somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্টেপ পেরেন্টস

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পঁাচ
স্টেপ পেরেন্টস

কিছুদিন পর । উজ্জল ,সোনালীকে নিয়ে গিয়েছিল লিলির বাড়িতে। পিরোজপুরে।
ফসলি জমি। ভিটে মাটি আম,জাম,কাঠাঁল,নারিকেল সুপারির বাগান।দেখছিল চোখ মেলে।হিসাব মিলছিল না।এত সম্পত্তি।
চতুর সোনালী, প্রতিবেশীদের সাথে পরিচিত হচ্ছিল।
খুব হিসাব করে কথা বলতো। যাতে তারা বুঝতে না পারে তার উদ্দেশ্য।
উজ্জল কিছু বলতে গেলে সোনালী চতুর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিল।
‘আমরা সবার ভাল চাই।কেউ আমার পর নয়।আমি তো আমার জন্য কিছু করছি না।সব তোমার ছেলে-মেয়েদের জন্য।ওরা তো আমাদের সন্তান।আমরা তো ওদের ভালবাসি।’

ভালবাসা, সে কি। আজও জানে না পল্লব,পাশা,পল্লল,পিউ আর পলি। ভালবাসা মারা গেছে। অনেক আগে। বেঁচে আছি আমরা।বাচার জন্য। জন্ম আজন্ম পাপ ।
কালার মা সে এক আজব ভবিষ্যৎ দাতা। তার মুখের কথা একে একে ফলে যাচ্ছিল। সে,সোনালী কে নিয়ে যা ভেবেছিল তাই হচ্ছিল।
উজ্জলের চুলে পাক ধরেছিল।
বুঝতো।কিন্তু সমাধান পায়নি।
চাকরী থেকে অবসর নিয়েছিল। ঘরে থাকে বেশীর ভাগ সময়।
সোনলীর যত্মের শেষ ছিল না।
সময় পেলে উজ্জলকে তার ষড়যন্ত্রের কথা বলতো বুদ্ধিমত্তার সাথে।
উজ্জল,সোনালীকে বুঝাতো ,‘সব আমাদের সন্তান কেউ পর নয়।’
‘পর বলেছে কে?’ রাগন্বিত হয়ে প্রস্থান সোনালীর।

দু’সপ্তাহ পর হঠাৎ সকালে সোনালী উজ্জলকে নিয়ে চলে গেলো পিরোজপুরে। লিলির সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করবে বলে। সোনালী এলাকার প্রতিবেশীদেরকে তার বিপদের মিথ্যা কথা সাজিয়ে বলল। দলিল জাল করল। নিজে লিলি সেজে সব নকল করেছিল।সব জমি ভিটে-মাটি বেচে দিল সেদিন।

রাতের আঁধারে আবার বাড়ি চলে আসলো ওরা ।কাক-পক্ষীও খবর পায় নাই। লিলির ছেলে-মেয়েরা তো জানে না কিছুই। এরা কোন খোঁজ খবরও রাখতো না। পাছে আলোচনা হবে। লোকে জানবে। চতুর সোনালী উজ্জলকে পরামর্শ দিল ভাড়া বাড়ী ছেড়ে দিতে।
‘চল দেশের বাড়ী যাই গোপালপুরে।
সেখানে জমি কিনবো। বাড়ি করব।’
প্রতিবেশী কালার মা,কালা ও বাড়ীওয়ালা তো সব জানতো। লিলির মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তির কথা। তাদের নিজ চোখে দেখাছিল সে সম্পত্তি।
বাড়ীওয়ালা। কত ভাড়াটে এলোগেলো। তার হাড় পেকে গেছিল। দেহের হাড়গুলো টন টন করতো,শিরাগুলো মনে হচ্ছিল জোকের মতো লম্বা হয়ে শুকনা হাড় বেয়ে শুয়েছিল। দেহের শুকনা চামড়া দেখাচ্ছিল দেঁয়ালে চিপটানো পাতলা কাগজের মতো গায়ে লেগে আছে।
সোনালী বাড়ীওয়ালার মন জয় করে রাখছিল। তার কথায় বাড়ীওয়ালা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিল। লিলির ছেলেদের দিকে তার নজর ছিল। সোনালীকে কিছু বলতো না।
উজ্জলকে একদিন ডেকে বলেছিল,‘লিলির ছেলেগুলো বাড়ি ছাড়া। তোমার কি কোন দায়িত্ব নাই,উজ্জল। তুমি তো ওদের বাবা। খেয়াল রাখ।
সব কিছু অন্যের হাতে ছেড়ে দিতে নাই।
যত্ম নিতে হয় নিজের সন্তানদের। ’
উত্তর দিতো না, উজ্জল।
নিজের ভুল বুঝতো।
পানি অনেক দূর গড়িয়েছিল।
উজ্জলের বাড়ীওয়ালা মাসের ভাড়া পেলে ঠান্ডা।সোনালী প্রতিমাসে সময়মত ভাড়া দিতো। সোনালী বুঝতো কে কিসে ঠান্ডা হয়। বাড়ীওয়ালাকে এক মাসের ভাড়া অগ্রীম দিয়ে যেতো। বাড়ীওয়ালার মুখ থেকে কথা বের হতো না।

