এ কথা কেও অস্বীকার করতে পারবে না যে, আমরা মোর অর লেস সেলফিস। সবাই আমরা নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভালবাসি। নিজের জন্য কাজ করি। স্নীয় উন্নতি করতে চাই।
বৈজ্ঞানিকরাও বলে থাকেন যে, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ জেনেটিকেলি কিছুটা স্বার্থপর।
নারীর প্রতি সহিংসতা বাংলাদেশে কোন নতুন জিনিস নয়। যুগ যুগ ধরে নারীরা নিষ্পেষিত হচ্ছে। পূর্বে যেহেতু অর্থনৈতিক কাজে নারীর অংশগ্রহণ ছিল কম, তাই সে নির্যাতিত হতে ঘরের ভেতর। আর বর্তমানে গৃহের ভেতর ও বাইরে উভয় স্থানে সমান ভাবে সে নির্যাতিত হচ্ছে।
ভারতে যখন নির্ভয়া নির্যাতিত হল তখন সারা দেশ ফুসে উঠেছিল। প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল মুম্বাই থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত।
অথচ প্রায় একি ঘটনা যখন আমাদের দেশে কুড়িলে যমুনা ফিওচার পার্কের সামনে ঘটল তখন প্রতিবাদ যেন দায়সারা। প্রতিবাদ করতে হয় তাই প্রতিবাদ।
কারণ ওই যে মানবের চরিত্র।
যখন আমরা শুনেছি যে নির্যাতিতা একজন সেলস গার্ল, গারো, ধর্ম বিশ্বাসে ক্রিস্টান এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সে গরীব। তখন আমরা একটু স্তিমিত হয়ে গেছি। আমাদের প্রতিবাদ সত্তা জেগে উঠেনি। কারণ নির্ভয়ার মত সে ধনীক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে না কিংবা উচ্চশিক্ষিত নয় সে। তাই আমাদের ছাত্রী, কর্মজীবী কিংবা হিন্দি সিরিয়াল দেখা গৃহ বধুরাও প্রতিবাদে ফেটে পড়েনি। একজন গারোর মাঝে আর যাই হোক নিজেকে খুজে পাওয়া যায় না!!!!!আর গার্মেন্টস কর্মী, সেলস গার্লরা নির্যাতিত হতেই পারে। এতে এত হতবাক হবার কি আছে??? যেহেতু সমাজের উচ্চ শ্রেণীর বিশেষ আগ্রহ নেই, তাই ব্রেকিং নিউজ খোজা মিডিয়াও নতুন কোন বাণিজ্যের পরসা খুঁজে পায় নি।
আগেই বলেছিলাম যে আমরা জিনগত ভাবেই স্বার্থপর। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কিছুর মর্মার্থ অনুধাবণ করতে বেরথ হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা শিকারে পরিণত না হই। আমরা অন্যের কষ্ট কে নিজের বলে ভাবতে পারি না। অনুভব করতে চাই না কষ্টের তীব্রতা।
আমি বেচে আছি অথবা নিরাপদে আছি বলে যে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন তাকেই বলছি সত্যিই কি আপনি বেচে আছেন সত্যি ই কি নিরাপদে আছেন????????