১০ই আগষ্ট সকাল ৭.৪০মিঃ, বিশ্ববিদ্যালয়ের(BIFT) উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলাম। ক্লাস শুরু সকাল ৯.০০টায়। জানি ১ ঘন্টার মধ্যে যেতে পারবনা, তারপর ও ট্রেন এর কথা চিন্তা করে সোজা সাইন বোর্ড বাস কাউন্টার...লাইন ধরে উঠলাম অনাবিল সুপার। সময় তখন ৮.৩৮মিঃ মুঘদা আসলাম। বাস এর চেয়ে ট্রেন আগে যাবে এ জন্ন্য তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমে ওভার ব্রিজ পার হয়ে পৌছালাম স্বপ্নের কমলাপুর স্টেশন।
তখন প্রায় ৮.৪৪মিঃ। গ্যাট মেনকে ট্রেন এর সময় জানতে চাওয়ার সাথে সাথে এক আচমকা বিরক্তি ভাব। কাউনটারেও একই ভাব। নিরুপায় হয়ে আজানা এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ট্রেনের সময় জানা। আগের রাতে রেলওয়ের ওয়েব থেকে জেনে ছিলাম কিশোরগঞ্জগামি ট্রেন ৮.০৫মিঃ ছাড়ে। কিন্তু দেরি হওয়ার কারনে সেটা মিস। যাই হোক...... বলাকার টিকিট কাটলাম...এয়ারপোর্ট পর্যন্ত, ভাড়া ১৫টাকা। ট্রেন ছাড়বে ৯.৩০মিঃ। ৩নং প্লাটফর্মে ঢুকে দেখি আর একটা কিশোরগঞ্জগামি ট্রেন বসে আছে। হায় একেই বলে ভাগ্য। কেও চাইলে পায় না...আর আমি না চাইতেই। তার মানে আজ কিশোরগঞ্জগামি ট্রেন ২টা। কি মজা!!! ট্রেন এর পরিচালকের কাছে জানতে চাইলাম আজ কিশোরগঞ্জগামি ট্রেন ২টা কেন? উনার উত্তর শুনেতো আমি অবাক......৮.০৫মিঃ এর ট্রেন ই এখন ছাড়ে নি। যাই হক অপেক্ষা কখন ছাড়বে। ইতিমধ্যে ৯.৩০মিঃ বেজে গেছে। না ট্রেন ত ছাড়ে না। অবশেষে ৯.৫৫মি এ কিশোরগঞ্জগামি ট্রেন এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করল। পথিমধ্যে কয়েকবার ট্রেন এর গতি কমানো হল এবং ১০.২৬মিঃ এ পৌছালো আমার গন্তব্য এয়ারপোর্ট স্টেশন। ক্লাস শেষ.........
নামতে নামতে ভাবলাম......শেষ পর্যন্ত যে ট্রেন ছেড়েছে এটাই তো অনেক বেশি।
পত্রিকা,টিভি তে এত শুনতাম...ট্রেন এর ব্যাপক উন্ন্যয়ন...এই কি তার প্রতিচ্ছবি??
যদি তাই হয়! তবে বাহবা...এই না মোরা সোনার দেশের, সোনার স্বপ্নের Digital বাংলাদেশ!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




