somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক সালমান জাবেদ
তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

শব্দ দ্বয়ের ব্যবহারিক ব্যাখ্যা:বাল শব্দের অর্থ চুল, পশম বা কেশ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চ্যাটের বাল এটি একটি বাগধারা,এই বাগধারাটি আমার নয়,প্রিয় পাঠক এই সুন্দর বাগধারাটি আবিষ্কার হয়েছে নব্বই'র দশকের স্বৈরচার বিরোধী ছাত্রসমাজ।আর তা এই বর্তমান আওয়ামীলিগ সরকারের আমলে আজ আবার শুনতে হচ্ছে আমার ছাত্রসমাজের মুখ থেকে।

চ্যাট শব্দের অর্থ পুরুষাঙ্গ। বাল শব্দের অর্থ চুল, পশম বা কেশ। শব্দ দুটি চিকিৎসাশাস্ত্র, ফেকাহশাস্ত্র ও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বহুল ব্যবহৃত।

শব্দ দ্বয়ের ব্যবহারিক ব্যাখ্যা: মাত্রাতিরিক্ত পশম স্বাস্থ্যনাশক। তাই উপড়ে ফেলা আবশ্যক। পুলিশের আচরণও তাদের কাছে মাত্রাতিরিক্ত মনে হওয়ায় পশমের মতো তাদেরকে পরিত্যাগ করার মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে শক্তিশালী এই "চ্যাটের বাল" বাগধারাটি প্রয়োগ করেছে।

এই শব্দ টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র/ছাত্রীদের মুখ থেক বের হওয়ার জন্য আমাদের সমাজের মুখোশে আছন্ন ভদ্র লোকেরা লজ্জ্বায় মরি মরি অবস্থা । আর যখন তসলিমা নাসরিন,হুমায়ুন আজাদের মতো নামী লেখক/কবিরা তাদের বইয়ের পৃষ্টায় পৃষ্টায় এর চেয়ও অশ্লীল ভাষায় বই লেখে তখন তাই হয় কবিতা/গল্প -শিল্পকর্ম।আর তাদের শিল্পকর্ম আমাদের দেশের ছোট বড় সবার হাতে হাতে ছড়িয়ে দেয়া হয়,আর আমাদের স্যার জাফর ইকবাল সাহেব তো আছেনই একেকটা ব্যতিক্রম ধর্মী শিল্পকর্ম নিয়ে উদাহরণ হিসেবে জাফর ইকবাল স্যারের সমাজে অশান্তির জন্য বিগত কয়েক মাস পূর্বের প্রকাশিত বই ভুতের বাচ্ছা সোলেমান।

আজ স্যার জাফর ইকবাল সাহেব কোথায়?

সরকারে দমন-পীড়নে আর পুলিশের অতিরিক্ত অন্যায় ব্যবহারের আজ বাংলাদেশ মানুষ অতিষ্ট,এখন যেমন সরকারে সাধারণ মানুষ এক কানা-খড়ির মুল্য দিতনা যদি না তাদের পাশে এই পুলিশ না থাকত,এরং সরকার আজ পুলিশের উপর ভড় করার কারনে পুলিশ গুলা তাদের ইচ্ছে মতো যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করছে দেশের নিরীহ জনগনের উপর, ( গত ০২ /০৪/২০১৮ ইং তারিখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মতে -শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করছে বিএনপি, আসলে তার সম্পুর্ণ বিপরিত - বি এন পি ভড় করেনি কারো উপর -ভড়তো করেছেন আপনারা পুলিশের উপর)

পুলিশ দিয়ে তাদের ধাওয়া দিলেন, পেটালেন। গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুললেন। যে কিশোরীটিকে পুলিশ মোটা লাঠি দিয়ে পেটালো, তার বয়স বড়জোর ১৭ বছর। যে কিশোর বা কিশোরীর রক্তমাখা কাপড়ের জুতার ছবি ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যে পুলিশ পেটালো তারও নিশ্চয়ই এমন বয়সের একটি সন্তান আছে। যারা বা যাদের নির্দেশে পেটালো, সন্তান আছে তাদেরও।

মাথায় ব্যান্ডেজ, কলেজের সাদা পোশাকে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ, পুলিশি নিপীড়নে আহত হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছে যে কিশোর, বাস পিষে মেরে ফেলেছে তার বন্ধুকে।

তার প্রতিবাদেই সে রাস্তায় নেমে এসেছিল। বন্ধু- সহপাঠী হারিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন বিলাপ করছিলেন, মন্ত্রী তখন হাসছিলেন। ২ জন আর ৩৩ জনের তুলনা করছিলেন।

শিশু-কিশোরদের ক্ষোভের প্রতি সম্মান দেখালেন না। দেখালেন না সহানুভূতি বা সংবেদনশীলতা। হাসির পরে মন্ত্রী বললেন ‘আমি কেন ক্ষমা চাইব’। তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন একদিন পরে, গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বলার পরে।

এক দিকে দুঃখ প্রকাশ, আরেকদিকে পুলিশ দিয়ে পেটালেন। কেন মারলেন! কেন মারবেন? আর কিছু করার ছিল না? সংবিধান তো এভাবে মারার অধিকার কাউকে দেয়নি।

