TAREQ SALMAN JABED
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বতর্মানে ধীরে ধীরে একদল কেন্দ্রিক হয়ে পরছে,আজ বহু দলীয় গনতন্ত্র বিলীন হওয়ার পথে,গনতন্ত্র নামক শব্দের ব্যবহারটি শুধু থাকছে কাগজে কলমে কিন্তু গনতন্ত্র বলে কিছুই থাকছে না অশিষ্ট,জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে আজ আমাদের স্বাধীনতার জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা,উনাকে নাকি গনতন্ত্রের মানস কন্যা বলা হয়,ঐ সব শুধু মুখে বলা হয় নাকি লোক দেখানোর কাজে ব্যবহৃত হয়,তা আমার মত আম জনতা ভালোই করে জানে,আমরা/আমাদের দেশের অনেকই/অনেক রাজনৈতিবিধ গনতন্ত্রের সংঙ্গা জানেন কি?অমুক-তমুক সাবাই আজ নেতা,পাতিনেতা/উপনেতা আর গনতন্ত্রের রাজা/ মন্ত্রী!সেদিকে যেতে চাই না-গনতন্ত্র থাকুক বা নাই থাকুক তাতে আমাদের মাথার ব্যথার কারন নেই,আমরা চাই শান্তি আমরা চাই নিরাপদ জীবন,
আমাদের জীবনের মুলকথা হল:-সকালে ঘুম থেকে উঠে মাঠে,ঘাটে,অফিস-আদালত,শহর-বন্দর,ব্যবসা-বানিজ্য,ও যাতায়াতের জন্য সুব্যবস্থা ও রাতে মাথা গুজার জন্য নিরাপদ বাসস্থান। আমরা তা পেলেই সুখি।দেশ বলি/রাজ্যই বলি যাই বলি না কেন,প্রজারা চায় সুখ শন্তি,সুখে-শান্তিতে থাকলে প্রজার রাজার প্রতি অনুগত প্রকাশ করে,রাজার দীর্ঘ আয়ু কামনা করে নতুবা রাজার মৃতু্য অথবা পরিবর্তনের অপেক্ষায় থাকে।আর যখন কোন রাজা অত্যাচারি হয়ে উঠে তখন প্রাজা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বিদ্রোহ করে -ইতিহাস খুঁজলে তার হাজার ও প্রমান আছে।আমাদের অবস্থা আজ কি রকম,আমরা কি ভাবে জীবন যাপন করছি,তা আমার চাইতে বেশি আপনারাই জানেন।
আমরা বাঙালি আমাদের শরীরে প্রভাহিত হচ্ছে বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস,আমরা অন্যায় অত্যাচারের কাছে মাথানত করতে জানিনা,আমরা যুদ্ধ করতে জানি,ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ৭১ মুক্তি যুদ্ধ করেছি কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী জীবন চাই নি,তবে আজ কেন আমরা অত্যাচার সহ্য করবো। আওয়ামীলিগকে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের দল বলা হয়,
হ্যাঁ আওয়ামীলিগ মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের দল,কিন্তু আজ আওয়ামীলিগ মুক্তি যুদ্ধের অর্থাৎ মুক্তি যুদ্ধ যে কারনে করেছি আমাদের পূর্বপুরুষেরা তা কি বাস্তবায়ন করছে,এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে কতটুকু বাস্তবায়িত তা আমি আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম,আপনারাই বলেন দেশে কি বাস্তবায়ন হচ্ছে আর কি হচ্ছে না। নীজের দেখা মতো একমাত্র যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে,আমরা চাই যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হোক এ ব্যাপারে আমি কেন আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক আমার সাথে এক মত। কিন্তু বাকি সব --....?কিছুই হচ্ছে না,আওয়ামীলিগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ,ছাত্রলীগ আজ তাদের আদর্শ থেকে বিমুখ!কিন্তু কেন?অধিকাংশ বিতর্কের জন্ম দেয় ছাত্রলীগ,একরাম হত্যা থেকে শুরু করে যত রকমের বিতর্কিত ঘটনার জন্ম হয়েছে তা করেছে ছাত্রলীগ অথবা যুবলীগ,পরিসংখানের হিসেব মতে ছাত্রলীগই বেশি,কিন্তু এসব কেন প্রধান মন্ত্রী ও মন্ত্রীদের চোখে পড়ছে না,না কি তারা ছাত্রলীগের লাগাম টানতে অক্ষম। আজকের ছাত্রলীগের কর্মকান্ড টি তুলে ধরলাম:-ছাত্রলীগের গুলি থেকে রক্ষা পায়নি মায়ের গর্ভে থাকা এক মেয়ে শিশু। মা-মেয়ে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের বিবদমান দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ এবং ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনের এক কর্মীকে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে জখম করেছে। জেলা সদর হাসপাতালে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারের পর নাজমা খাতুন (৩৫) নামের ওই গৃহবধূ একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। তবে ওই গৃহবধূ ও নবজাতক দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শফিউর রহমান বলেন, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর তলপেটে বিদ্ধ হওয়া বুলেটটি গর্ভে থাকা মেয়ে শিশুকে ভেদ করে মায়ের মাংশপেশির ভেতর ছিল। বুলেটটি শিশুটির বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত করে। শিশুটি শ্বাসকষ্টে ভুগছে। মেয়ে এবং মা দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দোয়ারপাড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকার দলীয় এই ছাত্র সংগঠনের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষও হয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ভুঁইয়া। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটির সাবেক কর্মী আজিব্বর শেখ ও মুহম্মদ আলী। দুই পক্ষই প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের অনুসারী। কামরুল ভুঁইয়ার সমর্থক আলমগীর হোসেনকে (২৮) গত বুধবার কুপিয়ে জখম করার জের ধরে আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কামরুল ভুঁইয়ার সমর্থকেরা আজিব্বরের মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিব্বর শেখ ও মুহম্মদ আলীর সমর্থকেরা কামরুল ভুঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভুঁইয়ার নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা খাতুন (৩৫) গুলিবিদ্ধ এবং চাচা মমিন ভুঁইয়া (৬৫) বোমার আঘাতে আহত হন। এ ছাড়া হামলাকারীরা মিরাজ শেখ (২৭) নামে কামরুলের এক সমর্থককেও কুপিয়ে জখম করেন। এই হলো ছাত্রীগের কাজ। মানুষ ছাত্রলীগের কাজ কর্মে অতিষ্ট। যদি সরকার ছাত্রলীগের লাগাম না টানে তাহলে মনে হয় দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।