বাইডেন প্রশাসনও সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়েও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু যখন রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির ৪ দিন আগে সেই বাইডেনই গায়ে পড়েই নিজস্ব স্বার্থ বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন এবং সৌদি আরবের সাথে বৈঠক করেন।
জো বাইডেন এর মধ্যপ্রাচ্য সফর নিয়ে কম তোড়জোড় ও আলোচনা হয়নি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জো বাইডেন গত বুধবার ৪ দিনের মধ্য প্রাচ্য সফর শুরু করেছিলেন।১৪ তারিখ পর্যন্ত ছিল সৌদি আরবে।ফিলিস্তিনি ইস্যুতে পুরা মুসলিম বিশ্ব ইসরাইলের প্রতি খেপলেও খুব সম্ভবত স্বাভাবিক হতে চলেছে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের সম্পর্ক যা মুসলিম বিশ্বকে মনঃক্ষুণ্ণ করবে । বাইডেন সফর শুরু করেছিলেন ইসরাইল থেকে। বর্তমানে সৌদি আরব। শুক্রবার ইসরায়েলের সব ধরনের উড়োজাহাজের জন্য নিজেদের আকাশসীমা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। যদিও বলা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠতে জ্বালানির খোঁজ ও সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই তাঁর এ সফর। কিন্তু এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য মতলব। মূলত ইসরায়েল ও সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই তাঁর এ সফর।
মার্কিন গণমাধ্যম এক্সিওএস বলছে, প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে থেকে অনেকটা চুপিসারেই বাইডেন প্রশাসন লোহিত সাগরের দুটি কৌশলগত দ্বীপ মিশরের কাছ থেকে সৌদিকে হস্তান্তরের জন্য মধ্যস্থতা করেছে। সৌদি আরব, ইসরায়েল ও মিশরের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তিতেও নীরবে মধ্যস্থতা করে যাচ্ছে দেশটি। সফল হলে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে।
সবাই জানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ইসরায়েল সফরে গিয়ে পশ্চিম জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাইডেন। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন ঠেকাতে চায় ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই। বাইডেন ইসরাইল কে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছেন আগে থেকে। ইরান ঠেকেতে দুই দেশ বদ্ধ পরিকর।
বাইডেন আসলে কি চাচ্ছে?
তথ্য ছবি সূত্রঃ পত্র-পত্রিকা
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৯