কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মেয়েকে প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত বখাটেরা হামলা চালিয়ে মেয়ের বাবা-মাসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের ফুলের নাওড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ফুলের নাওড়ি গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আবু বক্করের করা অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের নুরু মিয়া, মিনহাজ মাহমুদ, মো. লিটন, শাওন, হাছানসহ চিহ্নিত কয়েকজন বখাটে তাঁর বাড়ির সামনে স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসাকালে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বখাটেদের উৎপাতে আবু বক্করের মেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। একপর্যায়ে বখাটেরা আবু বক্করের বাড়িতে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করাসহ অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে।
বিষয়টি বখাটেদের অভিভাবকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণের চেষ্টা চালায়। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটেরা পিটিয়ে মেয়েটির বাবা আবু বক্কর, মা রহিমা বেগমকে আহত ও লাঞ্ছিত করে। বখাটেরা রাত নয়টায় আবার ওই মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটেরা এলাকাবাসীর ওপরও হামলা চালায়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই গ্রামের সৌরভ, আবদুল আউয়াল ও সালাহ উদ্দিন আহত হন। আহত সৌরভকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে গুণবতী ইউপির মহিলা সদস্য ফুলের নাওড়ি গ্রামের ফিরোজা বেগম, সাবেক সদস্য মকবুল আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ওই ছেলেদের মা-বাবাকে তাঁদের সন্তানদের শাসনসহ আবু বক্করের মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য বলেছিলাম। ওই ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়।’ চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-------------------- প্রথম আলো ------------------------

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




