somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিবাহ মানে স্বামীকে ক্রয় করা নয়

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বিবাহ মানে স্বামীকে ক্রয় করা নয়৷


সংগা : বিবাহ মানে একটি চুক্তি। যেখানে স্ত্রী ভরনপোষন ও নিরাপত্তা পাবে। বিবাহ মানে স্বামীকে কিনে ফেলা নয় যা অধিকাংশ নারী মনে করে।
স্বামী বিবাহ করেছে তার মানে এই নয় স্বামী তার যৌবন স্ত্রীর কাছে বিক্রী করে দিছে, ফলে সেটি হারালে স্ত্রী দুখে স্বামী হত্যাও করতে পারে। স্ত্রীর মনে রাখতে হবে স্বামীর পুরো যৌবনটাই স্ত্রীর নয়। স্ত্রী স্বামীকে দশ মাস পেটে রাখে নাই। ২৬ বছর খাওয়িয়ে মানুষ করে নাই। তাই স্বামীকে হত্যা করার অধিকার যদি থাকে তা একমাত্র স্বামীর মায়ের। অথচ দুইদিনের বউ একটি বিবাহ নামক একটি চুক্তির মাধ্যমে স্বামীর সকল দৈহিক ও সম্পত্তিগত অধিকার মনে করে।

স্বামী আর দাস এক জিনিস নয়। মেয়ের বাপ স্বামীকে এক কোটি টাকা দিয়ে কিনে নাই যে ছুটে গেলে কোটি টাকার লস। ফলে তাকে মেরে ফেলতে হবে।

নারীরা যা মনে করে : বিবাহের মাধ্যমে আমি স্বামীর দৈহিক ও সম্পত্তির ১০০ ভাগ প্রাপ্য।
পরস্পরের এ অধিকারের মূল বিষয়বস্তু কেউ যেন না ঠকে।স্বামী যেন স্ত্রীর কাছে না ঠকে, স্ত্রী যেন স্বামীর কাছে না ঠকে। পরস্পরের দাবি দাওয়া পূরন করে উভয়পক্ষ একটি সমঝোতায় চলে যাওয়া

কুরআনে বর্নিত বহু বিবাহের হিকমত :
শারীরিক ও গুনগত কারনে স্ত্রী অযোগ্য ও অপছন্দনীয় হলে স্বামী যদি তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আসে তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে স্বামী হয়তো সুখী ও তৃপ্তির জীবন পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু তালাকপ্রাপ্তা প্রথম স্ত্রী তিলে তিলে শেষ হবে।

অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী যদি স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহে বাধা দেয় তাহলে অযোগ্য ও অপছন্দনীয় (শারিরিক, মানসিকক কাররনে গরমিল) স্ত্রী নিয়ে স্বামী তিলে তিলে শেষ হবে।এবং স্ত্রী চরম অবহেলিত হবে। এক্ষেত্রে সমাধান বহুবিবাহ। মানে প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ। তাহলে দুই জনই বাচবে।

সমস্যা হলো স্বামী আরেকটি বিবাহ করলে আমি তিলে তিলে শেষ হবো এটি নারীরা চিন্তা করতে পারে৷ কিন্তু এটা চিন্তা করতে পারে না, আমাকে দিয়ে পোষায় না, আমি বাধা দিলে স্বামী তিলে তিলে শেষ হবে৷
কিন্তু বহুপুরুষ কুরআনের এ সমাধানে না গিয়ে বিকল্প হিসেবে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে স্ত্রী থেকে কম পাওনাটা পুষিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিবাহে যাচ্ছে না।যদি তারা বিকল্পটা বন্ধ করে দেয় তবে বহুবিবাহের আন্দোলনের জন্যে মিছিল হতো । বিশ্বজুড়ে বহুবিবাহ কমে যাওয়ার প্রধান কারন ব্যভিচার করে স্ত্রী থেকে কম পাওনাটা পুষিয়ে নিচ্ছে।

স্ত্রীর হিংসা ও জিদাজিদিতে স্বামী ও আরেকটি নারীর জীবন তিলে তিলে নিশেষ হয়। স্বামীকে একলা ভোগ করার চিন্তা বাদ দিয়ে নারীর চিন্তা করা দরকার আমি আটকানোতে আরেক নারী ও স্বামী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা। এমনিতেও স্বামীর ভাগ চিরদিন ভোগ করতে পারবেন না। যে স্বামীকে এতো কড়াকড়ি পাহাড়া যেকোন সময় স্বামীর দম ফুরিয়ে যেতে পারে।

নারীরা স্বামীর ভাগ ১০০% পাওয়ার দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে অন্য নারী ও স্বামীর হক্ব নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে।

