বরফ গলা নদী
এখন আর ভুল করে ও
সেই দেব দারু গাছ টার দিকে যাই না
এমন কি ফিরে ও তাকাই না
যেখানে দুটো পাখি
খেলা করে নিরিবিলি ।
এখন সময় পেলেই
দুচোখ খুলে, বন্ধ করে -
হৃদয়ের সব জানালা দিয়ে দেখি
সেই মেয়েটিকে ।
একলা একাকী সেই মেয়েটি
নদীর ধারের পথটি ধরে
যেথা শেওলা আছে ভেসে ।।
পড়ণে তার আটপৌড়ে
সাদা একটি শাড়ী ।
আমি পিছন থেকে দেখি ।
চুল গুলো কি খোঁপায় বাঁধা?
নাকি ছোট্ট করে কাটা
আমি কিছুই বুঝি না যে ।
ক্লান্ত দু পা । এক পা , দু পা ।
আমি দূর থেকে দেখি ।।
শীতের ভোরের শিশির এনে
ছিটিয়ে দিলাম পথের ’পরে ।
নায়েগ্রা থেকে জলপ্রপাতের
একটু খানি এলাম নিয়ে ।
থামলো মেয়েটি ।
চমকালো কি না , তা জানি না ।
আমি তাকে পিছন থেকে দেখি ।।
ঝরণা ঘিরে বসলো মেয়েটি
মুখ খানি তার আমার দিকে ।
আহ !
কী যে করি ভেবে না পাই
ভাবনাগুলো ডালায় সাজাই ।
রুপকথার সেই গল্প থেকে
রাজপুত্রকে আনি ।
ঘোড়া দিলাম , ঢাল তলোয়ার
সোনার কাঠি রুপোর কাঠি
চন্দন জলে স্নান ও দিলাম ।
কী জানি কি হ’লো
আবার বইএর মাঝেই ঢুকিয়ে দিলাম
রাজপুত্তুর ফিরিয়ে দিলাম ।
বেশ তো আছে !
কোথায় যেন গলছে বরফ
পাহাড় সমান গলছে বরফ ।।
১৪ জুলাই, ২০১০ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




