শোকের প্রথম প্রহরে আমি প্রায় বাকরুদ্ধ ছিলাম তাই লেখাটা এখন দিচ্ছি, যা বলব সে বিষয়টা এখন একটু seriously ভাবতে হবে। যে মানুষটা সারাজীবন আমাদের কে তার কাজের মধ্য দিয়ে মুগ্ধ করে গিয়েছেন এখন আমাদের পালা তাকে আমাদের কাজ দিয়ে মুগ্ধ করা, এই প্রজন্মকে তিনি অনেক অনেক কিছু দিয়েছেন, অতএব আমি বিশ্বাস করি এই প্রজন্ম শুধু দুই তিনটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েই বসে থাকবে না। আমাদের কাজ এখন প্রধানত দুটো,
প্রথমত আমাদের প্রজন্মের একটা অংশ যারা টুকটাক লেখালিখি করে, তাদের এখন আরো পরিশ্রম দিয়ে, মেধা খাটিয়ে লিখতে হবে, মাথায় একটা কথায়ই রাখতে হবে, স্যার আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করে একেকটা লেখা লিখে আজকের বাংলাদেশের বই এবং পাঠকের এই বিপ্লব এনেছেন, এখন আমাদের দায়িত্ব তাকে ধরে রাখা, সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, আর প্রজন্মের আরেকটা অংশ সেই লেখাগুলোরই পাঠক হয়ে লেখাগুলোর মান বাড়ানোর কাজ করে যাবে, কারন তার এতো কষ্টে তৈরি করা বাংলাদেশী বইএর পাঠক কোন ভাবেই হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না,
আর দ্বিতীয়ত ওনার শেষ স্বপ্ন, আমাদের দেশে একটা আন্তর্জাতিক মানের কান্সার হাসপাতাল বানানোর কাজটাও আমাদেরকেই করতে হবে, আমি বলছিনা যে আগামি কাল থেকেই টাকা সংগ্রহে নামা উচিৎ, কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে এই ইচ্ছাটা অন্তত রাখতে হবে যে, যখনই সুযোগ আসবে আমরা সবাই মিলে এই কাজে ঝাঁপিয়ে পরবো, যে মানুষটা আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে, ভালোবাসতে শিখিয়েছে, তাকে ভালোবেসে তার শেষ স্বপ্ন পূরণ করাটা বোধহয় আমাদের জন্য কঠিন কিছুই হবে না
পরিশেষে, একটা কথাই বলব, যে মানুষটা সারাজীবন চান্নি পসরে যাবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তিনি কেন ঘোর অমাবস্যায় মারা যাবেন????
আসলে স্যার আমাদের সাথেই আছেন, উনি এই আমাদের উপর প্রচণ্ড ভরসা রাখতেন, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন এই নতুন প্রজন্ম সব কিছু ঠিক ঠাক করে দিবে, তাই যতদিন না ওনার সংস্পর্শে বড় হয়ে ওঠা এই প্রজন্মটা তার স্বপ্নগুলোকে, তার রেখে যাওয়া কাজগুলো শেষ না করছে ততোদিন তার মৃত্যু নেই। যখন আমাদের সাফল্যগুলো, তার পূরণ হওয়া স্বপ্ন গুলো আকাশে জ্যোৎস্নার মত জ্বলে উঠবে, সেই চান্নিপসরেই আমরা বিদায় জানাবো আমাদের প্রিয় মানুষটিকে, আমাদের হুমায়ূন আহমেদ কে............