বাড়িওয়ালা কবিরাজ।গাছ-গাছালী,লতা-পাতা,ডাল-বাকল-শিকড় এসব নিয়ে তার জীবন কাটতো। বন-জঙ্গল ঘুরে বেড়ানো তার স্বভাব ছিল। লতা-পাতা,ডাল-বাকল-শিকড় সেচে রস বের করে রোগীদের পথ্য দিতো সে। চোখ-নাক বন্ধ করে তেঁতো রস যে একবার খায় সে কোনদিন কবিরাজকে ভুলতো না। আরো মহাঔষধ ছিল,তার কাছে।শিকড় ভরা তাবিজ, সোনা-রূপার জলও ছিল। রোগ তার নাম শুনলে দৌড়ে পালাতো। তার কথায় জোর ছিলো। হাড্ডিসাড় একটা দেহ। সারাদিন বকবক করতো স্থির ছিল না। গ্রামের লোকেরা তাকে কবিরাজ বলে ডাকতো। দূর দূর গ্রাম থেকে তার সংবাদ আসতো। কেউ ঔষধ নিতে এলে ‘বন-জঙ্গল নাই গো।ঔষুধ দেবো কেমনে?’ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতো কবিরাজ।

সোনালীর ভয় হতো। কবে কে কি বলে। সোনালী আর থাকতে চায় না এখানে। সে তো দোষী। ঘোর অন্যায়কারী।
লিলির সন্তানদের সম্পত্তি সে বেচেছিল।
কালার মা ও বাড়ীওয়ালার সামনে চোখ উঠিয়ে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করতো।
মাথা নিচু করে চলতো।
তার মন স্থির ছিল না এ বাড়ীতে।
সে ঠকিয়েছিল,অন্যায় করেছিল লিলির সন্তানদের সাথে।
লিলির সন্তানরা আজ ভবঘুরে। রাস্তায় রাস্তায় থাকে। অবহেলায় দিন কাটে।

উজ্জলের নীরবতাই তার সম্মতির লক্ষণ ছিল। সোনালীর পথকে প্রশস্ত করেছিল।

সোনালী আরেক খেলায় মত্ত ছিল। ছেলেদের না জানিয়ে ভোর রাতে উজ্জল ও তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছিল।
গোপালপুরে নতুন বাড়িতে।
সোনালী, বাবার বাড়ীর পাশে একফালি জমি কিনেছিল।
সে’খানে ঘর তোলে।

কাকন বিদেশে থাকতো। মাঝে মাঝে দেশে আসতো।
কিছুদিন পর চলে যেত। কথা হতো সোনালীর সাথে।
পুরানো ভালোবাসা,ভুলতে পারে না।প্রথম জীবনের প্রথম প্রেম ভোলাও যায় না।স্মৃতির পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সকালের সূর্য্য উঠার সাথে সাথে হীরার খন্ডের মতো জলজল করতে থাকে তেমনি কাকনকে দেখার সাথে সাথে মনের ভিতরে বিদ্যুৎ বয়ে চলে দেহমনে সোনালীর চেহারা উজ্জল হয়ে চমকাচ্ছিল শিশির বিন্দুর মতো।তারা একে অপরকে অনেক ভালোবাসতো। ভালোবাসার সমুদ্রের গভীরতা নেই। শুধু ঢেউ আর ঢেউ,কূল নাই কিনারা নাই। হারিয়ে যেতো ঢেউয়ে ঢেউয়ে। উথাল-পাথাল করা তরঙ্গে।নারী আর নদী এক।নারী নদীর মতো।নদী যদি তার সীমার মধ্যে থাকে তো ভালো আর যদি সীমানা পার করে যায় গ্রামের পর গ্রাম গ্রাস করে ফেলে এক পলকে।