ক্ষোভ প্রশমনের একমাত্র পথ যে পুলিশি লাঠিপেটা নয়, আমাদের কোনো ক্ষমতার দল কেন যেন বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। যারা বিক্ষুব্ধ ছিল, পিটিয়ে তাদের আরও বিক্ষুব্ধ করে দিলেন। করে দিচ্ছেন।

হ্যাঁ, এর ফলে তারা রাস্তায় টিকতে পারবে না, ঘরে-স্কুলে-কলেজে ফিরে যেতে বাধ্য হবে। না পেটালেও তারা ফিরে যেত। তারা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসেনি। এমনকি তাদের কোনো নেতাও নেই। তাদেরকে শান্ত করার আরও অনেক পথ খোলা ছিল। মন্ত্রীরা বা দলীয় নেতারা তাদের কাছে গিয়ে কথা বলতে পারতেন। তা না করে শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিলেন।

কিন্তু কাজের কাজ হলো বিপরীত ছাত্ররা রাস্তায় নেমে গেল, রাস্তায় নেমে একদিনেই তারা দেশের চিত্র পাল্টে দিলো,ইউরোপ/আমেরিকার মতো ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ী চালাতে হলো,আর এই সময়িক সময়ে মাধ্যমে দেখা গেলো পুলিশই বেশি অবৈধ গাড়ি চালায়-গাড়ীর লাইসেন্স নাই এমন কি সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নেই,সাথে আর অনেক সরকারি আমলাদের এবং মন্ত্রী /সাংসদ আইন অমান্য করে গাড়ীচালাচ্ছেন।

রাজনৈতিক ইস্যু,এই শব্দটি এখন সরকারের একটি দাবার গুটির চাল ও যুদ্বের ঢাল হিসেবে সরাচর ব্যবহার করা হচ্ছে, যেকোন ধরনের মিছিল সমাবেশ,সমাজ কল্যানমুলক কাজের জন্য সমাবেশ,মানববন্ধন ,পথ সভা, সবকিছুই আজ রাজৈনৈতি ইস্যু হয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। “ভুতের মুখে রাম নাম শুনার মতো” এই কথাটি আমার ব্যক্তিগত নয় তা হলো আমজনতার ভাষা, আমাদের ভাষা বুঝার মতো এই সরকারে নেই, কিন্তু সামনে দিন আসছে -এই দিন বলতে আমি আগামী নির্বাচন কে বুঝাতে চাচ্ছি না! এই সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া পরপর দুটি আন্দোলেন প্রথমটি কোটাআন্দোলন অপরটি নিরাপদ সড়ক চাই ১৭/১৮ বছরের ছাত্র/ছাত্রীদের আন্দোলন।

এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারে আর বুঝার বাকি নেই যে,দেশের জনগন আওয়ামীলিগ সরকারকে আর চায় না,এই সরকারের পরিবর্তন চায়।

আজ পুলিশ কে বলা হয়েছে পুলিশ কার চ্যাটের বাল, আজ মানুষ ভিতরে ভিতরে বলে আওয়ামীলিগ কার চ্যাটে বাল।একদিন এমন ও সময় আসবে চিৎকার করে বলা হবে আওয়ামীলিগ কার চ্যাটের বাল””

আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কথা আজ আর জনগন বিশ্বাস করে না কেননা -“কোটা— আর থাকবে না” কোটা না থাকা তো দুরের কথা-কোটা সংষ্কার করাও হলো না-এমন কি যারা কোটা আন্দোলন করছিলো তাদের কে আজ জেলে পঁচে মরতে হচ্ছে।আমরা সবাই দেখেছি কোটা আন্দোলনের ছাত্র/ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগ এবং পুলিশের নির্যাতন।যে দেশের মন্ত্রীরা যে হারে মিথ্যা কথা বলে তাতে তাদের লজ্জ্বা লাগে না,গন্যমান্য ব্যক্তিদের চোখে ভাঁসে না,গনমাধ্যমের নজরে আসেনা,আসে শুধু এই চ্যাটের বাল কথাটি “বড়-বড় অক্ষরে ছাপানো, আর মায়া কান্নায় অধীর সুশীল সমাজ।জাফর ইকবাল স্যার আজ নাকে সরিষার তেল দিয়ে সুখ নিদ্রায় নিমজ্জিত ।



শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক ও এসব দাবিগুলো সরকার মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এভাবে ছাত্র- ছাত্রীদের আন্দোলন চলতে থাকলে কিছু একটা ঘটেই যেতে পারে। আর কিছু ঘটে গেলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এর দায়দায়িত্ব নিতে পারবে না। এখানে লক্ষ করার মতো অনেক বিষয় আছে,কেন নিরাপত্তা বাহিনী দায়দায়িত্ব নিতে পারবেনা,আমাদের টাকায় এই নিরাপত্তা বাহিনীর পরিবার চলে,আর আমাদের ছেলে/মেয়েদের দায়দায়িত্ব নিতে পারবে না সে হাস্যকর একটি কথা। দায়িত্ব নিতে না পরলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন পদত্যাগ করেন, সরাচর সারা বিশ্বে যা হয়ে থাকে পদত্যাগের পদ সবসময় খোলা থাকে -অপারগ প্রধান মন্ত্রী,মন্ত্রীদের”!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২০
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×