সারা দুনিয়াতেই ধর্ম নিয়ে বাণিজ্য হয়। ধর্মকে এক শ্রেণীর লোক বাণিজ্যের মূলধন বানিয়ে ফেলেছে। এক কারণে অনেক ভণ্ড প্রতারকও ধার্মিক সেজে বসে থাকে।
তাদের অনেকেই সুশীল সেজেও বসে থাকে।
তাদের শ্রেণিভুক্ত একজন সুশীল তুহিন মালিক।
বিভিন্ন সময় টক শো তে দেশপ্রেমের তুবড়ি ছড়ানো এই সুশীল গতকাল তাবলীগ জামাত কে পিকনিক বলে আখ্যায়িত করেছেন!!!!
কিন্তু এ বিষয় নিয়ে কেও প্রতিবাদ করতে দেখছি না। কেও টু শব্দও করছে না। তাহলে আমি কি ধরে নিব? নীরবতা যদি সম্মতির লক্ষণ হয়ে থাকে, তাহলে কি সুশীলরা তার বক্তব্য কে মেনে মেনে নিয়েছেন।
আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হয়।
লতিফ সিদ্দিকির জঘন্য বক্তব্যর সময় আন্দালিব রহমান বলেছিলেন যে তাকে ...মারলে নাকি সওয়াব হবে। তাহলে বসসসসস এখন তুহিন মালিক কে কি করা যায় তা নিয়ে কিছু বলুন।
এবার যদি তুহিন মালিকের বক্তব্য একটু আনাল্যসিস করি তাহলে আমরা কি দেখি।
পিকনিকে মানুষ ২-১ দিনের জন্য যায়। একটু দূরে। ঘুরা ফেরা করে। আনন্দ করে। ছবি তুলে। খাওয়া দাওয়া করে।
এখন যেহেতু ওনি দুটোকে কম্পেয়ার করেছেন, তার মানে কি?
ওনার কাছে ৩ দিন অবস্থান করা, এবাদত করা, জিকির করা, সবাই মিলে খুব সাধারণ খাওয়া গ্রহণ, নামাজ পরা সবই পিকনিক।
আসলে তুহিন মালিক ওই শ্রেণীর মানুষ যারা তৃতীয় দিনের মাথায় দামি গাড়ি হাকিয়ে আখেরি মোনাজাত ধরতে যান। ভেতর সম্পর্কে ওনি কিছুই জানেন না। জানলে তাবলীগ জামাত কে পিকনিক বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারতেন না।
একবার ভেতরে আসুন। দাওয়াত রইলো। একটু কষ্ট করে আসুন না হয় একদিন। একটু ঘুরে দেখুন।
মানুষ কত কষ্ট করে থাকে, দেখুন।
মানুষ কত কষ্ট করে খাবার রান্না করে, দেখুন।
মানুষ কত কষ্ট করে গোসল করে, বাথরুমে যায়, তা দেখুন।
একবার।
কিন্তু তাদের যদি জিজ্ঞেস করেন যে কষ্ট হচ্ছে কিনা, তারা বলবে কষ্ট? সেটা আবার কি?
তাই গুলশানের বাসা আর পাজেরো থেকে নেমে একবার এজতেমা তে আসুন।
দাওয়াত রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২