লিলির ছেলে পাশা,পল্লল ও পল্লব উত্তর খুঁজে পায় নাই সেদিন। কি হতে কি হল। মাস পার হয়ে বছর গেলো কোন খবর নাই বাবা-মায়ের।

মায়ের প্রতি কালার অনেক ভালোবাসা। মা যা বলে তাই শিরোধার্য কালার।কাক ডাকা ভোরে মা কালাকে ডেকে উঠাতো প্রতিদিন।ভোর হলেই ন্যাংট্যা কালা কাউয়্যা বড়ই গাছের ডালে বসে ডাকা ডাকিতে মেতে উঠতো।কালা মনে মনে ভাবতো,‘কাউয়্যাডা আমাকে প্রতিদিন ভোরে ডাকে হয়তো।’কাউয়্যার প্রতি তার মায়া জন্মেছিল।প্রতিদিন ভোরে ডাকাডাকি করে।কালা টিনের বাক্সে থাকা কিছু মুড়ি হাতের মুষ্টিতে করে এনে ‘কা কা করে ডাকে’ কাউয়্যাকে খেতে দিতো।কাউয়্যা খাবার পেয়ে তবেই ডাকা ডাকি বন্ধ করতো।হাতে একখানা ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাজারে গেলো সে।
মা ছাড়া আর কেউ ছিল না তার এ দুঁনিয়ায়। মা তার সব। মা যা বলতো তাই অমৃত। ব্যবসা আর মা ছাড়া কিছুই বুঝতো না কালা। মা তার দিকনির্দেশক ও উপদেষ্টা। এতো কম বয়সে পাকা ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছিল সে তার মায়ের গুণে।


কিছুদিন পর । উজ্জল ,সোনালীকে নিয়ে গিয়েছিল লিলির বাড়িতে। পিরোজপুরে।
ফসলি জমি। ভিটে মাটি আম,জাম,কাঠাঁল,নারিকেল সুপারির বাগান।দেখছিল চোখ মেলে।হিসাব মিলছিল না।এত সম্পত্তি।
চতুর সোনালী, প্রতিবেশীদের সাথে পরিচিত হচ্ছিল।
খুব হিসাব করে কথা বলতো। যাতে তারা বুঝতে না পারে তার উদ্দেশ্য।
উজ্জল কিছু বলতে গেলে সোনালী চতুর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিল।
‘আমরা সবার ভাল চাই।কেউ আমার পর নয়।আমি তো আমার জন্য কিছু করছি না।সব তোমার ছেলে-মেয়েদের জন্য।ওরা তো আমাদের সন্তান।আমরা তো ওদের ভালবাসি।’

ভালবাসা, সে কি। আজও জানে না পল্লব,পাশা,পল্লল,পিউ আর পলি। ভালবাসা মারা গেছে। অনেক আগে। বেঁচে আছি আমরা।বাচার জন্য। জন্ম আজন্ম পাপ ।
কালার মা সে এক আজব ভবিষ্যৎ দাতা। তার মুখের কথা একে একে ফলে যাচ্ছিল। সে,সোনালী কে নিয়ে যা ভেবেছিল তাই হচ্ছিল।
উজ্জলের চুলে পাক ধরেছিল।
বুঝতো।কিন্তু সমাধান পায়নি।
চাকরী থেকে অবসর নিয়েছিল। ঘরে থাকে বেশীর ভাগ সময়।
সোনলীর যত্মের শেষ ছিল না।
সময় পেলে উজ্জলকে তার ষড়যন্ত্রের কথা বলতো বুদ্ধিমত্তার সাথে।
উজ্জল,সোনালীকে বুঝাতো ,‘সব আমাদের সন্তান কেউ পর নয়।’
‘পর বলেছে কে?’ রাগন্বিত হয়ে প্রস্থান সোনালীর।

