somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক সালমান জাবেদ
তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

এ কেমন নির্যাতন

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৮হাজার মখলুকাতের মধে্য মানুষ হচ্ছে সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষ অর্থাৎ যাদের জ্ঞান,বুদ্ধি,বিবেক,ন্যায়,অন্যায় বুঝার ক্ষমতা আছে তাকে বলে মানুষ। আমাদের আশে-পাশে নানা রকম জীব-জন্তু,পশু-পাখি দেখতে পাই। এসব এর মধ্যে মানুষের পার্থক্য আছে বলেই মানুষের মযর্দা পৃথীবিতে ও পরকালে।অতএব আমি যে বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি,সে বিষয়ে সরাসরি চলে যাই,সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্টেশনের একটি দোকানঘরের বারান্দার খুঁটিতে বেঁধে রাখে মারধর করে একটি ১৩ বছরের শিশুর মৃতু্য সম্পর্কে।
এঘটনার বাংলাদেশের সব ধরনের মিডিয়া জগত তোলপার, বিভিন্ন পত্রিকার বরাত দিয়ে বিষয় টি উপস্থাপন করছি এবং সাথে ধিক্কার জানাচ্ছি সেই পশুদের যারা এই কাজটি করেছে।১৩ বছরেরর একটা শিশু। শিশুটিকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেদম প্রহার করছে ৪ যুবক। যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদছে শিশুটি। শিশুটির নাম রাজন।রাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে নাকি চুরি করতে গিয়েছিলো। এই তুচ্ছ অভিযোগে বিভৎস নির্যাতন চালিয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।একনাগাড়ে প্রায় ১৬ মিনিট রাজনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রোল দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে মাটিতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে পানি খাওয়ার আকুতি জানায় রাজন। কিন্তু পানির বদলে ‘ঘাম খা’ বলে মাটিতে ফেলে রাখা হয় তাকে।

শিশুটিকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এবং এতে দেখা যাচ্ছে যে অসহায় শিশুটি কাতর ভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি করছে কিন্তু এই চার নরপশুর কিছুতেই মন গলেছে না।

তাই তো ইতিহাসের পাতা উল্টাতে চলে গেলাম, সেই আরবের বরর্বর যুগে, যেখানে কন্যা শিশু জন্ম নিলে জীবন্ত কবর দেয়া হত।বিনা বিচারে হত্যা করা হত,মানুষের মুল্যবোধ ছিলো না মানুষের মাঝে।কিন্তু এখন আমরা সভ্যতার জগতে আর এই সত্য সমাজে অসভ্য কাজ দেখে মনে হয় এখনো হাজার বছর পিছনে পরে আছি,পরে আছি আমরা বাঙালী,আমরা কি এখনো সভ্য জগৎ এ আসতে পারনি।উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় একটা পাখি মারলে তারও হিসেব দিতে হয়,একটা পাখি মারলেও কঠিন সাজার বিধি বিধান আছে।

আজ মানবতার চরম অপমান করা হয়েছে,এভাবে আর কত কি হচ্ছে তার কতই বা হিসেব আছে আমাদের কাছে,পত্রিকার পাতা উল্টালে প্রতিদিন কত কি যে দেখতে পাই তার হিসাব রাখার জন্য একটি supper computer এর দরকার হবে। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোন রাজন না মরে,রাজন হত্যার সুষ্ট বিচার চাই ?এটাই আশা করি সরকারে কাছে।

পরিশেষে এটাই বলতে চাই সমাজের এই ব্যাধি দুর করতে আমাদের প্রতিটি মানুষ সচেতন হতে হবে,তাহলে আমরা পৌঁছব সভ্যতার দুনিয়াতে।












সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×