
অবশেষে গতকাল (২৫ শে ডিসেম্বর) সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শেষ হল ব্লগ ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত ব্লগারদের মিলনমেলা। প্রথমেই আয়োজকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই এমন চমৎকার একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজনের জন্য। বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানাই জানা আপা, জাদিদ ভাই, নীল সাধু ভাই এবং আরও যারা চমৎকার এই আয়োজনের পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি।

বড়দিনের ছুটি ছিল তাই ভেবেছিলাম এই দিনটা অন্ততঃ ট্রাফিক জ্যাম মুক্তভাবে দ্রুতই অনুষ্ঠানস্থালে পৌঁছাতে পারবো কিন্তু সে গুড়ে বালি। প্রায় দেড় ঘন্টা পর অনুষ্ঠান স্থলে পৌছালাম। আমাদের প্রিয় ব্লগার হাবিব স্যার ভাই আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন। জাদিদ ভাইয়ের সাথে দেখা হতেই
- ভাইয়া এত দেরি কেন?
যখন সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রে পৌছাই তখন মঞ্চে চলছে ব্লগারদের পরিচিতি পর্ব। চেনা অনেক নিকের পাশাপাশি অনেক অচেনা নিকের ব্লগারাও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় ৭০-৮০ জন ব্লগার। একদিকে মঞ্চে চলছে পরিচিতি পর্ব অন্যদিকে এককোনে রয়েছে লাইভ পিঠার আয়োজন, তৈরি হচ্ছে শীতের ভাপা আর চিতই পিঠা। গুড়, নারকেল আর চাউলের গুড়ার মিশ্রনে তৈরি হচ্ছে গরম গরম ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠার সাথে রয়েছে কাচা মরিচ আর ধনিয়া পাতার সুস্বাদু ভর্তা।মরিচের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেয়ে একজন নারী ব্লগার আপুকে উহ--- শব্দ করতে দেখা গেল।পাশেই রয়েছে ফ্লাক্স ভর্তি চা, কফি, যদিও কফির ফ্লাস্ক দ্রুতই শেষ হয়ে গেল, চা' ই একমাত্র ভরসা।


মঞ্চে পরিচিতি পর্বের পর 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়বদ্ধতা' শীর্ষক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুরু হল,আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং তারপর ম্যাগাজিন বাধ ভাঙার আওয়াজের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। পাশাপাশি সারাছাদব্যাপি চলছে ব্লগারদের তুমুল আড্ডা। একে একে দেখা হল, বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,কাওসার চৌধুরী ভাই, লিটন ভাই,সৌরভ ভাই,প্রামাণিক ভাই, মনিরা আপু, লিলিয়ান আপুর সাথে।
নীল সাধু ভাইয়া মাঝে মাঝেই ফেসবুক লাইভ করে দুরের বন্ধুদের অনুষ্ঠানের আপডেট দিচ্ছেন। হঠাৎ ই স্মার্ট একজন মানুষ আমার দিকে এগিয়ে এলেন এবং আন্তরিকতার সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন নিজের পরিচয় দিলেন নীল আকাশ হিসাবে। নীল আকাশ ভদ্রলোক লেখালেখিতে পারদর্শী কথাবার্তাও তেমনি চটপটে। এরপর ধ্রুবক আলো ভাই আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত ভাবে জড়িয়ে ধরলেন।




শুরু হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একজন ছোট্ট বন্ধু হিন্দি গানের সাথে নাচ পরিবেশন করলো, যদিও এই পর্বটা আমার পছন্দ হয়নি। এরপর ব্লগার ৎৎৎ তারপর দলবল নিয়ে মঞ্চে উঠলেন। হাতে একটা মস্তবড় বাশি। তার সঙ্গী আরও দুইজন একজন তার স্ত্রী তিনি একজন আবৃত্তিকার সঙ্গে অন্য একজন পাতলা গড়নের আবৃত্তিকার। ব্লগার ৎৎৎ তার মোহনীয় বাশির জাদুতে আনন্দঘন পুরো পরিবেশটা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলেন।সকলেই কথাবার্তা বন্ধ করে তন্ময় হয়ে বাশি শুনলেন। এরপর শুরু হল উনার সঙ্গী আবৃত্তিকারের আবৃত্তি সঙ্গে ব্লগার ৎৎৎ র বাশি। এমন ভরাট কন্ঠের আবৃত্তি সত্যি আজীবন মনে রাখার মত।




সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খাওয়া দাওয়ার পালা।
এবং সবশেষে ম্যাগাজিন এবং মগ নিয়ে নয়টার দিকে বিদায়ের পালা।ফেরার পথে আমার সঙ্গী ছিলেন নীলাকাশ ভাই। সত্যি ২৫ শে ডিসেম্বরের বিকেলটা চমৎকার ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




