মুতা(অস্থায়ী, সাময়িক) বিবাহ বৈধঃ
ইসলামে বিবাহ দর্শন একটি জটিল বিষয়ঃ
মূলত যৌন সংযমের কথা বলে ইসলাম৷ সেজন্যে মূলত একটি বিয়ের কথা বলে ইসলাম৷
কিন্তু হাতের পাচটি আঙ্গুল সমান নয়৷
নিজেকে সংযত রাখতে না পারলে দাসী বিবাহ, বহুবিবাহ, মুতাবিবাহ নাম দিয়ে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা ইসলামে আছে৷
মুতা ও ব্যভিচারের প্রার্থক্যঃ
১)ডকুমেন্ট যার নেই সেটাই ব্যভিচার৷ তাহলে মুতা ব্যভিচার হয় কেমনে? মুতার তো ডকুমেন্ট আছে৷
২) ব্যভিচার গোপনে৷ মুতা প্রকাশ্যে৷
৩) ব্যভিচারের দেনমোহর নেই৷ মুতার দেন মোহর আছে৷
৪) ব্যভিচার সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না৷ মুতা দেয়
৫) ব্যভিচারে একদিনেই একাধিক পুরুষের সাথে মিলিত হতে পারবে৷ মুতায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইদ্দত শেষ করবে৷ এর আগে অন্য পরুষের সাথে মিলিত হতে পারবে না৷
মুতার উপকারিতাঃ
১) হাতের পাচটি আঙ্গুল সমান নয়৷
নিজেকে সংযত রাখতে না পারলে দাসী বিবাহ, বহুবিবাহ, মুতাবিবাহ নাম দিয়ে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা ইসলামে আছে৷ এই দর্শনটি বুঝতে না পারায় মানবীয় বিবেক বুদ্ধি দিয়ে উমর মুতা নিষিদ্ধ করেছেন৷
২) কোটি কোটি যুবক ব্যভিচারে লিপ্ত আছে৷ মুতা এদেরকে একটি ফরম্যাটে আনে৷ হ্যা৷ মুতার অপকারিতা আছে৷ কিন্তু উপকারিতা অনেক বেশী৷
৩) বাস্তব জীবন অনেক জটিল৷
বহু মানুষ বহু কষ্টে ভোগছে৷ কারও স্ত্রীর শারিরীক ত্রুটি৷ কারও দুটি বিয়ে সম্ভব নয়৷
৪) সারাজীবন মিল থাকবে এর গ্যারান্টি কই৷ তাই কাবিন সিস্টেম বিবাহ অনেক বুঝে শুনে দিতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় এমনকি হয় না৷ ব্যভিচার বৃদ্ধি পায়৷
৫)কাবিন সিস্টেমে স্বামী স্ত্রী সারাজীবনের বন্দি হওয়াতে কলহ চরমে বৃদ্ধি পায়৷
৬)মোল্লারা এমন একটি সমাজ তৈরি করিয়াছে যেখানে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারীদের পুনরায় বিবাহকেও খারাপ ধরা হয়৷ ফলে মহিলাদের স্বামী তালাক দিলে তারা আত্মহত্যা করে নয়তো স্বামীকেই হত্যা করে৷ অথচ মহাপুরুষ মুহাম্মদ সবগুলি বিধবা বিবাহ করেছেন নারীর মন ও সমাজ থেকে এ ধারনাটি দূর করতে৷
তারপরেও আজও নারীদের মুখে শুনতে পাই " নারীদের বিয়া কয়বার হয়৷ স্বামী খারাপ হলেও তারা জীবন দিবে৷" কিন্তু তালাক দিয়ে আরেকটি বিবাহে নারী বা সমাজ রাজি নয়৷ এটি মোল্লাদের অবদান৷
৭) সুন্নীরা যেহেতু ইসলামি মূল দর্শনই বুঝে না৷ তাই তারা মুতা হারাম বলে৷ কিন্তু শিয়ারা সম্মিলিতভাবেই মুতার সমর্থক৷ ইরানে মুতাবিবাহ রাষ্ট্রীয় ভাবেই হচ্ছে৷
মোল্লাদের নারী ও যৌন দর্শনঃ
১) মোল্লারা ওয়াক্তিয়া নামাযের মতো নারী বিষয়ক ব্যপারগুলি কঠিন করেছে৷ এক ওয়াক্ত নামায না পড়লে ২ কোটি বছর জাহান্নাম৷ দায়েমি সালাত বাদ দিয়েছে৷
২) বর্তমান মোল্লারা বহুবিবাহ হারামের পায়তারা করতেছে৷ যুক্তিঃ যদি আদল করতে পারো তবেই বহুবিবাহ করো৷ যেহেতু শর্ত দেওয়া সেহেতু বহুবিবাহ না করাই উত্তম৷ জাকির নায়েক পার্টি এদের অন্যতম৷
৩)মোল্লারা মুতা বিবাহ (সাময়িক) হারাম করছে৷ ব্যভিচার বলে৷
৪) দাসী বিবাহ হারাম করেছে ব্যভিচার বলে৷
মোল্লারা ফোকাস করিতেছ মুমিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন দৃষ্টির হেফাজত করে৷সুরা নুরের এই আয়াতটি৷ একটি বিয়ে করা ও তারপরে কোন নারীর চাহিদা না থাকা ও না তাকানোই তাদের কাছে চূড়ান্ত ধার্মিকতা বলে মনে হয়৷
অথচ নবী রাসুল সাহাবীদের জীবনে বহুবিবাহ, দাসী বিবাহ, মুতা বিবাহে ভরপুর দেখতে পাই৷
তারমানে ইসলামের কড়াকড়ি বিষয়গুলিকে মোল্লারা ফোকাস করিতেছে৷ সামগ্রিক কুরআন দর্শন মোটেও এমন না৷
মোল্লাদের কড়াকড়ির ফলাফলঃ
১) পুরুষদের চাহিদা না মেটায় ব্যভিচার করে৷ ফলে স্ত্রী সন্দেহ করে ও ঝগড়াঝাটি শুরু হয়৷
২) ব্যভিচারে দেশ ভরে গেছে৷
৩) তথাকথিত বিবাহ এতোই অশান্তি তৈরি করে একজন মুক্ত চিন্তা ও বিবেকবান মানুষ বলবে এমন হলে বিবাহ সিস্টেম না থাকাই উত্তম৷
ব্যভিচার কাকে বলে?