দু’সপ্তাহ পর হঠাৎ সকালে সোনালী উজ্জলকে নিয়ে চলে গেলো পিরোজপুরে। লিলির সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করবে বলে। সোনালী এলাকার প্রতিবেশীদেরকে তার বিপদের মিথ্যা কথা সাজিয়ে বলল। দলিল জাল করল। নিজে লিলি সেজে সব নকল করেছিল।সব জমি ভিটে-মাটি বেচে দিল সেদিন।

রাতের আঁধারে আবার বাড়ি চলে আসলো ওরা ।কাক-পক্ষীও খবর পায় নাই। লিলির ছেলে-মেয়েরা তো জানে না কিছুই। এরা কোন খোঁজ খবরও রাখতো না। পাছে আলোচনা হবে। লোকে জানবে। চতুর সোনালী উজ্জলকে পরামর্শ দিল ভাড়া বাড়ী ছেড়ে দিতে।
‘চল দেশের বাড়ী যাই গোপালপুরে।
সেখানে জমি কিনবো। বাড়ি করব।’
প্রতিবেশী কালার মা,কালা ও বাড়ীওয়ালা তো সব জানতো। লিলির মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তির কথা। তাদের নিজ চোখে দেখাছিল সে সম্পত্তি।
বাড়ীওয়ালা। কত ভাড়াটে এলোগেলো। তার হাড় পেকে গেছিল। দেহের হাড়গুলো টন টন করতো,শিরাগুলো মনে হচ্ছিল জোকের মতো লম্বা হয়ে শুকনা হাড় বেয়ে শুয়েছিল। দেহের শুকনা চামড়া দেখাচ্ছিল দেঁয়ালে চিপটানো পাতলা কাগজের মতো গায়ে লেগে আছে।
সোনালী বাড়ীওয়ালার মন জয় করে রাখছিল। তার কথায় বাড়ীওয়ালা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিল। লিলির ছেলেদের দিকে তার নজর ছিল। সোনালীকে কিছু বলতো না।
উজ্জলকে একদিন ডেকে বলেছিল,‘লিলির ছেলেগুলো বাড়ি ছাড়া। তোমার কি কোন দায়িত্ব নাই,উজ্জল। তুমি তো ওদের বাবা। খেয়াল রাখ।
সব কিছু অন্যের হাতে ছেড়ে দিতে নাই।
যত্ম নিতে হয় নিজের সন্তানদের। ’
উত্তর দিতো না, উজ্জল।
নিজের ভুল বুঝতো।
পানি অনেক দূর গড়িয়েছিল।
উজ্জলের বাড়ীওয়ালা মাসের ভাড়া পেলে ঠান্ডা।সোনালী প্রতিমাসে সময়মত ভাড়া দিতো। সোনালী বুঝতো কে কিসে ঠান্ডা হয়। বাড়ীওয়ালাকে এক মাসের ভাড়া অগ্রীম দিয়ে যেতো। বাড়ীওয়ালার মুখ থেকে কথা বের হতো না।

বাড়িওয়ালা কবিরাজ।গাছ-গাছালী,লতা-পাতা,ডাল-বাকল-শিকড় এসব নিয়ে তার জীবন কাটতো। বন-জঙ্গল ঘুরে বেড়ানো তার স্বভাব ছিল। লতা-পাতা,ডাল-বাকল-শিকড় সেচে রস বের করে রোগীদের পথ্য দিতো সে। চোখ-নাক বন্ধ করে তেঁতো রস যে একবার খায় সে কোনদিন কবিরাজকে ভুলতো না। আরো মহাঔষধ ছিল,তার কাছে।শিকড় ভরা তাবিজ, সোনা-রূপার জলও ছিল। রোগ তার নাম শুনলে দৌড়ে পালাতো। তার কথায় জোর ছিলো। হাড্ডিসাড় একটা দেহ। সারাদিন বকবক করতো স্থির ছিল না। গ্রামের লোকেরা তাকে কবিরাজ বলে ডাকতো। দূর দূর গ্রাম থেকে তার সংবাদ আসতো। কেউ ঔষধ নিতে এলে ‘বন-জঙ্গল নাই গো।ঔষুধ দেবো কেমনে?’ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতো কবিরাজ।