উত্তম নারীর এ বুঝ আসবে দুনিয়াতে স্বামীর ভাগ এমনিতেও চিরদিন ধরে রাখতে পারবো না, স্বামী ও অন্য নারীর হক্ক আদায় না হলে কেয়ামতের ময়দানে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে।
অন্যদিকে দুনিয়াতে স্বামীর ভাগ ৫০% হয়ে গেলেও যদি স্বামী ও অন্য নারীর হক্ব আদায় হয়ে যায় তাহলে আখিরাতে চিরস্থায়ী জিতা হবে।
উত্তম নারীকে স্বামী বিবাহের জন্যে রাজি করাবে না। নারীই উল্টো বলবে "তুমি যদি মনে কর তোমার হক্ব আদায় হচ্ছে না বা তুমি ঠকেছ। তবে আরো বিয়ে করে নাও। তবুও কেয়ামতের ময়দানে হক্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে কর না।

নারীরা কেন দ্বিতীয় বিবাহে বাধা দেয়?
সম্পত্তির ভাগ নয় হিংসাই প্রধান সমস্যা : স্বামীর সম্পত্তিতে নিজের সন্তান বাড়লেও ভাগ কমবে। সতীনের সন্তান বাড়লেও ভাগ কমবে। নিজের সন্তান বেশী বেশী নেওয়ার সময় এ হিসাব থাকে না, কিন্তু সতীনের বেলায় একেক নারী অংকে মাস্টার্স ডিগ্রীধারী হয়ে যাওয়ার মূল কারন হিংসা।

অনেক নারী দাবি করে আমি স্বামীকে অনেক ভালোবাসি। তাই স্বামীর আরেকটি বিয়ে করলে মেনে নিতে পারবো না।
উত্তর : ভালোবাসার অপর নাম বিসর্জন। আপনি যদি সত্যিকার স্বামীকে ভালোবাসতেন তাহলে তো স্বামীর সুখ আপনার সুখ মনে হতো যেমন সন্তানের সুখই মায়ের সুখ মনে হয়। তার মানে আপনি স্বামীকে ভালোবাসেন না। বরং নিজের স্বার্থ রক্ষাকেই ভালোবাসছেন। স্বার্থের ব্যঘাত ঘটলে আপনি খুনও করতে পারবেন। আপনার স্বামীর প্রতি এ আকর্ষন হিংসা ও স্বামীর ভাগ পুরোটা পাবার লোভ থেকে আগত। ভালোবাসা থেকে নয়। ভালোবাসা এতো সস্তা জিনিস নয়।

মহিলারা মনে করে বিবাহ হয়ে গেছে এখন স্বামীর হাত পা ও মনটাকে বেধে সব আদায় করতে হবে।
মহিলাদের মাথায় রাখতে হবে স্বামী পরের পুত। তার স্বাধীনতা ( কতটুকু খরচ করবে, বহুবিবাহ ইত্যাদি) কেড়ে নিব না, পরের পুতের উপর আমি জুলুম করব না লোভও করব না । বরং কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক শুকরিয়া আদায় করব।
১) এক স্বামী মানেই নারীর জিতে যাওয়া নয় :
পুরুষদের উচিত নবীর স: সুন্নাহ বাস্তবায়ন করা । বহু সতীনের ঘরে যখন অনেক নারীই সুখি জীবন যাপনের রিপোর্ট আসবে
তখন নারীদের ভুল ধারনা ভেঙ্গে যাবে।
২) মহিলাদের ঈমান নাই এর প্রমান :
স্বামী নামায না পড়লে দোষ নাই, সুদ খাইলে দোষ নাই, রোজা না রাখলে দোষ নাই, পরের টাকা মেরে খাইলে দোষ নাই, ব্যভিচার করলেও দোষ নাই। কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক বিবাহ করলে দোষ। এতেই বুঝেন মহিলাদের ঈমান কত শক্ত! দুনিয়াবি বুঝটা কতই না তারা বেশী বুঝে।
৩) স্বামী ঈমানদার হওয়া মানে নারীর জিতে যাওয়া। স্বামী এক ওয়াক্ত নামায না পড়লে স্ত্রী মন খারাপ করতে পারে, কারন এটা কুরআন বহিভূত হারাম কাজ। অন্যদিকে স্বামীর বহুবিবাহ কুরআনের নির্দেশ। আসলে দুনিয়াবি বুঝটা বেশী থাকলে এ ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক
বহু বিবাহের মাধ্যমে স্বামী যাকে ভালোলাগে তাকে পায় এবং প্রথম বউ অবহেলা ও অত্যাচার থেকে বেচে যায়।এতে নারী নির্যাতন কমে যায়৷
যারা এখন প্রথম বিয়েই করেন নি৷ প্রথম বিবাহের জন্যে পছন্দনীয় লিঙকঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/mariebabia37/30141505
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×