ইসলামে ব্যভিচার বলতে গোপনে বা ডুকমেন্ট বিহীন যৌনাচার করাকে বুঝায়৷ মোল্লারা প্রচলিত কাবিন সিস্টেম ও চার বিবাহের বাইরের সবকিছুকে ব্যভিচার সংগায়িত করে৷
ব্যভিচারের আরেক আভিধানিক মিল হচ্ছে চুরি করা যা গোপনে করা হয়৷ চেয়ে টাকা নিলে চুরি নয়৷
মুতা বিবাহ মোল্লারা ব্যভিচার বলে কেন?
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না বলে৷
ব্যখ্যাঃ ঐ নারী যে উত্তরাধিকার চায় না৷ সেই তো মুতাতে রাজি হবে৷ রাজি হলে দোষ কোথায়?
লক্ষ লক্ষ নারী যদি বয়ফ্রেন্ডের সাথে কোন টাকা লেনদেন বা ডকুমেন্ট ছাড়াই ব্যভিচারে আসতে পারে৷ তবে মুতায় আসতে পারবে না কেন?
বিবাহ একটি চুক্তি৷ চুক্তি বিভিন্ন রকম হতে পারে৷
***মোল্লাদের যুক্তিঃ
প্রথম আয়াতের ৭ বছর পরে মদ হারামের আয়াত আসে।..... তেমনিভাবে ইসলামিক ভাবে বিয়ের প্রক্রিয়া/নিয়মের হুকুম নাজিল হবার পরে মুতাহ বিয়ে সহ অন্নান্য বিয়ের প্রক্রিয়াকে বাতিল করা হয়।
উত্তরঃ মুতা নিষেধ করে তো কুরআনের আয়াত আসে নি৷
সুন্নী মোল্লাদের ২য় যুক্তিঃ
বুখারি হাদিসে তো নিষেধ করা হইছে৷
উত্তরঃ খইবরের যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ সঃ যদি নিষেধ করেও থাকে৷ তা শেষ পর্যায়ে তখন দেশ ব্যভিচার মুক্ত হয়ে গিয়েছিল৷ তাই মুতার প্রয়োজন নেই৷
ব্যভিচারে ভরপুর দেশে হুট করে মুতা বন্ধের শিক্ষা ইসলাম দেয় নি৷
চোরের দেশে হুট করে হাত কাটার শিক্ষা ইসলাম দেয় নি৷
পরিস্থিতি বুঝেই মানুষের কল্যানেই ধর্মের পথে অগ্রসর হতে হয়৷
এক চেটিয়া মহিলাদের উপর বিবাহ কঠিন করিয়া পুরুষের জন্যে সহজ করার উমর রাঃ কর্তৃক আইনটি বাস্তবসম্মত নয়৷
যেহেতু মহিলারা বিয়ে করতে পারবে না৷ সেহেতু পুরুষদের বহুবিবাহকে তারা খারাপই জানবে৷
কিন্তু মুতাবিবাহের কারনে মহিলারাও ইচ্ছামতো বিয়ের স্বাধীনতা পাবে৷ তখন আর তারা বহুবিবাহকে ঘৃনা করবে না৷
বিস্তারিত জানতেঃ
https://m.facebook.com/notes/nur-hosain-majidi/অস্থায়ী-বিবাহ-প্রসঙ্গে/368946403268899/
লিংকের যে কথাগুলি ভালো লাগছেঃ
ইসলাম মানুষের যৌন প্রয়োজন অবদমন সমর্থন করে না৷ (নুরঃ৩২)
বহুবিবাহে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে৷ কিন্তু বর্তমানে এ বহুবিবাহকে সবাই অপছন্দ করে৷ বিশেষ করে অনেক নারী স্বামীর অন্য নারীর সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্ক করতে রাজি হলেও সতীন সহ্য করতে রাজি নয়৷ অস্থায়ী বিবাহ তাদের প্রয়োজন পূরন করে সমাজে শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে পারে৷