেন বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হচ্ছে, যে গান যে সুর হৃদয়ের দরদকে না স্পষ্ট করে, আবার না জাগায়, কেবলই শোনায় তার কৃতিত্ব কোথায়?
যে কবিতা পড়তে পড়তে অর্থ অনর্থ হয়ে যায়, বোঝা যায় না তার কোনো উদ্দেশ্য বা জীবনরূপ ভূমিকা, তার আত্ম অথবা আত্মিক শুশ্রূষা- যা অনুভবতাকে শীতল করে, গভীর করে, কেবলই লেখ্য রূপে কয়েকটা সংবর্ধনায় তার কৃতিত্ব কোথায়? সব কর্মের বিপরীতেই জড়ো হয়ে থাকে তার উদাসীন ব্যর্থতা- সেই ব্যর্থতা পেতে কোনোরকম প্রতিজ্ঞা নিতে হয় না।

এই পৃথিবীতে ভালো কিছুর প্রকৃতই কোনো নির্দিষ্ট দেশ, জাতি বা কাল নেই- যা আমরা বলেছি, শুনি, শুধু বিশ্বাসটাই করিনি। বিশ্বাস মানেই তো চর্চা! নয় কি? আর যার কোনো কিছু নির্দিষ্ট নয়, সে কখনো অপ্রকাশ্যও থাকে না। সমস্ত পৃথিবীই তার- তার আয়োজনে, প্রয়োজনে, ইচ্ছায়। কেউ না কেউ খুঁজে নেবে বারবার, বুঝে নেবে, মনে রাখবে, অনুসরণ করে যাবে।


**A Scholar says, when you get that feeling, ''this is time to change''...that is THE CALLING and you should turn to change. The action of change itself will split the seconds from your old You to your new You.
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সামহোয়াইর ইন ব্লগ ভিজিট করুন যে কোনো মোবাইল অপারেটর ডাটা ব্যবহার করে (সামু ব্লগারদের জন্য ক্ষুদ্র ঈদ উপহার)।

লিখেছেন গেঁয়ো ভূত, ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭





ঈদ মোবারাক! ঈদ মোবারাক!! ঈদ মোবারাক!!!

প্রিয় সহব্লগারস পবিত্র ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা নিন। আমাদের মধ্যে অনেকেই জিপি কিংবা অন্য কোনো অপারেটর থেকে সামু ব্লগ ভিজিট করতে সমস্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কি নিরপেক্ষতা হারাচ্ছেন?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০১




গত বছর ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্যারিসে ছিলেন। ৮ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। ফিরেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে একটি অসাধারণ সুযোগ। এই সুযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এইসব দিনরাত্রি

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৯



১।
পথে পথে খুঁজি নিরবতা- নিখাঁদ নিরবতা লুট করে নিয়ে গেছে যেনবা হালাকু খান! আবার মুখ থুবড়ে পড়া অতিশয় বন্য নিরবতা কাউকে কাউকে কখনো কখনো চিনিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যৌন ছায়া (Sexual Shadow): অবদমিত ইচ্ছা ও মনোজাগতিক দ্বন্দ্বের গল্প

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:২৯



সাধারণত মানুষ আত্মহত্যা করতে চায় না। হত্যা করতে চায় কিন্তু সেটা নিজেকে নয়। হতাশা, ব্যর্থতার অনুভূতি, ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা, অতিরিক্ত সমালোচনা, রাগ, হিংসা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব কে হত্যা করতে চায়।

এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের ইসলামিক(শিয়া) শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:২৬


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা দাবী করেছে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সময়ের হামলার পিছনে ইরানের ইসলামিক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটতে পারে। অর্থাৎ ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর ক্ষমতায় যাওয়া খোমিনী গং দের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×