সোনালীর ভয় হতো। কবে কে কি বলে। সোনালী আর থাকতে চায় না এখানে। সে তো দোষী। ঘোর অন্যায়কারী।
লিলির সন্তানদের সম্পত্তি সে বেচেছিল।
কালার মা ও বাড়ীওয়ালার সামনে চোখ উঠিয়ে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করতো।
মাথা নিচু করে চলতো।
তার মন স্থির ছিল না এ বাড়ীতে।
সে ঠকিয়েছিল,অন্যায় করেছিল লিলির সন্তানদের সাথে।
লিলির সন্তানরা আজ ভবঘুরে। রাস্তায় রাস্তায় থাকে। অবহেলায় দিন কাটে।

উজ্জলের নীরবতাই তার সম্মতির লক্ষণ ছিল। সোনালীর পথকে প্রশস্ত করেছিল।

সোনালী আরেক খেলায় মত্ত ছিল। ছেলেদের না জানিয়ে ভোর রাতে উজ্জল ও তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছিল।
গোপালপুরে নতুন বাড়িতে।
সোনালী, বাবার বাড়ীর পাশে একফালি জমি কিনেছিল।
সে’খানে ঘর তোলে।

কাকন বিদেশে থাকতো। মাঝে মাঝে দেশে আসতো।
কিছুদিন পর চলে যেত। কথা হতো সোনালীর সাথে।
পুরানো ভালোবাসা,ভুলতে পারে না।প্রথম জীবনের প্রথম প্রেম ভোলাও যায় না।স্মৃতির পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সকালের সূর্য্য উঠার সাথে সাথে হীরার খন্ডের মতো জলজল করতে থাকে তেমনি কাকনকে দেখার সাথে সাথে মনের ভিতরে বিদ্যুৎ বয়ে চলে দেহমনে সোনালীর চেহারা উজ্জল হয়ে চমকাচ্ছিল শিশির বিন্দুর মতো।তারা একে অপরকে অনেক ভালোবাসতো। ভালোবাসার সমুদ্রের গভীরতা নেই। শুধু ঢেউ আর ঢেউ,কূল নাই কিনারা নাই। হারিয়ে যেতো ঢেউয়ে ঢেউয়ে। উথাল-পাথাল করা তরঙ্গে।নারী আর নদী এক।নারী নদীর মতো।নদী যদি তার সীমার মধ্যে থাকে তো ভালো আর যদি সীমানা পার করে যায় গ্রামের পর গ্রাম গ্রাস করে ফেলে এক পলকে।

লিলির ছেলে পাশা,পল্লল ও পল্লব উত্তর খুঁজে পায় নাই সেদিন। কি হতে কি হল। মাস পার হয়ে বছর গেলো কোন খবর নাই বাবা-মায়ের।

মায়ের প্রতি কালার অনেক ভালোবাসা। মা যা বলে তাই শিরোধার্য কালার।কাক ডাকা ভোরে মা কালাকে ডেকে উঠাতো প্রতিদিন।ভোর হলেই ন্যাংট্যা কালা কাউয়্যা বড়ই গাছের ডালে বসে ডাকা ডাকিতে মেতে উঠতো।কালা মনে মনে ভাবতো,‘কাউয়্যাডা আমাকে প্রতিদিন ভোরে ডাকে হয়তো।’কাউয়্যার প্রতি তার মায়া জন্মেছিল।প্রতিদিন ভোরে ডাকাডাকি করে।কালা টিনের বাক্সে থাকা কিছু মুড়ি হাতের মুষ্টিতে করে এনে ‘কা কা করে ডাকে’ কাউয়্যাকে খেতে দিতো।কাউয়্যা খাবার পেয়ে তবেই ডাকা ডাকি বন্ধ করতো।হাতে একখানা ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাজারে গেলো সে।
মা ছাড়া আর কেউ ছিল না তার এ দুঁনিয়ায়। মা তার সব। মা যা বলতো তাই অমৃত। ব্যবসা আর মা ছাড়া কিছুই বুঝতো না কালা। মা তার দিকনির্দেশক ও উপদেষ্টা। এতো কম বয়সে পাকা ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছিল সে তার মায়ের গুণে।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×