শাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া International Conference এবং গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে সেই অনলাইন আলোচনা। চলুন এই আলোচসায় অংশ নিয়ে নিজের মতামতকে সিদ্ধান্তে পরিনত করি।
আজকের বিষয়: দুর্যোগ ব্যাবস্থপনা (Disater Management)
এই লেখাটি তৈরী করেছেন।: মোঃ মাসুদ রানা, ১৩ তম ব্যাচ, সিইই বিভাগ, শাবিপ্রবি,সিলেট।
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তাদের প্রতিনিয়তই প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকতে হয়।প্রকৃতির সাথে প্রতিনিয়ত যে যুদ্ধ করে আমরা বেচে থাকতে থাকি সেটাকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলতে পারি। ঘূণির্জড়, বন্য্, জলোচ্ছাস, খরা প্রতি বছরই আমাদের জ়ীবন, সম্পদ, ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতি সাধন করে।আবার গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার কারনে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার ফলে হিমালয়ে পুঞ্জিভ্রুত বরফগলা পানি নিচে নামতে শুরু করলে অথবা অতিবৃষ্টি হলে আমাদের দেশে বন্যা হয়ে থাকে। অপর দিকে উষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ থাকা সহ অন্যান্য কারনে সমুদে ঘূণির্জড়ের সৃষ্টি হতে পারে।এগুলিই হচ্ছে দুর্যোগ/প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে নরমাল কথাবার্তা । এখন আমরা দুর্যোগ ব্যাবস্থপনা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
দুর্যোগ ব্যাবস্থপনা হচ্ছে দুর্যোগ সংক্রানত নীতিমালা প্রনয়ন ও প্রশাসিক সিদ্ধান্তসমূহের সমষ্টি এবং এগুলোর প্রয়োগিক কাজ, যা প্রশাসনিক সকল স্তরের দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালিন, দুর্যোগপরবর্তী পর্যায় সমুহের কার্যকমকে বুযায়। দুর্যোগ ব্যাবস্থপনার তিনটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে, সেগোলো হলঃ
১।দুর্যোগের সময় জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের যে ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে তা কমানো বা ক্ষতির পরিমান হ্রাস করা
২।প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের মধ্যে অল্প সময়ে সকল প্রকার ত্রান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং
৩।দুর্যোগপরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজ ভালভাবে সম্পন্ন করা।
Pesonali আমি মনে করি দুর্যোগ ব্যাবস্থপনার আওতায় এই উদ্দেশ্য গুলোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।কিন্ত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা যখন ত্রানের ঢেউ টিন চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে নিজের পকেট ভারী করে তখন সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটুকু হবে সেটাই ভাবার বিষয়।আমরা জানি মানণীয় প্রধানমন্রী দুর্যোগ ব্যাবস্থপনার সভাপতি এবং উনি যদি এর দায়ভার নেন তাহলেই কেবল সঠিক ব্যাবস্থপনা সম্ভব হতে পারে।
আবার দুর্যোগ ব্যাবস্থপনার জন্য নিন্মোক্ত ধাপ গুলোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে
• পূর্ব প্রস্তুতি(Preparedness)
• দুর্যোগ সংগঠন ও এর প্রভাব (Disater impact)
• সাড়াদান (Response)
• পুনরুদ্ধার (Recovery)
• উন্নয়ন (Development)
• প্রতিরোধ (Prevention)
• প্রশমন (Mitigation)
উপরের ধাপ গুলো যদি সঠি্ক ভাবে অনুসরন করা হয় তাহলে যেকোন দুর্যোগকে মোকাবেলা করা সম্ভব।
প্রাকূতিক দুর্যোগকে সপ্মূর্ন ভাবে প্রতিরোদ করা সম্ভব না হলে ও এর ক্ষয়ক্ষতির কমানোর ব্যাপারে প্রতিরোধ কার্যকম সুফল বয়ে আনতে পারে।দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য কাঠামোগত(structural) ও অবকাঠামোগত (Non-structural)প্রশমনের ব্যাবস্থ থাকা প্রয়োজন। কাঠামোগত(structural) প্রশমনের ক্ষেএে বিভিন্ন নির্মান কার্যকম যেমন-বেড়িবাধ তৈরি, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান, পাকা ও মজবুত ঘরবাড়ি তৈরি, নদী খনন ইত্যাদি বাস্তবায়নকেই বুযায়।আবার প্রয়োজন। অবকাঠামোগত(structural) দুর্যোগ প্রতিরোধ যেমন-প্রশিক্ষন, গনসচেতনতা বৃদ্ধি, পুর্বপ্রস্তুতি ইত্যাদি সল্পসময়ে বাস্তবায়নকেই বুযায়।দুর্যোগে সঠিক ব্যাবস্থাপনার জন্য, শিক্ষা প্রতিষ্টানের সকল পর্যায়ে দুর্যোগে ব্যাবস্থাপনার উপর অন্তত একটি অধিবেশনের ব্যাবস্থা রাখা প্রয়োজন।
প্রাকূতিক দুর্যোগে যেমন-ঘূর্নিঝড়,টর্নেডো, খরা, অতিবৃষ্টি ইত্যাদিকে তাৎক্ষনিক মোকাবেলার জন্য প্রস্ততি গ্রহনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে গুরুত্তপুর্ণ বিষয়টি হল আবহাওয়ার তথ্যবিওিক সময়মত পুর্বাবাস ও সতর্কীকরন প্রয়োজন। সবশেষে আমরা বলতে পারি যে, সবকিছুর সমন্নয় সাধনই দুর্যোগকে মোকাবেলা করা সম্ভব।
ফেসবুকে আমাদের সাথে আলোচনায় আসতে চাইলে যোগ দিন এই লিংকে